রোববার ১৬ নভেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২ ১৪৩২, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, ৪ লাশ উদ্ধার

 প্রকাশিত: ১০:৪১, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, ৪ লাশ উদ্ধার

লিবিয়ার উপকূলে অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীদের বহনকারী দুটি নৌকা ডুবে কমপক্ষে চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট।

রেড ক্রিসেন্টের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে উপকূলীয় শহর আল-খোমসের কাছে এ নৌ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রথম নৌকাটিতে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ২৬ জন ছিলেন, যাদের মধ্যে চার জন মারা গেছেন।

দ্বিতীয় নৌকাটিতে ছিলেন ৬৯ জন, তাদের মধ্যে দুজন মিশরের নাগরিক এবং বেশ কয়েকজন সুদানি নাগরিক ছিলেন। তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা স্পষ্ট নয়। ওই নৌকায় আট জন শিশু ছিল বলে তথ্য দিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট।

ত্রিপোলির পূর্বদিকে প্রায় ১১৮ কিলোমিটার দূরের উপকূলীয় শহর আল-খোমস ইউরোপগামী অবৈধ অভিবাসীদের অন্যতম কেন্দ্র।

২০১১ সালে নেটো-সমর্থিত গণবিক্ষোভে মোয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই লিবিয়া পরিণত হয়েছে সংঘাত ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে ইউরোপমুখী মানুষের প্রধান ট্রানজিট রুটে।

নৌকাডুবিতে নিহতদের মরদেহ মোড়ানো সারিবদ্ধ কালো ব্যাগের একটি ছবি প্রকাশ করেছে লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট।

আরেক ছবিতে দেখা যায়, উদ্ধার হওয়া মানুষগুলোকে কম্বল জড়িয়ে প্রাথমিক সেবা দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।

বিবৃতিতে বলা হয়, লিবিয়ার কোস্টগার্ড ও আল-খোমস বন্দরের নিরাপত্তা সংস্থা নৌকাডুবির ঘটনার পর উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। শহরের পাবলিক প্রসিকিউশনের নির্দেশনায় মরদেহগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম বুধবার জানায়, আল বুরি তেলক্ষেত্রের একটি রাবারের নৌকা ডুবে কমপক্ষে ৪২ জন নিখোঁজ হয়েছেন এবং তাদের মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। ওই তেলক্ষেত্র লিবিয়ার উত্তর–উত্তর-পশ্চিম সমুদ্র এলাকায় অবস্থিত।

অক্টোবরের মাঝামাঝি ত্রিপোলির পশ্চিম উপকূলে ৬১ জন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সেপ্টেম্বরে আইওএম জানায়, লিবিয়া উপকূলে ৭৫ সুদানি শরণার্থী বহনকারী একটি নৌকায় আগুন লাগার পর কমপক্ষে ৫০ জন মারা যান।

যুক্তরাজ্য, স্পেন, নরওয়ে ও সিয়েরা লিওনের মত দেশগুলো গত সপ্তাহে জেনিভায় জাতিসংঘের এক বৈঠকে লিবিয়াকে তাদের আটককেন্দ্রগুলো বন্ধ করার আহ্বান জানায়। এসব কেন্দ্রে অভিবাসী ও শরণার্থীদের ওপর নির্যাতন, সহিংসতা ও হত্যার অভিযোগ করে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।