ফিলিস্তিনসহ ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
ফিলিস্তিনি পাসপোর্টধারী ও সাত দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। নিষিদ্ধ দেশগুলো হলো বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার, দক্ষিণ সুদান, সিয়েরা লিওন, লাওস ও সিরিয়া।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, জাতীয় ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেসব দেশে নাগরিকদের স্ক্রিনিং, যাচাই ও তথ্য আদান-প্রদানে গুরুতর ও দীর্ঘস্থায়ী ঘাটতি রয়েছে, তাদের নাগরিকদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ১৯টি দেশের নাগরিকদের জন্য অভিবাসন সংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিত করে। এসব দেশের মধ্যে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, কিউবা, ইরান, হাইতি, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ভেনেজুয়েলা ও ইয়েমেনসহ একাধিক দেশ রয়েছে।
পরে গত ৪ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, নিষেধাজ্ঞার তালিকা বাড়িয়ে অন্তত ৩২টি দেশে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তবে নতুন করে যুক্ত হওয়া দেশগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়নি।
এর আগে চলতি বছরের জুনে ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা এবং আরও সাতটি দেশের নাগরিকদের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এসব বিধিনিষেধ এখনো বহাল রয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে আরও ১৫টি দেশের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে নাইজেরিয়াও রয়েছে।
জানুয়ারিতে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি জোরদার করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কিছু ঘটনার পর এসব পদক্ষেপ আরও কঠোর হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।