রোববার ০৯ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ২৪ ১৪৩২, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

ফ্যাসিবাদগোষ্ঠি নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে: আইজিপি বরিশালে মৎস্য দপ্তরের জব্দ করা জাটকা লুট শাহবাগে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে রাজশাহীতে আসিনি: আইন উপদেষ্টা এক মাসে লিবিয়া থেকে ফিরলেন ৯২৮ বাংলাদেশি ‘সোহরাওয়ার্দীতে গাঁজা বেচতে নিষেধ করায় সাম্যকে হত্যা’ কুমিল্লায় ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, ৪৪ নেতা-কর্মী গ্রেফতার নেত্রকোণায় মশাল মিছিল, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী আটক ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউনের কারণে সহস্রাধিক ফ্লাইট বাতিল ভোলায় নলকূপ খনন করলেই বেরিয়ে আসছে গ্যাস নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তুরস্কের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ডিএনএ’র পথিকৃৎ জেমস ওয়াটসনের জীবনাবসান জম্মু-কাশ্মীরের ‍কুপওয়ারায় ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে ‘২ সন্ত্রাসী নিহত’

স্বাস্থ্য

অল্প বয়সীদের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার কারণ এবং প্রতিরোধের উপায়

 প্রকাশিত: ১১:৩৫, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

অল্প বয়সীদের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার কারণ এবং প্রতিরোধের উপায়

সুস্থ–সবলভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কোনো সমস্যা নেই। একদিন হঠাৎ শোনা যায় তার ‘হার্ট অ্যাটাক’ হয়ে গেছে। বলিউড অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লার সঙ্গেও তো তেমনটাই ঘটলো। আজকাল এমন ঘটনা হারহামেশা হচ্ছে। তাই আগে থেকে সাবধান হওয়া জরুরি। জিনগত কারণ বা জন্মগতভাবে হৃদরোগ আছে এমন ব্যক্তি ছাড়াও বর্তমানে যারা হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই ২০-৪০ বছর বয়সী।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো-

১. বুকে তীব্র ব্যথা

২. অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়া

৩. দুশ্চিন্তা

৪. বদহজম

৫. শ্বাসে দুর্গন্ধ

৬. অনিদ্রা

৭. মাথা ঘোরানো

৮. বমি বমি ভাব

৯. শ্বাসকষ্ট

১০. দৃষ্টিবিভ্রম

অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার কি কারণ

১. মাদকাসক্তি

২. মদ্যপান ও ধূমপান

৩. অতিরিক্ত চিন্তা করা বা উচ্চ রক্তচাপ

৪. উচ্চ মাত্রায় কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া

৫. শরীরচর্চার অভাব

৬. ডায়াবেটিস

৭. দীর্ঘদিন ধরে ভুল খাদ্যাভ্যাস

এ বিষয়ে ভারতের চিকিৎসক ড. অরিন্দম বিশ্বাস জানান, বর্তমানে অল্প বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগ বাড়ছে লাইফস্টাইলের কারণে। বিশেষ করে কম ঘুম। ৮ ঘণ্টার ঘুম অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও অতিরিক্ত চিন্তাও হৃদরোগের কারণ হতে পারে। একইসঙ্গে পিৎজ্জা, বার্গার জাতীয় ফাস্ট ফুড থেকে ধমনীতে চর্বি জমছে। যার ফলে রক্ত চলাচলে সমস্যা হয়ে ঘটছে হার্ট অ্যাটাক।

এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে বিশেষভাবে সতর্ক হওয়া উচিত। পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। যার কারণে বিশেষজ্ঞরা হাঁটার অভ্যাসের উপর বিশেষ জোর দিচ্ছেন।

হার্ট অ্যাটাক রোধে যা করনীয়-

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর ২০ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। প্রতিবছর হৃদরোগে আক্রান্ত মৃত্যুর ৩০ শতাংশের জন্য দায়ী ধূমপান। শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগে মৃত্যুর ২৪ শতাংশের পেছনে রয়েছে ধূমপান।

এশিয়ান পুরুষদের সঠিক ভুঁড়ির মাপ হচ্ছে ৯০ সেন্টিমিটার। আর নারীর ক্ষেত্রে ৮০ সেন্টিমিটার। এর বেশি ভুঁড়ি বাড়লেই বিপদ। এজন্য উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিক রাখুন। প্রতিদিন ২৫-৩০ মিনিট হাঁটা, ব্যায়াম, সাঁতার, জগিং, সাইকেল চালানো বা খেলাধুলা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক বিপদ হতে পারে। এজন্য মানসিক অবসাদ থেকে নিজেকে বাঁচাতে হবে। বয়স্কদের তুলনায় তরুণ-তরুণীরা অনেক বেশি শিকার হচ্ছেন মানসিক অবসাদের। এ কারণে বাড়ছে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর সংখ্যা।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, হার্ট অ্যাটাকের আগে থেকে বেশিরভাগ আক্রান্তরই বদহজমের সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যায় ভোগেন। এ সময় শ্বাস নিতেও সমস্যা হতে পারে। এসব বিষয় নজরে পড়লে দ্রুত চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল