বৃহস্পতিবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২৭ ১৪৩২, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

চীন-রাশিয়ার যৌথ যুদ্ধবিমান টহলে জাপান-ন্যাটো’র গভীর উদ্বেগ

 প্রকাশিত: ১০:৪৮, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

চীন-রাশিয়ার যৌথ যুদ্ধবিমান টহলে জাপান-ন্যাটো’র গভীর উদ্বেগ

চীন-রাশিয়ার সাম্প্রতিক যৌথ যুদ্ধবিমান টহল নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে ন্যাটো ও জাপান। এ বিষয়ে একমত হয়েছেন ন্যাটো প্রধান মার্ক রুটে এবং জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি।

বুধবার রাতে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।

টোকিও থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

তাইওয়ান ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির মন্তব্যে বেইজিং ক্ষুব্ধ হয়। এর ফলে জাপান-চীনের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। এই পরিস্থিতিতেই মঙ্গলবারের ঘটনাটি ঘটে।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘উভয় পক্ষ এই ঘটনাটি নিয়ে তাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং একে অপরের সাথে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ রাখতে সম্মত হয়েছে।’

বিবৃতিটি ন্যাটো প্রধান রুটে এবং জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কোইজুমির মধ্যে অনুষ্ঠিত ১৫ মিনিটের এক ভিডিও কনফারেন্সের পর দেওয়া হয়েছে।

কোইজুমি রুটেকে আরও জানান, সম্প্রতি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ান সংলগ্ন আকাশে জাপানি বিমানের দিকে রাডার লক করে।

টোকিওর তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাশিয়ার দুটি টু-৯৫ পারমাণু সক্ষম বোমারু বিমান জাপান সাগর থেকে উড়ে গিয়ে পূর্ব চীন সাগরে চীনের দু’টি এইচ-৬ বোমারু বিমানের সঙ্গে মিলিত হয়। এরপর তারা যৌথভাবে জাপান ঘিরে টহল চালায়।

এ ঘটনায় জাপান জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিমান পাঠায়।

এদিকে, মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়া জানায়, একই দিনে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলেও প্রবেশ করে। তখন সিউলও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে।

চীন পরে নিশ্চিত করে, রাশিয়ার সঙ্গে এ মহড়া তাদের ‘বার্ষিক সহযোগিতা পরিকল্পনা’র অংশ।

রাশিয়া জানায়, এটি একটি নিয়মিত মহড়া। যা আট ঘণ্টা ধরে চলে। এ সময় বিদেশি যুদ্ধবিমানও তাদের অনুসরণ করে।

গত মাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী তাকাইচি বলেন, তাইওয়ানে চীনের হামলা হলে জাপান সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করবে। 

এদিকে, বেইজিং তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিয়ে আসছে।