বুধবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ২ ১৪৩২, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

আমাদের তরুণদের রক্ষা করুন, জাতির ‍উদ্দেশে ভাষণে ইউনূস খালেদা জিয়া ইতিহাসের ‘গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ’: ইউনূস হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের সহযোগী কবির ৭ দিনের রিমান্ডে জামায়াত মুক্তিযুদ্ধ নয়, ভারতের বিরুদ্ধে ছিল: আমির হামজা নারায়ণগঞ্জে ‘নিরাপত্তা শঙ্কায়’ ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা বিএনপি প্রার্থীর একাত্তর ও চব্বিশের দালালদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আছি: নাহিদ স্বাধীনতার শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়: ফখরুল প্রশান্ত মহাসাগরে মাদকবাহী জাহাজে মার্কিন হামলায় ৮ নিহত ‘ঘৃণার প্রতীক’ পাকিস্তানের পতাকা আঁকা নিয়ে জবিতে তুলকালাম বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টা মহান বিজয় দিবস আজ ওসমান হাদিকে গুলি: শ্যুটার ফয়সালের সহযোগী গ্রেপ্তার বিবিসির বিরুদ্ধে ১০ বিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা ট্রাম্পের

স্বাস্থ্য

টিকার আওতা বাড়েনি এক যুগেও, বঞ্চিত ১৬% শিশু: গবেষণা

 প্রকাশিত: ০৯:৪৪, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

টিকার আওতা বাড়েনি এক যুগেও, বঞ্চিত ১৬% শিশু: গবেষণা

দেশে গত ১২ বছরে টিকাদান কর্মসূচির ‘আওতা’ না বাড়ায় এখনও প্রায় ১৬ শতাংশ শিশু টিকা পায় না বলে এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের যৌথ এই গবেষণায় উঠে এসেছে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) নানা প্রতিবন্ধকতাও।

সোমবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশে টিকা কার্যক্রমের সাফল্য, বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ এবং করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।

মূল প্রবন্ধে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নিজাম উদ্দিন বলেন, “দেশে ১৯৮৪ সালে ইপিআইয়ের আওতা ছিল ২ শতাংশের নিচে।

“এটি বর্তমানে ৮৩ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে। ২০১২ সালেও টিকাদান কর্মসূচির আওতা ছিল ৮৪ শতাংশের নিচে। সে হিসাবে গত ১২ বছর টিকাদান কর্মসূচির আওতা বাড়েনি।”

নিজাম উদ্দিনি বলেন, ইপিআইয়ের উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতার মধ্যে রয়েছে জনবলের ঘাটতি, অঞ্চলভিত্তিক টিকাকেন্দ্রের অসম বণ্টন, অপর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ ও টিকার অপর্যাপ্ততা।

টিকাদান কর্মীদের প্রশিক্ষণের অভাব, দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টিকা পরিবহনজনিত সমস্যা এবং টিকাদান সম্পর্কিত প্রচারের অভাবও রয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদনের বরাতে নিজাম উদ্দিন বলেন, শহর ও গ্রামে টিকাদান প্রকল্পে বরাদ্দ জনবলের প্রায় ৪০ শতাংশ ও ইপিআই সদর দপ্তরে ৪৩ শতাংশ পদ শূন্য।

“আরবান ইমিউনাইজেশন স্ট্র্যাটেজি ২০১৯ ও ইপিআই মাইক্রোপ্ল্যান ২০২৪ অনুযায়ী, প্রতি ৫০ হাজার জনসংখ্যার জন্য ছয়জন টিকাকর্মী প্রয়োজন। বাংলাদেশে আজও এটি বাস্তবায়ন হয়নি।”

টিকাদান বাড়াতে শহর ও গ্রামে বরাদ্দকৃত জনবলের শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ, জনসংখ্যাভিত্তিক জনবলনীতি বাস্তবায়ন, প্রয়োজন অনুযায়ী টিকা বণ্টন, প্রতি কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং সরবরাহ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আন্দোলন।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন গবেষণা প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।