শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জানুয়ারি থেকে সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম শুরু
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী জানুয়ারি থেকে সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
অধিদপ্তরের শারীরিক শিক্ষা বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক চিঠিতে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম একাডেমিক শিক্ষার পরিপূরক হিসেবে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ কারণে মাউশির আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিকল্পিতভাবে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হবে। এর মধ্যে ফুটবল, ভলিবল, দাবা, ক্রিকেট ও দৌড় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পাশাপাশি সহ-পাঠ্য কার্যক্রম হিসেবে বাংলা ও ইংরেজি বক্তৃতা, উপস্থিত বক্তৃতা, বিতর্ক, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং দেয়ালিকা তৈরির আয়োজন করতে হবে।
এছাড়া সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আওতায় কোরআন তেলাওয়াত, হামদ ও নাত, বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীত (রবীন্দ্রসঙ্গীত ও লোকগীতি), আবৃত্তি, একক অভিনয়, নৃত্য এবং গ্রাফিতি অঙ্কনের কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মাউশি জানায়, এসব সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে সারা বছর চলমান থাকবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে চারটি হাউজে বিভক্ত করে নির্ধারিত ক্লাস রুটিনের সঙ্গে সমন্বয় করে স্কুল ও কলেজে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। এর অংশ হিসেবে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বয়েজ স্কাউট, রোভার স্কাউট, গার্ল গাইডস, বিজ্ঞান ক্লাব, বিতর্ক ক্লাব, স্বাস্থ্য ও শারীরিক শিক্ষা ক্লাবসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের একাডেমিক কার্যক্রমের সঙ্গে সমন্বয় করে সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের একটি বার্ষিক ক্যালেন্ডার আগামী ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রণয়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব কার্যক্রম মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের শারীরিক শিক্ষা বিভাগ তদারকি ও মনিটরিং করা হবে।