সোমবার ১০ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ২৬ ১৪৩২, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায়ের কাছাকাছি শেখ হাসিনার ‘প্লট দুর্নীতি’ মামলা জুলাই সনদ নিয়ে এখন সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: রিজওয়ানা একনেক সভায় ৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকার ১২টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন পুরান ঢাকায় নিহত মামুনকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল দুই বছর আগেও ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর সুপারিশ নির্বাচন পিছিয়ে গেলে দেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে: মির্জা ফখরুল পুরান ঢাকায় হাসপাতালের সামনে একজনকে গুলি করে হত্যা এটা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নয়: আওয়ামী লীগকে প্রেস সচিবের হুঁশিয়ারি নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিক্ষোভের দিনে ঢাকায় বোমাবাজি রাজধানীতে ভোরে দুই বাসে আগুন ৮ বছর পর ভারত থেকে হিলি বন্দর দিয়ে আপেল আমদানি শুরু সংসদ নির্বাচন: অঞ্চলভেদে থাকবে কমান্ডো বাহিনী, কঠোর বার্তা ইসির আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩১ বিলিয়নে নামলো লতিফ সিদ্দিকীর জামিন বহাল গোপালগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ২ প্রাথমিক শিক্ষকদের সিদ্ধান্ত বদল, কর্মবিরতি চলবে একুয়াডোরে কারাগারে দাঙ্গার মধ্যে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু

জাতীয়

জুলাই সনদ নিয়ে এখন সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: রিজওয়ানা

 প্রকাশিত: ১৭:৪৭, ১০ নভেম্বর ২০২৫

জুলাই সনদ নিয়ে এখন সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: রিজওয়ানা

রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে মতৈক্যে পৌঁছাতে না পারায় জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকার নিজ থেকেই একটি ‘সিদ্ধান্ত নেবে’ বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সোমবার সচিবালয়ে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন ।

তিনি বলেন, “সরকার দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় দিয়েছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসেনি। তারা যেহেতু সাত দিনের মধ্যে আলোচনায় বসেনি, সেক্ষেত্রে সরকার একটা সিদ্ধান্ত নেবে। আমি তো কাউকে বলতে শুনিনি যে সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।”

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকারের এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ‘এখতিয়ার রয়েছে’ জানিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, “সরকার চায় ১০০ ভাগ সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভেতর দিয়ে আসুক। যদি ৯০ ভাগও আসে, ১০ ভাগ না আসে, সেক্ষেত্রে সরকারের নিজস্ব একটা দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে। সিদ্ধান্ত নিয়ে অচলাবস্থাকে কাটিয়ে আনতে হবে। আর খুব বেশি দিন দেরি হবে না। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনকে সামনে রেখে বেশি সময় নষ্ট করা যাবে না।”

দীর্ঘ নয় মাস ঐকমত্য কমিশনের প্রচেষ্টা শেষে সংস্কার প্রস্তাবগুলোর একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কিন্তু শেষ দিকে এসে এর অনুচ্ছেদ, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও দ্বিমত এসেছে এমন প্রস্তাবগুলোর ভবিষ্যত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে।

গণভোটের মাধ্যমে প্রস্তাবগুলোর বৈধতা অর্জনের সুপারিশ আসলেও বৃহত্তর দল বিএনপির আপত্তির কারণে তা থমকে গেছে। এই পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণাও দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

গত সপ্তাহে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক থেকে প্রধান দলগুলোকে নিজেরা বসে একটি সিদ্ধান্ত সরকারকে জানানোর আহ্বান জানান হয়েছিল। সেই ঘোষণার আট দিন পেরিয়ে গেলেও দলগুলো নিজেরা বসবে না বলেই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে বিএনপি এই ধরনের সংস্কার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে সংবিধান সম্মত বলে মনে করছে না।

এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, “সরকারের দরজা সব সময় সবার জন্য খোলা ছিল। এখন সরকার নতুন করে সবাইকে আলোচনায় ডাকবে এমন কোনো কথা আমি শুনিনি। আমার ধারণা সরকার এবার বিষয়গুলো নিয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করবে।

“আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত একটা সরকার। সেখানে আমার মতপার্থক্য কমিয়ে এনে সিদ্ধান্ত নিতে চেষ্টা করে। আমরা এখন যেহেতু একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি সেখানে আমরা আর ‘যদি কিন্তু’ এর কথা আনবো না। আমাদেরকে একটা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই দায়িত্ব তো আমাদের পালন করে যেতে হবে। আমাদের কাছে জনগণেরও কিছু প্রত্যাশা আছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।”

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনটা হয়েই যাচ্ছে। দেশের মানুষের কাছে এটা এখন স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে যখনই কোনো অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হবে আমরা সর্বোচ্চটুকুন দিয়ে চেষ্টা করবো তা নিয়ন্ত্রণে আনার।”