সোমবার ০৩ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ১৯ ১৪৩২, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

‘হযবরল’ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলায় আনার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার ‘শাপলা কলি’তেই রাজি এনসিপি ‘অনৈক্যের’ জন্য বিএনপি-জামায়াত সমানভাবে ‘দায়ী’: নাহিদ ইসলাম ভোটার বেড়ে দাঁড়াল ১২ কোটি ৭৬ লাখ ক্যান্সার নিয়ে সর্বজনীন সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার হাসিনাসহ রেহানা পরিবারের তিন মামলায় আরও ১১ জনের সাক্ষ্য মানবতাবিরোধী অপরাধে ইনুর বিচার শুরুর আদেশ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ ঢাকার কাতারের নিরাপত্তা হুমকির বিরুদ্ধে সংহতি পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশের মোনথার প্রভাবে বৃষ্টি, সাগরে ফের লঘুচাপের আভাস যুক্তরাজ্যে ট্রেনে ছুরিকাঘাত, হাসপাতালে ১০ জন বিশ্বকাপের তিন মাস আগে টি-টোয়েন্টিকে বিদায় উইলিয়ামসনের

লাইফস্টাইল

আলসেমি দূর করার জন্য ১৫টি স্বাস্থ্যকর উপায়

 আপডেট: ১২:৫১, ৬ জানুয়ারি ২০২৫

আলসেমি দূর করার জন্য ১৫টি স্বাস্থ্যকর উপায়


আপনি হয়তো কর্মক্ষেত্রে এমন সময়ের সম্মুখীন হয়েছেন যখন আপনি মোটিভেশন হারিয়েছেন বা আপনার সেরাটা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। যখন এই পরিস্থিতি বারবার ঘটে, এটি আপনার কাজের পারফরম্যান্স এবং সময়মতো কাজ শেষ করার ক্ষমতাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। সৌভাগ্যক্রমে, আপনার মোটিভেশন এবং উৎপাদনশীলতা পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করার জন্য বেশ কিছু অভ্যাস এবং কৌশল রয়েছে। এই নিবন্ধে, আমরা আলসেমি দূর করতে এবং আপনার কাজের পারফরম্যান্স উন্নত করতে সাহায্য করার জন্য ১৫টি টিপস অন্বেষণ করেছি এবং এই অভ্যাসগুলো কীভাবে কাজে লাগানো যায় তার পরামর্শ দিয়েছি।

১. আপনার কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দিন

যখন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একাধিক কাজ সম্পন্ন করার প্রয়োজন হয়, তখন সেগুলো পরিচালনার জন্য কার্যকর পদ্ধতি গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

  • কাজের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করুন: কোন কাজগুলো জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ তা চিহ্নিত করুন।
  • ডেডলাইন এবং ক্লায়েন্ট প্রত্যাশা বিবেচনা করুন: কোন কাজ আগে সম্পন্ন করতে হবে তা নির্ধারণ করুন।
  • প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করুন: গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করার পর আপনি মানসিকভাবে আরও ভালো অনুভব করবেন।

২. বড় কাজগুলোকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করুন

বড় প্রকল্প শুরু করার আগে তা ছোট ছোট ধাপে ভাগ করুন।

  • উদাহরণস্বরূপ: একটি ৬০,০০০ শব্দের বই লেখার পরিকল্পনা থাকলে, প্রতিদিন কত শব্দ লিখতে হবে তা নির্ধারণ করুন।
  • বড় কাজকে ছোট অংশে ভাগ করলে: কাজটি আরও সহজ এবং পরিচালনাযোগ্য মনে হবে।

৩. বিভ্রান্তি শনাক্ত করুন এবং সীমিত করুন

আপনার কাজের সময় সাধারণত কী আপনাকে বিভ্রান্ত করে তা শনাক্ত করুন এবং তা সীমিত করার উপায় খুঁজুন।

  • বাড়ি থেকে কাজ করলে: বাড়ির টিভি, লোকজন, বা অন্যান্য বিষয় থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
  • অফিসে কাজ করলে: মোবাইল ফোনের নোটিফিকেশন বন্ধ করুন এবং একটি শান্ত জায়গায় বসুন।

