বুধবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২৫ ১৪৩২, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

দুর্নীতি ও দুঃশাসনমুক্ত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গড়তে চায় জামায়াত: পরওয়ার তফসিলের পর অনুমোদনহীন আন্দোলন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ছাড়াল ৪০০ প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ আরও কয়েকটি এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা বেগম রোকেয়াকে ‘কাফির-মুরতাদ’ বললেন রাবি শিক্ষক শত বছরেও কেন আরেকজন রোকেয়া তৈরি হলো না, আক্ষেপ প্রধান উপদেষ্টার দেশের বাইরে যেতে চান না খালেদা জিয়া নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র জনগণ রুখে দেবে: নজরুল ফের সংঘর্ষে জড়াল ঢাকা কলেজ ও আইডিয়ালের শিক্ষার্থীরা ডিসেম্বরে এক লাখ ভ্যাট নিবন্ধনের লক্ষ্য এনবিআরের থাই হামলায় কম্বোডিয়ার নিহত বেড়ে ৬ লেবাননে হিজবুল্লাহর স্থাপনায় হামলার দাবি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর লন্ডনযাত্রা স্থগিত, আপাতত ঢাকাতেই চলবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত, হত্যাচেষ্টার অভিযোগ থানায় টানা ৪ দিন পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে আফগান সীমান্তের কাছে ‘জঙ্গি হামলায় ৬ পাকিস্তানি সেনা নিহত’ উত্তর-পূর্ব জাপানে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে আহত অন্তত ৩০

জাতীয়

গণহত্যা: হাসিনাসহ জড়িতদের কলরেকর্ডের ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ

 প্রকাশিত: ১৭:০৭, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

গণহত্যা: হাসিনাসহ জড়িতদের কলরেকর্ডের ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ

গতবছরের জুলাই-অগাস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের সময় শেখ হাসিনাসহ অন্যদের গুরুত্বপূর্ণ কলরেকর্ড পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সেসব কলরেকর্ড সিআইডিতে ফরেনসিক পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ওভারঅল এভিডেন্সের ব্যাপারে ফরেনসিকের টেস্টের জন্য আমরা কোর্টের আদেশ নিয়েছি।”

৫ অগাস্ট আন্দোলনকারীদের ঢাকামুখী লংমার্চের দিন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং পালিয়ে ভারতে চলে যান।

ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ ও ‘গণহত্যার’ অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা করার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

বিচারের মুখোমুখি করার জন্য শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর ভারতকে একটি কূটনৈতিক পত্র (নোট ভার্বাল) পাঠায় বাংলাদেশ সরকার। ভারত এর আনুষ্ঠানিক কোনো জবাব দেয়নি।

সোমবার চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, “বিভিন্ন ফুটেজ, বিভিন্ন মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও কলরেকর্ড বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে, বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে, বিভিন্ন সোর্স থেকে, সংবাদ মাধ্যম থেকে আমরা এগুলো আমরা পেয়েছি; কালেকশন করেছি।

“এগুলো কম্পাইলেশনের পর আমরা এখান থেকে বেছে বেছে সে ভয়েসগুলো, সেই ভিডিও ফুটেজগুলো, সেই দৃশ্যগুলো, সেই মেসেজগুলোকে ডিজিটালি ফরেনসিক করার জন্য সিআইডির কাছে পাঠানোর ব্যাপারে, সিআইডিকে একটা ফরেনসিক রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে একটা পিটিশন মুভ করেছিলাম।

তাজুল বলেন, “সেই পিটিশনে আমাদের প্রাপ্ত সার্টিফিকেশনগুলোয় ওরা আমাদের সার্টিফিকেশন দেবে। সেক্ষেত্রে যদি ওনারা কোনো বিশেষ ব্যক্তির নাম বলে থাকে, বিশেষ ব্যক্তি না আসলে ওভারল এভিডেন্সের ব্যাপারে আমরা ফরেনসিক টেস্টের জন্য কোর্টের আদেশ নিয়েছি।”

এসব তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে অসহযোগিতা পাওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি।

তাজুল ইসলাম বলেন, “এটা চলমান প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। সুতরাং কাউকে এ মুহূর্তে দায়ী করা বা ব্লেইম করার মতো অবস্থায় আমরা যাইনি। আমরা আপাতত কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ বা কাউকে দায়ী করছি না।”