মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ২৭ ১৪৩২, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায়ের কাছাকাছি শেখ হাসিনার ‘প্লট দুর্নীতি’ মামলা জুলাই সনদ নিয়ে এখন সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: রিজওয়ানা একনেক সভায় ৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকার ১২টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন পুরান ঢাকায় নিহত মামুনকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল দুই বছর আগেও ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর সুপারিশ নির্বাচন পিছিয়ে গেলে দেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে: মির্জা ফখরুল পুরান ঢাকায় হাসপাতালের সামনে একজনকে গুলি করে হত্যা এটা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নয়: আওয়ামী লীগকে প্রেস সচিবের হুঁশিয়ারি নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিক্ষোভের দিনে ঢাকায় বোমাবাজি রাজধানীতে ভোরে দুই বাসে আগুন ৮ বছর পর ভারত থেকে হিলি বন্দর দিয়ে আপেল আমদানি শুরু সংসদ নির্বাচন: অঞ্চলভেদে থাকবে কমান্ডো বাহিনী, কঠোর বার্তা ইসির আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩১ বিলিয়নে নামলো লতিফ সিদ্দিকীর জামিন বহাল গোপালগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ২ প্রাথমিক শিক্ষকদের সিদ্ধান্ত বদল, কর্মবিরতি চলবে একুয়াডোরে কারাগারে দাঙ্গার মধ্যে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু

জাতীয়

গণহত্যা: হাসিনাসহ জড়িতদের কলরেকর্ডের ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ

 প্রকাশিত: ১৭:০৭, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

গণহত্যা: হাসিনাসহ জড়িতদের কলরেকর্ডের ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ

গতবছরের জুলাই-অগাস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের সময় শেখ হাসিনাসহ অন্যদের গুরুত্বপূর্ণ কলরেকর্ড পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সেসব কলরেকর্ড সিআইডিতে ফরেনসিক পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ওভারঅল এভিডেন্সের ব্যাপারে ফরেনসিকের টেস্টের জন্য আমরা কোর্টের আদেশ নিয়েছি।”

৫ অগাস্ট আন্দোলনকারীদের ঢাকামুখী লংমার্চের দিন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং পালিয়ে ভারতে চলে যান।

ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ ও ‘গণহত্যার’ অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা করার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

বিচারের মুখোমুখি করার জন্য শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর ভারতকে একটি কূটনৈতিক পত্র (নোট ভার্বাল) পাঠায় বাংলাদেশ সরকার। ভারত এর আনুষ্ঠানিক কোনো জবাব দেয়নি।

সোমবার চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, “বিভিন্ন ফুটেজ, বিভিন্ন মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও কলরেকর্ড বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে, বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে, বিভিন্ন সোর্স থেকে, সংবাদ মাধ্যম থেকে আমরা এগুলো আমরা পেয়েছি; কালেকশন করেছি।

“এগুলো কম্পাইলেশনের পর আমরা এখান থেকে বেছে বেছে সে ভয়েসগুলো, সেই ভিডিও ফুটেজগুলো, সেই দৃশ্যগুলো, সেই মেসেজগুলোকে ডিজিটালি ফরেনসিক করার জন্য সিআইডির কাছে পাঠানোর ব্যাপারে, সিআইডিকে একটা ফরেনসিক রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে একটা পিটিশন মুভ করেছিলাম।

তাজুল বলেন, “সেই পিটিশনে আমাদের প্রাপ্ত সার্টিফিকেশনগুলোয় ওরা আমাদের সার্টিফিকেশন দেবে। সেক্ষেত্রে যদি ওনারা কোনো বিশেষ ব্যক্তির নাম বলে থাকে, বিশেষ ব্যক্তি না আসলে ওভারল এভিডেন্সের ব্যাপারে আমরা ফরেনসিক টেস্টের জন্য কোর্টের আদেশ নিয়েছি।”

এসব তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে অসহযোগিতা পাওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি।

তাজুল ইসলাম বলেন, “এটা চলমান প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। সুতরাং কাউকে এ মুহূর্তে দায়ী করা বা ব্লেইম করার মতো অবস্থায় আমরা যাইনি। আমরা আপাতত কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ বা কাউকে দায়ী করছি না।”