৪. নিয়মিত বিরতি নিন

টানা কাজ করা আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

  • বিরতি আপনার মনকে সতেজ রাখে।
  • হালকা ব্যায়াম বা হাঁটার অভ্যাস করুন: এটি আপনার এনার্জি বাড়াবে।

৫. মনোযোগ বাড়ানোর জন্য সংগীত শুনুন

সংগীত আপনার উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারে।

  • ক্লাসিকাল মিউজিক, প্রকৃতির শব্দ বা অ্যাম্বিয়েন্ট মিউজিক শুনুন।
  • যদি সংগীত বিরক্ত করে, নীরবতায় কাজ করুন।

৬. আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

আপনার দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য লিখুন।

  • লক্ষ্যের তালিকা তৈরি করুন।
  • লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করুন।

৭. নড়াচড়া করুন

কর্মক্ষমতা বাড়াতে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ অপরিহার্য।

  • হালকা ব্যায়াম বা দাঁড়িয়ে কাজ করুন।
  • লাঞ্চ ব্রেকে হাঁটার অভ্যাস করুন।

৮. সাফল্যের জন্য নিজেকে পুরস্কৃত করুন

নিজেকে পুরস্কৃত করলে কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে।

  • যেমন: কঠিন কাজ শেষ করার পর আপনার পছন্দের খাবার খান।

৯. টাইমার ব্যবহার করুন

কাজের সময়কে ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করতে টাইমার ব্যবহার করুন।

  • ৩০-৬০ মিনিট কাজ করুন এবং বিরতি নিন।
  • কাজকে সময়ে ভাগ করলে তা কম ভীতিকর মনে হবে।

১০. অভ্যাসগুলো ভিজুয়ালি ট্র্যাক করুন

একটি ভিজুয়াল ক্যালেন্ডারে প্রতিদিনের কাজের অগ্রগতি চিহ্নিত করুন।

  • উদাহরণ: কাজ সম্পন্ন হলে ক্যালেন্ডারে একটি চিহ্ন দিন।

১১. সচেতনতার চর্চা করুন

মেডিটেশন বা মননশীলতা আপনাকে স্ট্রেস মুক্ত করে।

  • মেডিটেশন অ্যাপ বা ভিডিও ব্যবহার করুন।
  • হাঁটাহাঁটি বা শ্বাস নেওয়ার ব্যায়াম করুন।

১২. আগের রাতে কাজের রুটিন তৈরি করুন

আগামী দিনের কাজের জন্য প্রস্তুত হতে আগের রাতে একটি তালিকা তৈরি করুন।

  • সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো তালিকার শীর্ষে রাখুন।

১৩. প্রাক-কর্ম রুটিন তৈরি করুন

কাজ শুরুর আগে ১৫-৩০ মিনিট সময় নিয়ে পছন্দসই কিছু করুন।

  • যেমন: প্রিয় ব্রেকফাস্ট খান বা পডকাস্ট শুনুন।

১৪. একজন সহকর্মীর সহায়তা নিন

আপনার অগ্রগতি ট্র্যাক করতে সহকর্মী বা বন্ধুর সাহায্য নিন।

  • একটি সাপ্তাহিক চেক-ইন নির্ধারণ করুন।
  • আপনার লক্ষ্যগুলো ভাগ করুন এবং পরস্পরকে উৎসাহ দিন।

১৫. দিনের শেষে মূল্যায়ন করুন

আপনার দিনটি কেমন গেল তা পর্যালোচনা করুন।

  • লিখে রাখুন আপনি কী অর্জন করেছেন এবং কীভাবে উন্নতি করবেন।

নতুন অভ্যাস গ্রহণের টিপস

  • আপনার অগ্রগতি ট্র্যাক করুন।
  • একাধিক অভ্যাস একসঙ্গে গ্রহণ করবেন না।
  • নিজের প্রতি সদয় হন।
  • কাজ ভাগাভাগি করুন: প্রয়োজনে সহকর্মীদের সাহায্য নিন।