সোমবার ১০ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ২৬ ১৪৩২, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

নির্বাচন পিছিয়ে গেলে দেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে: মির্জা ফখরুল পুরান ঢাকায় হাসপাতালের সামনে একজনকে গুলি করে হত্যা এটা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নয়: আওয়ামী লীগকে প্রেস সচিবের হুঁশিয়ারি নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিক্ষোভের দিনে ঢাকায় বোমাবাজি রাজধানীতে ভোরে দুই বাসে আগুন ৮ বছর পর ভারত থেকে হিলি বন্দর দিয়ে আপেল আমদানি শুরু সংসদ নির্বাচন: অঞ্চলভেদে থাকবে কমান্ডো বাহিনী, কঠোর বার্তা ইসির আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩১ বিলিয়নে নামলো লতিফ সিদ্দিকীর জামিন বহাল গোপালগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ২ প্রাথমিক শিক্ষকদের সিদ্ধান্ত বদল, কর্মবিরতি চলবে একুয়াডোরে কারাগারে দাঙ্গার মধ্যে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু

রাজনীতি

নির্বাচন পিছিয়ে গেলে দেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে: মির্জা ফখরুল

 প্রকাশিত: ১৪:১৩, ১০ নভেম্বর ২০২৫

নির্বাচন পিছিয়ে গেলে দেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে: মির্জা ফখরুল

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে গেলে দেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “আজকে যে চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র চলছে নির্বাচনকে বানচাল করে দেওয়ার, নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার; সেই নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়া মানে আমাদের সর্বনাশ হওয়া। এ দেশের সর্বনাশ হওয়া। কারণ এখন একটা নির্বাচিত সরকার খুব দরকার।

“এই সরকারটা এখন তাড়াতাড়ি নির্বাচনটা করবে। প্রফেসর ইউনূসকে আমরা সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। তিনি অতি দ্রুত আর কোন কালবিলম্ব না করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ব্যবস্থা করবে। দেশের একটা নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করবেন।”

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা করেন।

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে এ দেশের মানুষের কোনো আপস হতে পারে না পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, “আজকে সুপরিকল্পিতভাবে একটি চক্র, একটি মহল যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যোগসাজশ করে এদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল, তাদের পরিবারকে হত্যা করেছিল; তাদের মেয়েদের তুলে দিয়েছিল খান বাহিনীর হাতে, তাদের সঙ্গে কি এদেশের মানুষ আপোষ করতে পারে? পারে না। এজন্য মুক্তিযোদ্ধাদের গর্জে উঠতে হবে তো।

“আমাদের ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ভাইদের ধর্মীয় অনুভূতিকে বিক্রি করে তারা ওই কাজগুলো করতে চাচ্ছে; আমরা সেটা করতে দিতে পারি না। আজকে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা সেই চেতনাকে সামনে আনতে হবে। আমরা এদেশের মানুষ লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি, মুক্তিযুদ্ধ করে ৭১ সালে দেশকে স্বাধীন করেছি।”

মুক্তিযুদ্ধদের ইতিহাসকে ভুলিয়ে রেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও সতর্ক করেছেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ৭১টা হয় নাই, আমরা কিছুই করি নাই; দেশটার জন্য আমরা কোন অবদানই রাখি নাই। এখন ২৪টা যারা করছে, তারাই সব করছে। এমনটাই বোঝানো হচ্ছে।’”

একাত্তরের দিনগুলো স্মরণ করিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “নয়টা মাস আমরা দীর্ঘকাল যুদ্ধ করেছি, পরিবার-পরিজনের খবর নেওয়া হয়নি, কত মানুষ কোথায় চলে গেছে। সেই ৭১-কে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে কি সেটা ভোলা যাবে? আমি কি আমার জন্মটাকে ভুলতে পারি, এটা মাথার মধ্যে রাখতে হবে।”

কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আহবায়ক নাঈম জাহাঙ্গীর, ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডারের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর করিম, জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফসহ মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এ সময় বক্তব্য দেন।