শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ৬ ১৪৩২, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

কবি নজরুলের পাশে শায়িত হাদি প্রিয় হাদি, তুমি থাকবে প্রতিটি বাংলাদেশির বুকের মধ্যে: প্রধান উপদেষ্টা লাখো জনতার অংশগ্রহণে ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন এ কে খন্দকার ছিলেন ‘অবিস্মরণীয় সৈনিক’: শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা সুদানে নিহত ছয় সেনা সদস্যের মরদেহ ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধের উপ সেনাপতি এ কে খন্দকারের প্রয়াণ রিমান্ড শেষে কারাগারে সাংবাদিক আনিস আলমগীর লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার বসতঘরে তালা লাগিয়ে অগ্নিসংযোগ, শিশুর মৃত্যু সহিংসতার পোস্ট: অভিযোগ করার আহ্বান সুরক্ষা এজেন্সির দিপু দাসকে উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দেন ফ্লোর ইনচার্জ: র‌্যাব ‘ধর্ম অবমাননা’: ময়মনসিংহে শ্রমিক পিটিয়ে হত্যায় গ্রেপ্তার ৭ আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫ মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও প্রবাসী দিবস উদযাপন সিরিয়ায় ৭০টিরও বেশি আইএস লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন হামলা

স্বাস্থ্য

টিকার আওতা বাড়েনি এক যুগেও, বঞ্চিত ১৬% শিশু: গবেষণা

 প্রকাশিত: ০৯:৪৪, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

টিকার আওতা বাড়েনি এক যুগেও, বঞ্চিত ১৬% শিশু: গবেষণা

দেশে গত ১২ বছরে টিকাদান কর্মসূচির ‘আওতা’ না বাড়ায় এখনও প্রায় ১৬ শতাংশ শিশু টিকা পায় না বলে এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের যৌথ এই গবেষণায় উঠে এসেছে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) নানা প্রতিবন্ধকতাও।

সোমবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশে টিকা কার্যক্রমের সাফল্য, বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ এবং করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।

মূল প্রবন্ধে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নিজাম উদ্দিন বলেন, “দেশে ১৯৮৪ সালে ইপিআইয়ের আওতা ছিল ২ শতাংশের নিচে।

“এটি বর্তমানে ৮৩ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে। ২০১২ সালেও টিকাদান কর্মসূচির আওতা ছিল ৮৪ শতাংশের নিচে। সে হিসাবে গত ১২ বছর টিকাদান কর্মসূচির আওতা বাড়েনি।”

নিজাম উদ্দিনি বলেন, ইপিআইয়ের উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতার মধ্যে রয়েছে জনবলের ঘাটতি, অঞ্চলভিত্তিক টিকাকেন্দ্রের অসম বণ্টন, অপর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ ও টিকার অপর্যাপ্ততা।

টিকাদান কর্মীদের প্রশিক্ষণের অভাব, দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টিকা পরিবহনজনিত সমস্যা এবং টিকাদান সম্পর্কিত প্রচারের অভাবও রয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদনের বরাতে নিজাম উদ্দিন বলেন, শহর ও গ্রামে টিকাদান প্রকল্পে বরাদ্দ জনবলের প্রায় ৪০ শতাংশ ও ইপিআই সদর দপ্তরে ৪৩ শতাংশ পদ শূন্য।

“আরবান ইমিউনাইজেশন স্ট্র্যাটেজি ২০১৯ ও ইপিআই মাইক্রোপ্ল্যান ২০২৪ অনুযায়ী, প্রতি ৫০ হাজার জনসংখ্যার জন্য ছয়জন টিকাকর্মী প্রয়োজন। বাংলাদেশে আজও এটি বাস্তবায়ন হয়নি।”

টিকাদান বাড়াতে শহর ও গ্রামে বরাদ্দকৃত জনবলের শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ, জনসংখ্যাভিত্তিক জনবলনীতি বাস্তবায়ন, প্রয়োজন অনুযায়ী টিকা বণ্টন, প্রতি কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং সরবরাহ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আন্দোলন।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন গবেষণা প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।