শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, বৈশাখ ২৬ ১৪৩২, ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

আইভীর বাড়িতে পুলিশ, অনুসারীদের জটলা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী ধাপের আলোচনার কর্মপরিকল্পনা দ্রুত চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের সাফল্য চাই: মির্জা ফখরুল তথ্যযুদ্ধ: কতটা সত্যি বলছে ভারত ও পাকিস্তান? ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে এরপর কী? পাকিস্তান ভারত সীমান্তে উত্তেজনার নতুন অধ্যায়: ক্ষেপণাস্ত্র, হামলা ও তথ্যযুদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে: আসিফ মাহমুদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে নেতৃত্ব পরিবর্তন: স্নিগ্ধর পদত্যাগ আবদুল হামিদের দেশত্যাগে জড়িতদের ধরা হবে, না হলে আমিই চলে যাব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকার সংবাদপত্রের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চায় : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা প্রথম আমেরিকান পোপ হলেন রবার্ট প্রিভোস্ট ২০২৫: টেকনোলজির ঝড় উঠছে! ভারত-পাকিস্তানে যুদ্ধের দামামা: বাংলাদেশে কী প্রভাব, করণীয় কী রক্তের প্রতিটি ফোঁটার বদলা নেব: শেহবাজ শরিফ

স্পেশাল

বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করা দীর্ঘদিনের চক্রান্তের অংশ

 প্রকাশিত: ১০:০৩, ৪ নভেম্বর ২০২৩

বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করা দীর্ঘদিনের চক্রান্তের অংশ

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নাগরিকরা আজ এক আলোচনায় বলেছেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতার হত্যাকা- একটি দীর্ঘমেয়াদী ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়ন ছিল। কারণ ঘাতকরা ১৯৭১ সালে দেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় এ চক্রান্ত শুরু করেছিল।

 এই হত্যাকা- রাতারাতি পরিকল্পিত নয় উল্লেখ করে তারা আরো বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না এবং পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কনফেডারেশন করতে চেয়েছিল তারাই বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে।

জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম হাবিবুর রহমান, কারা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিদর্শক লিয়াকত আলী খান, তথ্যচিত্র নির্মাতা ফুয়াদ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব কর্নেল জামিলের মেয়ে আফরোজা জামিল কঙ্কা, বিশিষ্ট চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শাহাদাত হোসেন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য পারভেজ জামান।

আলোচনা সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ বি এম ফারুক।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা রাতারাতি নেওয়া হয়নি। এ ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শেষে খন্দকার মোশতাকের পরিবর্তে আবদুস সামাদ আজাদকে জাতিসংঘে পাঠানো হয়েছিল মুজিবনগর সরকারের পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে। কারণ মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছিল যে, খন্দকার  মোশতাক জাতিসংঘে গেলে পাকিস্তানের সাথে কনফেডারেশন করে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেবেন।
অধ্যাপক আরেফিন বলেন, জুলফিকার আলী ভুট্টো ও খন্দকার মোশতাক যদি একসঙ্গে পাকিস্তান কনফেডারেশন গঠন করতেন তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ভেস্তে যেত।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন এবং তাজউদ্দীন আহমদের কাজ ছিল যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করা।

তিনি আরো বলেন, "কারণ তখন যুদ্ধের কোনো বিকল্প ছিল না। তাই খন্দকার মোশতাককে প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতিসংঘে পাঠানো হয়নি।"

অধ্যাপক আরেফিন বলেন, কয়েকজন মিলে বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলহত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে, কিন্তু সেনানিবাস প্রতিরোধ করলে সেসব ঘটত না।

ডুয়েটের উপাচার্য হাবিবুর রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে সুস্থ রাজনীতির ধারা থমকে গিয়েছিল।

তিনি বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করে না তারাই বঙ্গবন্ধুসহ চার নেতাকে হত্যা করেছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশকে পাকিস্তানি কায়দায় ফিরিয়ে নেয়া।