২০২৫ সালে কর্মজীবী নারীদের জন্য সেরা দেশ: তালিকায় নেই যুক্তরাষ্ট্

নারীদের জন্য কর্মক্ষেত্রে সমতার নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে নর্ডিক দেশগুলো
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দ্য ইকোনমিস্ট তাদের বার্ষিক গ্লাস সিলিং সূচক প্রকাশ করেছে, যেখানে ২৯টি দেশের কর্মজীবী নারীদের অবস্থা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। অবাক করা বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্র এই তালিকায় শীর্ষ ১০-এর মধ্যেও নেই! ১৯তম স্থানে রয়েছে দেশটি, যা বিশেষজ্ঞদের কাছেও বিস্ময়কর।
এই সূচক তৈরি করা হয়েছে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ডের ভিত্তিতে, যার মধ্যে রয়েছে নারীদের উচ্চশিক্ষা, শ্রম বাজারে অংশগ্রহণ, মজুরি বৈষম্য, মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটির সুবিধা। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো, সেখানে কোনো ফেডারেল মাতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থা নেই, যা উন্নত দেশগুলোর মধ্যে বিরল।
শীর্ষস্থানে নর্ডিক দেশগুলো
সুইডেন, আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড ও নরওয়ে এবারও শীর্ষস্থানে জায়গা করে নিয়েছে। বিশেষ করে সুইডেন প্রথমবারের মতো আইসল্যান্ডকে পেছনে ফেলে তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে।
সুইডেনে নারীদের মজুরি পুরুষদের তুলনায় মাত্র ৭.৩% কম, যা OECD গড়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। এছাড়া, ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে ৪৩.৭% এবং কোম্পানির বোর্ডে ৩৭.৭% নারী প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। সুইডিশ সরকারের ৪৬.৭% সদস্যও নারী, যা কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গসমতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
২০২৫ সালের সেরা ১০ দেশ:
১. সুইডেন
২. আইসল্যান্ড
৩. ফিনল্যান্ড
৪. নরওয়ে
৫. পর্তুগাল
৬. নিউজিল্যান্ড
৭. ফ্রান্স
৮. স্পেন
৯. ডেনমার্ক
১০. অস্ট্রেলিয়া
আইসল্যান্ড এবার কিছুটা পিছিয়েছে, তবে এখনো শীর্ষ ১০-এর মধ্যে রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সুইডেন ও আইসল্যান্ডের মতো দেশগুলো বিশ্বব্যাপী কর্মজীবী নারীদের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ তৈরি করেছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র কি কখনো এমন পদক্ষেপ নেবে? সময়ই এর উত্তর দেবে।