শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, বৈশাখ ২৬ ১৪৩২, ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

আইভীর বাড়িতে পুলিশ, অনুসারীদের জটলা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী ধাপের আলোচনার কর্মপরিকল্পনা দ্রুত চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের সাফল্য চাই: মির্জা ফখরুল তথ্যযুদ্ধ: কতটা সত্যি বলছে ভারত ও পাকিস্তান? ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে এরপর কী? পাকিস্তান ভারত সীমান্তে উত্তেজনার নতুন অধ্যায়: ক্ষেপণাস্ত্র, হামলা ও তথ্যযুদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে: আসিফ মাহমুদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে নেতৃত্ব পরিবর্তন: স্নিগ্ধর পদত্যাগ আবদুল হামিদের দেশত্যাগে জড়িতদের ধরা হবে, না হলে আমিই চলে যাব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকার সংবাদপত্রের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চায় : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা প্রথম আমেরিকান পোপ হলেন রবার্ট প্রিভোস্ট ২০২৫: টেকনোলজির ঝড় উঠছে! ভারত-পাকিস্তানে যুদ্ধের দামামা: বাংলাদেশে কী প্রভাব, করণীয় কী রক্তের প্রতিটি ফোঁটার বদলা নেব: শেহবাজ শরিফ

জাতীয়

এক হাতে ইফতার, অন্য হাতে সংকেত: তার নাম ট্রাফিক

 আপডেট: ২০:০৯, ৮ এপ্রিল ২০২৩

এক হাতে ইফতার, অন্য হাতে সংকেত: তার নাম ট্রাফিক

সেহরি খাওয়ার পর সামান্য বিশ্রাম হয়তো ভাগ্যে জুটে অথবা সেই সুযোগ হয় না। সূর্য উঠার পর পর রাস্তায় এসে দাঁড়ায়। রোজা মুখে নিয়ে ঠা ঠা রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে তিনি তার দায়িত্ব পালন করেন। আকাশ থেকে বর্ষিত আগুন, উত্তপ্ত পাকা সড়ক, আর দ্রুতগতিতে ছুটে চলা যানবাহনের শব্দ তাকে ক্লান্ত করে না। তার নাম ট্রাফিক।

ঘরমুখো ও কর্মমুখী মানুষের নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছানো সহজ করতে রোদ-বৃষ্টি, ঝড়, ধুলা-ধোঁয়া ও শব্দ মাথায় নিয়ে প্রতিনিয়ত রাস্তায় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।

 রাস্তায় দাঁড়িয়ে পানি দিয়ে ইফতার করেন। রোদ বৃষ্টিটা তাকে থামাতে পারেনা।

ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য যারা রয়েছেন, তারা সবাই রোজা রাখেন। আর আমাদের ডিউটিরত অবস্থায়ই ইফতার করতে হয়। কিছু সদস্য ইফতার তৈরি করেন। আজান দিলে আমরাও পুলিশ বক্সে যাই। ডিউটিতে কাউকে না কাউকে থাকতেই হয়।

এজন্য অনেক সময় দেখা যায়, আমাদের পুলিশ সদস্যরা এক হাতে ইফতার করেন, আরেক হাতে সংকেত দেন। ট্রাফিক পুলিশ এক সেকেন্ডের জন্য না থাকলে রাস্তা জ্যাম হয়ে যায়। আগে দায়িত্ব পালন, পরে অন্য সব।

 এমন চাকরি যেখানে নিজস্ব ইচ্ছা নেই স্বাধীনতা নেই। যার জীবন যৌবন পথে পথে শেষ হয়ে যায়।

পুলিশ ট্রাফিক সহ সকল বাহিনীর সদস্যদের শুভেচ্ছা জানাই। তাদের শ্রম যদি নিষ্ঠার সাথে হয় জান্নাতে যাওয়া খুবই সহজ।

কষ্টের বিষয় হচ্ছে, এ ধরনের কঠোর একটি চাকরির জন্যও অনেক বড়ো অংকের টাকা ঘুষ প্রয়োজন হয়। তাহলে রাষ্ট্রের মধ্যে মানবতার চর্চা কোথায় থাকল? কোন স্তরে তা পালন করা হবে? যে দায়িত্ব তাকে জান্নাতের পথে সহজে নিয়ে যাওয়ার কথা সেই টাকা উঠানোর জন্যই তা তার জন্য প্রতিবন্ধক হয়। সমাজের এই অবক্ষয় কবে আর কিভাবে সংশোধন হবে?

অনলাইন নিউজ পোর্টাল ২৪