শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, বৈশাখ ২৬ ১৪৩২, ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

আইভীর বাড়িতে পুলিশ, অনুসারীদের জটলা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী ধাপের আলোচনার কর্মপরিকল্পনা দ্রুত চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের সাফল্য চাই: মির্জা ফখরুল তথ্যযুদ্ধ: কতটা সত্যি বলছে ভারত ও পাকিস্তান? ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে এরপর কী? পাকিস্তান ভারত সীমান্তে উত্তেজনার নতুন অধ্যায়: ক্ষেপণাস্ত্র, হামলা ও তথ্যযুদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে: আসিফ মাহমুদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে নেতৃত্ব পরিবর্তন: স্নিগ্ধর পদত্যাগ আবদুল হামিদের দেশত্যাগে জড়িতদের ধরা হবে, না হলে আমিই চলে যাব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকার সংবাদপত্রের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চায় : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা প্রথম আমেরিকান পোপ হলেন রবার্ট প্রিভোস্ট ২০২৫: টেকনোলজির ঝড় উঠছে! ভারত-পাকিস্তানে যুদ্ধের দামামা: বাংলাদেশে কী প্রভাব, করণীয় কী রক্তের প্রতিটি ফোঁটার বদলা নেব: শেহবাজ শরিফ

ফিচার

জুলুম-অত্যাচার, শোষণই দুর্ভিক্ষের কারণ

 প্রকাশিত: ২১:০৫, ২৭ নভেম্বর ২০২২

জুলুম-অত্যাচার, শোষণই দুর্ভিক্ষের কারণ

 কোনো জাতির মাঝে আল্লাহর অবাধ্যতা বেড়ে গেলে, জুলুম-অত্যাচার বেড়ে গেলে, শাসনের বদলে শোষণ হলে ও অবাধে সবাই পাপাচারে লিপ্ত হলে আল্লাহ্‌ নানানভাবে শাস্তি দেন। ভূমিকম্প, ঝড় তুফান, জলোচ্ছ্বাস, দুর্ভিক্ষ ও মহামারি ইত্যাদি।

মানুষ মানুষের হক বা অধিকার নষ্ট করার অর্থই হলো তার জান মাল ও ইজ্জতের উপর আক্রমণ করা। আর এরই নাম জুলুম। জুলুম যে কত বড় অপরাধ এ প্রসঙ্গে হযরত সুফিয়ান সাওরী রা. বর্ণনা করেন, একসময় বনী ইসরাইলের মাঝে এমন দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিলো যে, তারা তখন নিরুপায় হয়ে পথের মৃত জানোয়ার খেতে শুরু করল। ক্রমে পরিস্থিতির এমন অবনতি ঘটলো যে, মানুষ মানুষকে ধরে খাওয়ার উপক্রম হয়ে গেল।

তখন সাধারণ মানুষেরা পেরেশান হয়ে মাঠে ময়দানে, পাহাড়ের চুড়ায় আশ্রয় নিতে শুরু করলো এবং আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ করার জন্য বাড়ী ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়লো। তখন আল্লাহ পাক সে যুগের নবীকে ওহীর মাধ্যমে জানিয়ে দেন, আপনি তাদেরকে সতর্ক করিয়ে দিন যে, আমার নিকট দোয়া করতে করতে যদি তাদের মুখের ও চোখের পানি শুকিয়েও যায় এবং যদি তাদের প্রার্থনার হাত আকাশ পর্যন্ত উঠে যায় তবুও কারো ক্রন্দনে আমি আমার করুণা বর্ষণ করব না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা একে অপরের উপর জুলুম করা থেকে বিরত না থাকবে। অতঃপর নবী তার জাতিকে একথা জানিয়ে দেন।

তাছাড়া দুর্ভিক্ষ হল কোন এলাকার ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি। সাধারণত ফসলহানি, যুদ্ধ, সরকারের নীতিগত ব্যর্থতা ইত্যাদি কারণে দুর্ভিক্ষ সংগঠিত হয়। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ, গবাদিপশুর মড়ক, পোকাড় আক্রমণ ইত্যাদি কারণেও দুর্ভিক্ষ সংগঠিত হয়।

তবে চিরন্তন সত্য হচ্ছে মজলুমের দোয়া আল্লাহর দরবারে সরাসরি কবুল হয়ে যায়। তাই মজলুমের দোয়াকে ভয় করতে বলা হয়েছে। সর্বশেষ নবী সা. হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা.কে নসিহত করতে গিয়ে বলেন,তুমি মজলুমের বদদোয়াকে ভয় করো। কেননা তার (বদদোয়া) মাঝে এবং আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা থাকে না। (সহিহ বুখারি : ১৪৯৬)।
আরেক হাদীসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমাদের শাসকবর্গ যখন আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা না করে এবং আল্লাহর নাজিলকৃত বিধানকে গ্রহণ না করে, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাধিয়ে দেন’। আর যুদ্ধ দুর্ভিক্ষ নিয়ে আসে।”

সূরা বাকারার ৫৯নং আয়াতে স্বয়ং আল্লাহ বলেন, “অতঃপর যালেমরা কথা পাল্টে দিয়েছে, যা কিছু তাদেরকে বলে দেয়া হয়েছিল তা থেকে। তারপর আমি অবতীর্ণ করেছি যালেমদের উপর আযাব, আসমান থেকে, নির্দেশ লংঘন করার কারণে।”

আযাব দ্বারা মহামারী হতে পারে, প্রাকৃতিক দুর্যোগও হতে পারে এবং দুর্ভিক্ষও হতে পারে।
এতে স্পষ্ট বুঝা যায়, যখন জমিনে জুলুম-অত্যাচার এবং শোষণ শুরু হয়, তখনই দুর্ভিক্ষের আবির্ভাব ঘটে।