মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫, আষাঢ় ৪ ১৪৩২, ২০ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

ব্রেকিং

ইরানে বাংলাদেশিদের সহায়তায় হটলাইন চালু উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ: সিলেটে তিনজন কারাগারে ইসরায়েলের টার্গেটে ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার ভবন লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ১৩ জুন তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন: ফখরুল রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হবে কাঁচের মতো স্বচ্ছ ঘর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের ঘোষিত সময় মাথায় রেখে যথাসময়ে রোডম্যাপ দেবে ইসি: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিন মণিপুরে আবার উত্তেজনা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের চাপে ঢাকার ৪ থানায় সক্রিয় অর্ধশতাধিক অপরাধী দল জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি: সালাহউদ্দিন আহমদ জুলাই সনদ–ঘোষণাপত্র হলে ঘোষিত সময়ে নির্বাচনে আপত্তি নেই: এনসিপি ২৫ কিলোমিটার যানজট, ২৪ ঘণ্টায় পারাপার ৬৪ হাজার যানবাহন বান্দরবানের রুমা ও থানচি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে প্রত্যাহার গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, জাতিসংঘ নিরাপত্তা গরম মসলার বাজার শীতল: ক্রেতা কমে যাচ্ছে, দাম কিছুটা স্থিতিশীল ঈদে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই-মিষ্টি মজুত, রংপুরে হিমাগারে অভিযান ও দুই লাখ টাকা জরিমানা বান্দরবানের লামায় পাহাড় ধসের শঙ্কায় ৬০ রিসোর্ট বন্ধ নির্বাচন নিয়ে তরুণদের প্রতি অসত্য অভিযোগ ও বাস্তবতা ভারতের মুসলমানদের কেন বারবার দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হয় সংবিধান পরিবর্তন ছাড়া ফ্যাসিবাদ বিলোপ সম্ভব নয়: এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক একুশের বন্ধুত্বে আগামীর পথচলা: বার্ষিক সম্মেলনে ২১তম বিসিএস প্রশাসন ফোরাম বিজিএমইএ`র নতুন নেতৃত্বে আসছেন বাবু, নিরঙ্কুশ জয়ের ইঙ্গিত জিলহজ মাসের আমল ও কোরবানির তাৎপর্য চট্টগ্রামে নারীকে লাথির ঘটনায় ভাইরাল আকাশ চৌধুরী বহিষ্কৃত, জামায়াতের বিবৃতি সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেই, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিল পবিস শ্রমিকরা আনচেলত্তির স্বপ্ন - রিয়াল মাদ্রিদের মতো করে খেলাবেন ব্রাজিলকে ডিমের দাম এখনো চড়া, ডজন ১৩০–১৪০ টাকায় বিক্রি বৈরী আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপের সঙ্গে সারাদেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ হারের পর লিটনের মনোভাব - এখনো দুই ম্যাচ বাকি কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব জুয়েলারি দোকান বন্ধ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করবে ডিএনএ টেস্ট করে নামফলক ও মর্যাদা চায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা বেতন না পেয়ে ডাকাতি, জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ তিনজন আটক “বাংলাদেশে কৌশলগত স্বার্থ নেই দক্ষিণ কোরিয়ার”—রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক “শাপলার হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই”—হেফাজতের বিবৃতি মির্জা আব্বাস: “করিডর আর স্টারলিংক আনা হচ্ছে আরাকান আর্মির জন্য” জিলহজ মাসের চাঁদ দেখে যে দোয়া পড়বেন নির্বাচনের আগে যতটুকু দরকার, ততটুকুই সংস্কার করতে হবে: মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ‘চিন্তার স্বাধীনতাও হারাচ্ছি?’— নারী কমিশন বিতর্কে গীতিআরার উদ্বেগ ইউক্রেনে রাশিয়ার টানা হামলায় নিহত ১২, কঠোর চাপের আহ্বান জানালেন জেলেনস্কি সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন – তিনটি কঠিন দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট আমরা জুলাই অভ্যুত্থান ক্ষমতার পালাবদল নয়, এটি মৌলিক সংস্কার: নাহিদ হলুদ সাংবাদিকতা’ বিরোধী স্লোগানে উত্তাল শিক্ষক মিছিল ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আখাউড়া বন্দর দিয়ে রপ্তানি কমেছে ৪০% বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলছে, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি জাতীয় স্বার্থে অভিমান ভুলে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান : জামায়াত আমির আন্দোলনের পর অবশেষে নিয়োগ পেলেন ৪৩তম বিসিএসের বাদ পড়া ১৬২ জন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে ইসির সামনে এনসিপির বিক্ষোভ কাল বাংলাদেশে স্টারলিংকের যাত্রা, স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের নতুন যুগ শুরু নরওয়ের দৃঢ় সমর্থন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিগত সরকারের সময় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত, এমন অবস্থা ছিল যে খতিবকেও পালাতে হয়েছিল: বাণিজ্য উপদেষ্টা গায়ের জোরে নগর ভবন দখল করে আন্দোলন চালাচ্ছে বিএনপি আবারও রাজপথে নামার ইঙ্গিত আসিফের, সতর্ক করলেন হাসনাত গোপন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন স্থগিত, ২০ মে আলোচনায় বসবে ঐক্য পরিষদ ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞা সীমান্ত বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে ভারতের নতুন সিদ্ধান্তে উত্তর-পূর্বাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশি ভোগ্যপণ্য আমদানি বন্ধ গত ৯ মাসে জুলাই-যোদ্ধাদের ওপর ৩৮টি হামলা জবি’র ৪ দফা দাবি মেনে নেওয়ায় আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা ডিবি থেকে মুক্তির পর আন্দোলনে উল্লাস জবি শিক্ষার্থীর গাজা দখলে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা পুনর্ব্যক্ত করলেন ট্রাম্প শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডে বিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকার উপদেষ্টা আসিফের সোনার দাম ভরিতে কমল ৩ হাজার ৪৫২ টাকা, নতুন দর কার্যকর শুক্রবার থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: নিরাপত্তা নিশ্চিতে বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওমর আব্দুল্লাহর উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ‘চলবে’, শনিবার গণজমায়েত ড্রোন যুদ্ধ: ভারত-পাকিস্তান বিরোধের নতুন অধ্যায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা ‘আপ বাংলাদেশ’–এর আত্মপ্রকাশ পূর্বঘোষণা ছাড়া ভারত সফরে সৌদি প্রতিমন্ত্রী, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের দেশীয় ওষুধ কোম্পানি রেনাটাকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে আইএফসি তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের নির্দেশে ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ

