রোববার ০৯ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ২৫ ১৪৩২, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

মেহেরপুরে বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে ৪ স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৯৫ পেঁয়াজের হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধি, আমদানির অনুমতি দিতে পারে সরকার সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ: এস আলমসহ ৬৭ জনের নামে মামলা ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী হতে চান উপদেষ্টা আসিফ মনোনয়ন: গাইবান্ধায় বিএনপির দু’পক্ষের উত্তেজনায় ১৪৪ ধারা হত্যাসহ ৫ মামলায় আইভীর জামিন ধান ৩৪, সেদ্ধ চাল ৫০, আতপ চাল ৪৯ টাকায় কিনবে সরকার নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই: আইন উপদেষ্টা মোহাম্মদপুরে গ্যারেজের আগুনে ‘নাশকতা’ দেখছে পুলিশ ফিলিপাইনে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন ফাং-ওং গাজা থেকে ফেরত আরেক জিম্মির মরদেহ শনাক্ত করলো ইসরাইল সারাদেশে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শহীদ মিনারে অবস্থান ডিসি রদবদলে শুরু হল নির্বাচনি প্রশাসন সাজানো ছুটির দিনে ঢাকাসহ ১৫ জেলায় নতুন ডিসি শীতের আগমনী হাওয়া: পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা নামল ১৬ ডিগ্রির ঘরে ব্রাজিলে টর্নেডোতে নিহত ৬, আহত ৪৩৭ বলিভিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো পাজের দায়িত্ব গ্রহণ

অর্থনীতি

১০৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ রেখে গেছেন হাসিনা

 প্রকাশিত: ১৩:০৬, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

১০৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ রেখে গেছেন হাসিনা

ছাত্র-গণ আন্দোলনে ক্ষমতা ছাড়ার সময় শেখ হাসিনা ১০৩.৭৯ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ রেখে গেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ( প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা।

১৫ বছর আগে শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেওয়ার সময় বৈদেশিক এ ঋণের পরিমাণ ছিল ২১.১৯ বিলিয়ন ডলার।

এ তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রের। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য প্রকাশ করে।

তথ্য বলছে, গত ডিসেম্বরের শেষে সরকারি-বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ স্থিতি ছিল ১০০.৬৪ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসেই প্রায় ৩.৩৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
 
গত মার্চে দেশের মোট বিদেশি ঋণ কমে ৯৯.৩০ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল। কিন্তু ডলার সংকটসহ নানা কারণে বিদেশি সংস্থাগুলো থেকে ঋণ নেওয়ার ফলে মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে আবার বেড়ে ১০৪ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এসব ঋণের বেশির ভাগই নেওয়া হয়েছে দর-কষাকষি ছাড়া ও বাছবিচারহীনভাবে, যা সরকারের দায়দেনা পরিস্থিতিতে চাপ বাড়িয়েছে।

তথ্যে দেখা যায়, ২০২৪ সালের জুন শেষে বেসরকারি খাতের বৈদেশিক ঋণ দাঁড়িয়েছে ২০.৫৭ বিলিয়ন ডলার। ডিসেম্বর শেষে এ ঋণ ছিল ২০.৯৫ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের অক্টোবর শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ২১.২৮ বিলিয়ন ডলার থাকলেও চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৯ মাসে বেসরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণ কমেছে ৭০৬ মিলিয়ন ডলার।

বেসরকারি এ ঋণের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, জুন পর্যন্ত মোট বিদেশি ঋণের ১১.৪০ বিলিয়ন স্বল্পমেয়াদি ও ৯.১৭ বিলিয়ন ডলার দীর্ঘমেয়াদি ঋণ।

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন এ বিষয়ে বলেন, ঋণ বাড়লেও পরিশোধ করার সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে সরকারকে। তাহলে এ ঋণ কোনো শঙ্কা তৈরি করবে না।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মেগাপ্রকল্পগুলো, যেমন- পদ্মা বহুমুখী সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, কর্ণফুলী টানেল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর এসব করতে গিয়ে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

দুঃখজনক হলো এসব ঋণের অর্থে চলমান প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন যখন সম্পন্ন হবে তখন প্রকল্পগুলোর আয় থেকে ঋণের কিস্তির অতি সামান্য অংশই পরিশোধ করা সম্ভব হবে বলেন এ অর্থনীবিদ।