উ.কোরিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান মারা গেছেন
									উত্তর কোরিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান কিম ইয়ং নাম মারা গেছেন।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, তিনি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে না রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
সিউল থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি জানায়, ১৯৯৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত, কিম সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলির প্রেসিডিয়ামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করায় তাকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রতীকী ভূমিকা প্রদানে নিযুক্ত করা হয়।
তবে, আসল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ছিল নেতা কিম জং ইল ও, তার ছেলে কিম জং উনের হাতে। কিম জং ইল ২০১১ সালে মারা যান।
কেসিএনএ জানিয়েছে, কিম জং উন তার মৃত্যুতে গভীর শ্রদ্ধা জানাতে তার শবযাত্রায় যান।
সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানায়, কিম ইয়ং নামের একাধিক অর্গান অকেজো হয়ে তিনি মারা যান।
একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কিম জং উন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে, মৃত কিং ইযং ন্যামের কাচের কফিনে শায়িত অবস্থায় তার শবযাত্রার সামনে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
২০১৮ সালে, কিম ইয়ং ন্যাম দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাংয়ে শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উত্তর কোরিয়ার একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
তিনি ওই সফরে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিলেও দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম ব্যা জানায়, কিম ইয়ং ন্যাম দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় কিম জং উনের বোন কিম ইয়ং জংকে সম্মানের আসন প্রদান করেছিলেন।
এই পদক্ষেপের ফলে জল্পনা শুরু হয় যে, কিম ইয়ং নাম কয়েক দশক ধরে সর্বোচ্চ নেতাদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে উত্তর কোরিয়ার নির্মূল-প্রবণ রাজনৈতিক দৃশ্যে অবস্থান ধরে রেখেছেন।
সিউলের একত্রিকরণ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে কিমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। মন্ত্রণালয়টি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সিউলের সম্পর্ক পরিচালনা করে থাকে।
মন্ত্রী চুং ডং-ইয়ং বলেন, ২০০৫ ও ২০১৮ সালে পিয়ংইয়ংয়ে কিমের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি কোরীয় উপদ্বীপে শান্তির বিষয়ে অর্থপূর্ণ আলোচনা করেছিলেন।
চুং আরো বলেন, ২০১৮ সালে পিয়ংচ্যাং শীতকালীন অলিম্পিকের জন্য কিমের দক্ষিণে সফর ‘আন্তঃকোরীয় সংলাপের দরজা খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে’ অবদান রেখেছিল।