ইসলাম

রাসূল সা: এর অনিন্দ্য সুন্দর বিনয় ও সারল্য

 প্রকাশিত: ১০:২২, ২৮ আগস্ট ২০২১

রাসূল সা: এর অনিন্দ্য সুন্দর বিনয় ও সারল্য

আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সা) ছিলেন অনন্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে পূর্ণ এক মানুষ। তিনি ছিলেন অনবদ্য বিনয় এবং সারল্যের অধিকারী এক ব্যক্তিত্ব যার কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। যদি আমরা তার সুন্নাহ মেনে চলি তাহলে আমরা নিজেদের জীবনযাত্রায় কাঙ্ক্ষিত উন্নতি সাধন করতে পারব। 

আমরা প্রত্যেকেই নিজেদেরকে একে অপরের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করি। এটি চূড়ান্তভাবে অহংকারের জন্ম দেয়। এই অহংকারই একে অপরের প্রতি নেতিবাচক অনুভূতি নিয়ে আসে। 

নবী করীম (সা) এর অসংখ্য অনুসারী থাকা সত্ত্বেও তিনি আচরণে ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী। কখনোই তিনি তার সাহাবী কিংবা অন্যদের সামনে নিজেকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে উপস্থাপন করেননি। 

মুহাম্মদ (সা) কখনোই ক্ষমতাধর ব্যক্তি কিংবা রাজা বাদশাহদের মতো সম্মানিত হওয়া পছন্দ করতেন না। তিনি তার সম্মানে অন্যদেরকে দাঁড়াতে কিংবা হাঁটু গেড়ে বসতে নিষেধ করতেন। তিনি খুবই সাধারণ একটি বাড়িতে বসবাস করতেন এবং অতি সাধারণ খাবার খেতেন। 

নবী হওয়া সত্ত্বেও তিনি এই প্রভাবকে নিজের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের কাজে ব্যবহার করেননি। সমৃদ্ধের মাঝে নয়, বরং তার জীবন কেটেছিল মানবতা এবং বিনয়ের নিবিড় ছোঁয়ায়।

   আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত: 

"যাকে আল্লাহ তা‘আলা সম্পদ দান করেছেন, কিন্তু সে এর যাকাত আদায় করে নি-  কিয়ামতের দিন তার সম্পদকে টেকো মাথা বিশিষ্ট বিষধর সাপের আকৃতি দান করে তার গলায় মালা হিসেবে পরিয়ে দেওয়া হবে। সাপটি তার মুখের দুই পার্শ্বে কামড় দিয়ে বলতে থাকবে- আমি তোমার সম্পদ, আমি তোমার জমাকৃত সম্পদ।" (আল-বুখারী, ১৪০৩)
 

