শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, বৈশাখ ২৬ ১৪৩২, ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

আইভীর বাড়িতে পুলিশ, অনুসারীদের জটলা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী ধাপের আলোচনার কর্মপরিকল্পনা দ্রুত চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের সাফল্য চাই: মির্জা ফখরুল তথ্যযুদ্ধ: কতটা সত্যি বলছে ভারত ও পাকিস্তান? ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে এরপর কী? পাকিস্তান ভারত সীমান্তে উত্তেজনার নতুন অধ্যায়: ক্ষেপণাস্ত্র, হামলা ও তথ্যযুদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে: আসিফ মাহমুদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে নেতৃত্ব পরিবর্তন: স্নিগ্ধর পদত্যাগ আবদুল হামিদের দেশত্যাগে জড়িতদের ধরা হবে, না হলে আমিই চলে যাব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকার সংবাদপত্রের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চায় : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা প্রথম আমেরিকান পোপ হলেন রবার্ট প্রিভোস্ট ২০২৫: টেকনোলজির ঝড় উঠছে! ভারত-পাকিস্তানে যুদ্ধের দামামা: বাংলাদেশে কী প্রভাব, করণীয় কী রক্তের প্রতিটি ফোঁটার বদলা নেব: শেহবাজ শরিফ

জাতীয়

বাবা-মায়ের চোখের সামনে আগুনে পুড়ে ছাই ঘুমন্ত দুই ভাই

 প্রকাশিত: ১৪:১৯, ৪ অক্টোবর ২০২৩

বাবা-মায়ের চোখের সামনে আগুনে পুড়ে ছাই ঘুমন্ত দুই ভাই

গভীর রাতে বাবা-মায়ের চোখের সামনে আগুনে পুড়ে ঘুমন্ত দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহরের মধ্যম বিরিঞ্চি ফকির বাড়ির রনি হোসেনের বাসায় এ আগুন লাগে।

নিহত মাইদুল ইসলাম শাহাদাত (১৩) সপ্তম শ্রেণি এবং রাহাদুল ইসলাম গোলাপ (৭) দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। নিহতদের পিতা রনি দাবি করেন, তার দুই ছেলেকে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আগুন লাগার পর নিহত দুই ভাই চিৎকার শুরু করে। আগুন নেভাতে এসে দেখা যায়, ঘরটির প্রধান দরজা বাইরে থেকে রশি দিয়ে বাঁধা। এতে ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার উদ্দেশ্যে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়েছে। এসময় দুই সন্তানকে চোখের সামনেই আগুনে পুড়তে দেখেন বাবা-মাসহ প্রতিবেশীরা।  

নিহতের পিতা জানান, ঘরের একটি কক্ষে দুই ছেলে থাকত। সেই কক্ষেই আগুন লাগে।আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে বড় ছেলে শাহাদাতের দগ্ধ মৃতদেহ খাটের ওপর পাওয়া যায়। ছোট ছেলে গোলাপকে খাটের নিচ থেকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।  

নিহত দুই শিশুর বাবা রনি ও মা পলি দাবি করেন, কয়েকদিন আগে পারিবারিক কবরস্থানে অনুমতি ছাড়া প্রতিবেশী জনি এবং আনোয়ার তাদের এক স্বজনের মৃতদেহ দাফন করতে গেলে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর থেকেই আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় তারা। তারা এই আগুন লাগিয়েছে।  

ফেনী মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী আজ সকালে জানান, মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।