পুরান ঢাকায় নিহত মামুনকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল দুই বছর আগেও
পুরান ঢাকায় আদালত পাড়ার কাছে দিনে দুপুরে খুন হওয়া তারিক সাইফ মামুন এক সময় পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিলেন, দুই বছর আগেও তাকে একবার হত্যার চেষ্টা হয়েছিল।
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ২০ বছর সাজা খেটে ২০২৩ সালে কারামুক্ত হন মামুন। এর তিন মাসের মাথায় ওই বছরের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার বিজি প্রেসের সামনে তার ওপর হামলা চালায় আরেক ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগীরা।
ওই হামলায় মামুন বেঁচে গেলেও মাথায় গুলি লেগে ভুবন চন্দ্র শীল নামে এক আইনজীবীর প্রাণ যায়।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে পুরান ঢাকার আদালত পাড়ার কাছে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ফটকে সেই মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাতনামা দুই অস্ত্রধারী।
সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা যায়, দুই ব্যক্তি মামুনকে গুলি করে পালিয়ে যাচ্ছেন।
হত্যাকাণ্ডের পর নিহত মামুনকে ব্যবসায়ী হিসেবে দাবি করেন তার স্বজনরা। তবে পুলিশ বলছে, মামুন একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী, যার অতীত অপরাধের বহু রেকর্ড রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মল্লিক আহসান সামী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এই মামুন হচ্ছেন সেই ইমাম-মামুন গ্রুপের মামুন। একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবেই পুলিশের খাতায় তার নাম রয়েছে।"
মামুনকে লক্ষ্য করে আরেক গ্রুপের সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেলে থাকা আইনজীবী ভুবন চন্দ্র শীল মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তিন দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তখন পুলিশ জানিয়েছিল, কারাগারে থাকা ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ ইমনের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীরা প্রাইভেট কারে থাকা মামুনের ওপর হামলা চালাতে গিয়েছিল। সে সময় লক্ষভ্রষ্ট গুলি ভুবনের মাথায় লাগে।
মামুন গাড়ি থেকে বেরিয়ে এলে তাকে চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়। পাশাপাশি আরিফুল নামে আরেক ব্যক্তি ওই ঘটনায় আহত হন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তৎকালীন আলোচিত অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ সে সময় বলেছিলেন, চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি মামুন মগবাজারের পিয়াসী বার থেকে ফেরার পথে তার গাড়িতে হামলা হয়।
মামুন পুলিশকে বলেছিলেন, ওই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজিরা দিতে গেলে ইমন তাকে ‘দেখে নেওয়ার' হুমকি দিয়েছিলেন।