পদস্খলিতদের পুনর্বাসন: আদর্শিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ
আদর্শিক কিংবা রাজনৈতিকভাবে পদস্খলিত ব্যক্তিরা দেশ, জাতি ও ইসলামের জন্য কখনোই কল্যাণকর হতে পারে না। সাধারণত পদস্খলন ঘটে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার হীন উদ্দেশ্যে অথবা দেশ–জাতি–ইসলামবিরোধী শক্তির চর হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে। অতিমাত্রায় উচ্চাভিলাষ, ক্ষমতার মোহ, পদলোভ, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববিরোধী ষড়যন্ত্র, কিংবা ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থবিরোধী অবস্থান, এসবই পদস্খলনের প্রধান কারণ হিসেবে পরিলক্ষিত হয়।
এ ধরনের চরিত্রের ব্যক্তিরা অনেক সময় কোনো রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানে অন্যের এজেন্ট হিসেবে অনুপ্রবেশ করে। তারা মূলত স্বার্থের পূজারি। তবে এরা তাদের কুৎসিত চেহারা বেশিদিন পর্দার আড়ালে লুকিয়ে রাখতে পারে না। একসময় মুখোশ উন্মোচিত হলে দল বা সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত হয় এবং সর্বত্র ধিকৃত হয়। এমন কপটদের কোনো দলে আশ্রয় দেওয়া কিংবা গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করা সংশ্লিষ্ট দলের আদর্শিক ও রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বেরই সুস্পষ্ট প্রমাণ, সে দল ধর্মীয় হোক কিংবা সেক্যুলার বা জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক ধারারই হোক না কেন।
নিছক ক্ষমতায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে ইসলামের চিহ্নিত শত্রু, জুলাইয়ের গাদ্দার, হাজারো ছাত্র-জনতার হত্যাকাণ্ডে নীরব ভূমিকা পালনকারী কিংবা ভিনদেশি এজেন্সির সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগে অভিযুক্ত কোনো অমুসলিমকে মনোনয়ন দেওয়া কোনো আদর্শিক বা ধর্মীয় সংগঠনের রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে না। পদস্খলিতদের কোনো সংগঠনে বরণ করে নেওয়া এ কথাই প্রমাণ করে যে, ক্ষমতার মধু কুক্ষিগত করাই তাদের মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে তারা এমন কোনো হীন পন্থা নেই যা অবলম্বনে দ্বিধা করে।
চিহ্নিত পদস্খলিত ব্যক্তি কিংবা পতিত সরকারের ডামি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের পুনর্বাসন কোনোভাবেই দেশ, জাতি ও উম্মাহর জন্য কল্যাণকর নয়। ডামি নির্বাচনে অংশগ্রহণের কারণে এক দলের বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থান নেওয়া, আবার অন্যদিকে স্বৈরাচারের চিহ্নিত দোসরদের কোলে তুলে নিয়ে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা চরম দ্বিচারিতার বহিঃপ্রকাশ। যে দল এ ধরনের আচরণ করে, তারা নিঃসন্দেহে আদর্শিকভাবে দেউলিয়াগ্রস্ত।