বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫, বৈশাখ ১৮ ১৪৩২, ০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

রাজনীতি

তিন দিনের ছুটিতে ঢাকায় তিন দলের সমাবেশ

 প্রকাশিত: ০৮:৫৮, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

তিন দিনের ছুটিতে ঢাকায় তিন দলের সমাবেশ

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ মে) থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনের সরকারি ছুটি। এই সময় রাজধানী ঢাকায় তিনটি ভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠন পৃথক জনসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যার ফলে ব্যাপক জনসমাগম ও রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে।

প্রথম দিন ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বিএনপি নয়াপল্টনে শ্রমিক সমাবেশ করবে। বিকেল ২টায় শুরু হতে যাওয়া এ সমাবেশে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হবেন। উপস্থিত থাকবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা। আয়োজনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নজরুল ইসলাম খান ও শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। আশপাশের জেলা থেকেও বিএনপির কর্মীরা সমাবেশে যোগ দেবেন।

দ্বিতীয় দিন ২ মে শুক্রবার বিকেল ৩টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে সমাবেশ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণহত্যার দায়ে বিচার, দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানানো হবে। এনসিপি জানিয়েছে, এই সমাবেশে ১০–১৫ হাজার লোক অংশ নিতে পারেন। এর আগে ২১ এপ্রিল থেকে তারা ঢাকায় বিভিন্ন এলাকায় কর্মসূচি চালিয়ে আসছে।

তৃতীয় দিন ৩ মে শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এক মাসের প্রস্তুতির পর এই কর্মসূচি আয়োজন করা হচ্ছে। সমাবেশে প্রধান দাবি হচ্ছে সংগঠনের নেতাদের নামে থাকা প্রায় ৩০০ মামলা প্রত্যাহার। এছাড়া নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল, সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর, ২০২১ সালের মোদির সফর ও ২০২৪ সালের বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের বিচার, এবং ফিলিস্তিন ও ভারতের মুসলিম নিপীড়ন বন্ধের দাবিও উত্থাপন করা হবে।

হেফাজতের নেতারা জানিয়েছেন, ৫ মে (সোমবার) সরকারি কর্মদিবস হওয়ায় জনদুর্ভোগ এড়াতে এবং ইসলামী নীতির প্রতি সম্মান জানিয়ে তারা ছুটির দিন ৩ মে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁদের মতে, এই মহাসমাবেশের উদ্দেশ্য শুধু দাবি আদায় নয়, বরং সরকার ও রাজনৈতিক মহলে তাদের প্রভাব তুলে ধরা।

তিন দিনের এই ছুটির মধ্যে অনুষ্ঠিত তিনটি বড় সমাবেশ রাজধানীর জনজীবনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্যও এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।