কাশ্মীর হামলার জবাব কীভাবে দেওয়া উচিত ভারতের — শশী থারুর

কাশ্মীরের সন্ত্রাসী হামলার জবাব কীভাবে দেওয়া উচিত, তা নিয়ে শশী থারুরের বিশ্লেষণ
কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পর পুরো ভারতে চলছে তীব্র আলোচনা—এই হামলার যথাযথ জবাব কীভাবে দেওয়া উচিত। কংগ্রেস এমপি শশী থারুর মনে করেন, অপরাধীদের এমন শাস্তি দেওয়া দরকার, যা তারা চিরকাল মনে রাখবে। তবে যুদ্ধ নয়, বরং কৌশলী ও সুনির্দিষ্ট জবাব দেওয়ার পক্ষে তিনি জোর দেন।
হামলার পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরের শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি নষ্ট করা, পর্যটন বন্ধ করে দেওয়া, স্থানীয়দের জীবিকা নষ্ট করা এবং ভারতের অভ্যন্তরে বিভেদ সৃষ্টি করা। শশী থারুর বলেন, এসব লাভবান করছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, যারা দেশের ভেতরের অর্থনৈতিক সংকট ও জনপ্রিয়তা হারানোর চাপে দৃষ্টি ঘোরাতে চায়।
তিনি সতর্ক করেন, হামলার প্রতিক্রিয়ায় যেন কাশ্মীরিদের বা মুসলিম জনগোষ্ঠীকে দোষারোপ না করা হয়। উল্টো সেসব কাশ্মীরিদের প্রশংসা করা উচিত, যারা সাহসিকতার সঙ্গে আক্রান্ত পর্যটকদের সাহায্য করেছেন। ভারতের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।
থারুরের মতে, ভারতের উচিত কাশ্মীরে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা, পর্যটনকে উৎসাহ দেওয়া এবং উন্নয়নের গতি বজায় রাখা। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক চাপ বাড়ানো, সন্ত্রাসে আইএসআইয়ের ভূমিকা তুলে ধরা এবং পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, বিমান হামলা বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মতো দৃঢ় পদক্ষেপের পাশাপাশি গোপন অভিযান ও সাইবার যুদ্ধ কৌশলও বিবেচনায় আনার পরামর্শ দেন তিনি। শশী থারুর বিশ্বাস করেন, পাকিস্তান সরাসরি যুদ্ধের ঝুঁকি নেবে না, তবে সীমিত উত্তেজনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করতে পারে।
তবে ভারতের উচিত উন্নয়নকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া, বিভেদ নয়। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ থেকে কার্যকর জবাব দেওয়াই হবে সবচেয়ে যুক্তিসংগত পথ।