একবার রাসূল (সা) তার কিছু সাহাবীদের সাথে সফরে ছিলেন। যখন খাবার তৈরির সময় হলো, তিনি তখন একটি ভেড়া জবাই করার নির্দেশ দিলেন। 

 একজন সাহাবী বললেন: আমি ভেড়াটি জবাই করব, অন্য জন বললেন: আমি এটার চামড়া ছাড়াবো। তৃতীয় জন বললেন: আমি রান্না করবো। এরপর আল্লাহর রাসূল (সা) বললেন:

  আমি আগুনের জন্য কাঠ সংগ্রহ করব। 

 তারা বললেন: "না। আপনার সে কাজের জন্য আমরাই যথেষ্ট।"

আমি জানি তোমরা আমার জন্য তা করতে পারো। কিন্তু আমি এভাবে সুবিধা নেয়াকে অপছন্দ করি। আল্লাহ সেই বান্দাকে ঘৃণা করেন যে অন্যের কাছ থেকে সুযোগ নেয়।

    তাই তিনি উঠলেন এবং আগুন ধরানোর জন্য কাঠ সংগ্রহে লেগে পড়লেন। 

   (খুলাসা আস-সিয়ার, পৃ. ২২)

মুহাম্মদ (সা) ছিলেন একজন অনুকরণীয় স্বামী এবং পিতা। কয়েকজন স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি তাদের সবাইকে তাদের প্রাপ্য অধিকার দিতেন, সমান চোখে দেখতেন। 

এছাড়াও তিনি বাড়ির কাজেও তাদেরকে সাহায্য করতেন। নিজেই নিজের জুতা এবং কাপড় সেলাই করতেন। একজন ভালো স্বামী এবং ভালো বাবা হওয়ার পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন ভালো মানুষ। নারীদেরকে তিনি খুব মর্যাদা দিতেন। 

   আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা) বলেন: 

কোনো নারীর খাস কামরায় তিনি থাকতেন একজন কুমারী মেয়ের চেয়েও লজ্জাশীল। যখন তিনি কোনো কিছুর উপর বিরক্ত হতেন, সেটার ছাপ তার মুখে পড়তো। তিনি কখনো কারও দিকে তাকাতেন না, সবসময় চোখ নামিয়ে রাখতেন। তিনি যত বেশি না আকাশের দিকে তাকাতেন, তার চেয়ে বেশি দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখতেন মাটিতেই। কারও প্রতি তাকাতে হলে তিনি তাকে এক পলক দেখে নিতেন।
   (আল-বুখারী ১/৫০৪)

   গরীবদের প্রতি মহানুভবতা 

নবী করীম (সা) গরীব এবং অভাবীদের প্রতি সবসময়ই ছিলেন সদাচারী। তিনি কখনোই দাস দাসীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতেন না। তিনি তাদেরকে একইভাবে মর্যাদা দিতেন। নববধূ খাদিজার কাছ থেকে তিনি যখন উপহার হিসেবে যায়েদ ইবনে হারিসা (রা) কে পান, তিনি তার সাথে এতটাই মমত্বের বন্ধনে জড়িয়ে পড়েন যে তাকে পালক পুত্র হিসেবে লালন পালন করতে থাকেন। পরবর্তীতে যায়েদ রাসূল (সা) এর অন্যতম ঘনিষ্ঠ সাহাবী হিসেবে মর্যাদা লাভ করেন। 

   আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেন: 

"যে ব্যক্তি কোনো বিধবা এবং একজন দরিদ্র ব্যক্তির  দেখাশোনা করে, তার সাদৃশ্য আল্লাহর পথে লড়াইকারী একজন যোদ্ধা অথবা সেই ব্যক্তির মতো- যে দিনে রোজা রাখে এবং সারা রাত নামাজ আদায় করে।"
     (আল-বুখারী, ৬০০৬)

নবীজীর চরিত্র ছিল এমন, যা দেখে মানুষ ইসলাম গ্রহণে আগ্রহী হয়ে উঠেছিল। তিনি দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবন সম্পর্কে অবগত ছিলেন এবং জানতেন আমাদের চূড়ান্ত আবাস পরকালে। 

তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমাদেরকে নিজেদের কাজের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত এবং একজন ভাল মুসলিম হওয়ার চেষ্টা করা প্রয়োজন যাতে আমরা আশপাশের সকলের জন্য উত্তম উদাহরণ হতে পারি।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল