বুধবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ৩ ১৪৩২, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

চেক প্রধানমন্ত্রী বাবিসকে ট্রাম্পের অভিনন্দন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহতের দরকার নেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইইউ: ইসি সচিব মা-মেয়ে খুন: স্বামীর পর গৃহকর্মী আয়েশারও স্বীকারোক্তি বন্ডাই বিচ হত্যাকাণ্ড: নাবিদ আকরামের বিরুদ্ধে হত্যার ১৫ অভিযোগ বিদেশে শ্রমশক্তি রপ্তানিতে বড় বাধা দালাল চক্র: প্রধান উপদেষ্টা ‘গুম, হত্যা’: জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পশ্চিম তীরে কানাডীয় এমপিদের প্রবেশে বাধা দিল ইসরাইল ইরানকে পরমাণু কর্মসূচিতে ফেরার সুযোগ না দিতে হবে: মোসাদ প্রধান লন্ডনে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে তারেকের ‘বিদায়ী ভাষণ’, চাইলেন ঐক্য হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের মা-বাবা গ্রেপ্তার নাছোড় বিএনপির ‘বঞ্চিতরা’, রাজশাহীর ৩ আসন ‘উত্তপ্ত’ পোস্টাল ভোট: নিবন্ধন ছাড়াল ৪ লাখ ৫৭ হাজার আরেকটু হলেই চীনা স্যাটেলাইটের সঙ্গে ধাক্কা খেত স্টারলিংক ফিলিস্তিনসহ ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

ইসলাম

কব্জি–কনুইয়ের মাঝখানের অংশ খোলা থাকলে কি নামায সহীহ হয়?

 প্রকাশিত: ২০:৪৪, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

কব্জি–কনুইয়ের মাঝখানের অংশ খোলা থাকলে কি নামায সহীহ হয়?

প্রশ্ন. গরমকালে আমি মাঝে মাঝে থ্রি-কোয়ার্টার হাতাবিশিষ্ট জামা পরিধান করি। এসব জামার হাতা কব্জি ও কনুইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত লম্বা হয়। এসব জামার সাথে ছোট ওড়না পরে নামায পড়লে রুকুর সময় ও রুকু থেকে উঠে দাঁড়ানো অবস্থায় হাতের খালি অংশ খোলা দেখা যায়। জানতে চাই, হাতের এতটুকু অংশ খোলা থাকলে কি নামাযে কোনো সমস্যা হবে?

উত্তর. থ্রি-কোয়ার্টার হাতাবিশিষ্ট জামা পরে নামায পড়া অবস্থায় হাতের খালি অংশ যদি এক রোকন পরিমাণ (তিন তাসবীহ পরিমাণ) বা তার চেয়ে বেশি সময় অনাবৃত থাকে, তাহলে নামায সহীহ হবে না। কেননা নামাযে মহিলাদের হাত কব্জি পর্যন্ত ঢেকে রাখা আবশ্যক। হাতের কব্জি থেকে কনুই পর্যন্ত এ অংশ থেকে এক চতুর্থাংশ বা তার বেশি যদি খোলা থাকে এবং এ অবস্থায় এক রোকন পরিমাণ সময় অতিবাহিত হয়, তাহলে নামায নষ্ট হয়ে যাবে। তাই এ ধরনের জামায় ছোট ওড়না দিয়ে নামায আদায় করা নিরাপদ নয়। সামান্য অসতর্কতার কারণে নামায নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

অতএব, এ ধরনের ছোট হাতাবিশিষ্ট জামা পরে নামায পড়তে চাইলে জরুরি হল, বড় ওড়না বা হিজাব পরিধান করা। যেন হাতের খোলা এ অংশ নামাযে অনাবৃত না হয়ে যায়। এবং নামায নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি না হয়।

-কিতাবুল আছল ১/১৭৩; আলমাবসূত, সারাখসী ১/২৯৬; ফাতাওয়া সিরাজিয়া, পৃ. ৯; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/২৩; শরহুল মুনইয়া, পৃ. ২১৫; রদ্দুল মুহতার ১/৪০৯

মাসিক আলকাউসার