বগুড়ায় এনসিপির সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি

বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এক সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে শহীদ টিটু মিলনায়তন চত্বরে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের উপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশে সারজিস আলমসহ এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি পক্ষ মিছিল নিয়ে প্রবেশ করে এবং সারজিস আলমের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। এতে তার সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয় এবং একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে।

ঘটনার সময় এনসিপির নেতারা বক্তব্য দিচ্ছিলেন। প্রধান অতিথি সারজিস আলম চার মিনিট বক্তব্য দিয়ে দ্রুত মঞ্চ ছাড়েন। বাকি নেতারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। সংঘর্ষের মধ্যে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে সমাবেশস্থল ছাড়তে বাধ্য করে।

বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দিন  বলেন, সারজিস আলম মঞ্চে ওঠার পর এনসিপির সমর্থকদের একটি অংশ তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় অপর একটি অংশ বাধা দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে সারজিসের পক্ষের লোকজন অন্য পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে সমাবেশস্থল থেকে তাড়িয়ে দেন।

এনসিপির বগুড়া জেলার অন্যতম সংগঠক আহমেদ সাব্বির বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বুধবার বগুড়ায় এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল। এনসিপি থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় এক নেতার কিছু উচ্ছৃঙ্খল সমর্থক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি অংশের কিছু নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে এসে সারজিস আলমের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া দেয়। তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। এসময় হাতাহাতি হয়েছে। পরে তাদের প্রতিহত করে সমাবেশস্থল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।