সোমবার ১৭ নভেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২ ১৪৩২, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

ইন্দোনেশিয়ার ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১

 প্রকাশিত: ১৮:৩৯, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

ইন্দোনেশিয়ার ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১

ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে ভূমিধসে কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধারকারীরা এখনও নিখোঁজ ১২ জনকে খুঁজে বের করার জন্য উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

শনিবার দেশটির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন। 

প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে বৃহস্পতিবার মধ্য জাভা প্রদেশের তিনটি গ্রামের কিছু ঘরবাড়ি চাপা পড়ে ও অন্যান্য বেশকিছু স্থাপনার ক্ষতি হয়। 

খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

স্থানীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থার প্রধান মুহাম্মদ আবদুল্লাহ এএফপিকে বলেন, শনিবার বিকেল পর্যন্ত ১১ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করা হয়েছে এবং নিখোঁজ আরও ১২ জনের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘অনুসন্ধান ও উদ্ধার অফিস, সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের ৭০০ জনেরও বেশি সদস্য এই অভিযানে অংশ নিয়েছেন।’ 

এর আগে জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার দুটি, শুক্রবার একটি ও  শনিবার আটটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার অনুসন্ধানে সহায়তা করার জন্য খননকারী যন্ত্র ও (অনুসন্ধানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) ট্র্যাকিং কুকুর মোতায়েন করেছে।

জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা চলতি সপ্তাহের শুরুতে জলবায়ু বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছিল।

তারা আরো জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহগুলোতেও ইন্দোনেশিয়ার বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

দেশটিতে বার্ষিক বর্ষা মৌসুম সাধারণত নভেম্বর মাস থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত থাকে। 

ইন্দোনেশিয়ায় এই সময়ে প্রায়শই ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা ও জলবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

জলবায়ু পরিবর্তন ঝড়ের ধরণকেও প্রভাবিত করেছে এবং আগের চেয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো স্বরূপ পাল্টে গেছে। যার মধ্যে রয়েছে মৌসুমের সময়কাল ও তীব্রতা, ভারী বৃষ্টিপাত, আকস্মিক বন্যা ও শক্তিশালী বাতাসের আঘাত।

নভেম্বরের শুরুতে, পাপুয়ার একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫ জনের প্রাণহানি ঘটে।