বৃহস্পতিবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২৭ ১৪৩২, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

তারেক রহমানের ফেরার দিন যেন বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: ফখরুল ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪১১ শুক্রবার থেকে সারাদেশে নামছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাখাইনে ‘হাসপাতালে মিয়ানমার জান্তার বিমান হামলায়’ নিহত অন্তত ৩০ সরকারি ব্যয় সংকোচনে ‘কিছুটা সফল’: ইলন মাস্ক গত রাতে ২৮৭টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি রাশিয়ার স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে অস্ট্রিয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে অভিবাসীর চাপে বিপর্যস্ত এডেন শহর চিকিৎসায় ‘রেসপন্স’ করছেন খালেদা জিয়া গোপালগঞ্জে কভার্ড ভ্যান চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত ধনীদের জন্য চালু হল ট্রাম্পের ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসা চীন-রাশিয়ার যৌথ যুদ্ধবিমান টহলে জাপান-ন্যাটো’র গভীর উদ্বেগ

স্বাস্থ্য

এই সবজি প্রতি কেজির দাম লাখ টাকারও বেশি!

 প্রকাশিত: ০৮:৫২, ৩ এপ্রিল ২০২১

এই সবজি প্রতি কেজির দাম লাখ টাকারও বেশি!


 হিউমুলাস লুপুলাস একটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ।সারাবিশ্বের কাছে এই গাছটির অবশ্য আলাদা একটি পরিচয় রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি সবজির গাছ এটি। এর প্রতি কেজির দাম ১ লাখ টাকারও বেশি!
বাজারে চাহিদা না থাকায় ভারত-বাংলাদেশে এই সবজির চাষ হয় না। মূলত ইউরোপ এবং আমেরিকায় এর বহুল উৎপাদন হয়ে থাকে।
হিউমুলাস লুপুলাস। একটি গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম। যদিও খুব কম মানুষই এই নামটির সঙ্গে পরিচিত।

 সম্প্রতি ভারতের বিহারের এক ব্যক্তি তার জমিতে এই গাছের চাষ করেন। এক আইএএস  অফিসার সবজির ছবি-সহ দামের উল্লেখ করে ইন্টারনেটে পোস্ট করা মাত্রই হইচই পড়ে গেছে।

বিহারের ওই ব্যক্তির নাম অমরেশ সিংহ। ভারতে তিনিই প্রথম এই সবজির চাষ করছেন। এর নাম হপ শুটস।

বিহারের আওরঙ্গবাদে প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ৫ কাঠা জমিতে তিনি এই সবজির চাষ করেছেন।

সবজিটি দেখতে অনেকটা অ্যাসপারাগাসের মতো। খেতেও অনেকটা সে রকমই। অ্যাসপারাগাস যেভাবে রান্না করে খেতে হয় এই সবজিও সেভাবেই খেতে পারেন। এ ছাড়া আরও অনেক ব্যবহার রয়েছে এর।

এই গাছের ফুল হপ নামে পরিচিত। এই ফুল দিয়ে বিয়ার তৈরি করা হয়। কোনও পানীয়তে সুগন্ধী দেওয়ার কাজেও লাগে এই ফুল। হপ ফুল দিয়ে তৈরি বিয়ার সহজে নষ্ট হয় না।

মূলত পানীয় তৈরিতেই প্রথম এই গাছের ব্যবহার সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তারপর ধীরে ধীরে এর ঔষধি গুণ সামনে আসতে শুরু করে।

ওই সবজি প্রথম চাষ হয় ৭৩৬ সালে জার্মানিতে। তবে প্রথম হপ শুটস পানীয়তে ব্যবহার করা হয় ১০৭৯ সালে। পরবর্তী কালে হপ শুটস-এর আরও অনেক ঔষধি গুণের কথা সামনে আসে।

এর বিশেষ অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল গুণ রয়েছে। টিবি রোগীদের ওষুধ তৈরিতে, ক্যানসারের চিকিৎসায় কাজে লাগে হপ শুটস। এই সমস্ত কারণেই হপ শুটস-এর এমন আকাশছোঁয়া দাম।

হপ শুটস-এর মধ্যে থাকা অ্যাসিড ক্যানসার আক্রান্ত কোষগুলোকে নষ্ট করে দেয়। ক্যানসারের ওষুধ তৈরিতে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই হপ শুটস নিয়ে বহু গবেষণাও চলছে।

এই গাছটি মূলত ঝোপ প্রকৃতির। ফুলগলো সবুজ রঙের আর খুব নরম। তাই খুব সাবধানে গাছ থেকে তুলতে হয় সেগুলো। তোলার সময় ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা আর বিক্রির যোগ্য থাকে না।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল