আনিস আলমগীর, শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
সাংবাদিক আনিস আলমগীর, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্র এবং নিষিদ্ধ সংগঠনকে উসকে দেওয়ার’ অভিযোগ করা হয়েছে থানায়।
‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামে একটি সংগঠনের আরিয়ান আহমেদ রোববার রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় এ অভিযোগ দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার শাহরিয়ার আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখনো মামলা হয়নি, আমরা অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করে দেখছি।”
গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রোববার রাত ৮টার পর সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
রাতেই উত্তরা পশ্চিম থানায় চারজনের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করা হয় বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
তিনি বলেন, “আনিস আলমগীর, মেহের আফরোজ শাওন, মারিয়া কিসপট্টা (ফ্যাশন মডেল) ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজের (উপস্থাপক) নামে অভিযোগ করা হয়েছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এটি নিয়ে কাজ করছেন।”
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি কাজী মোহাম্মদ রফিক আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিভিন্ন মিডিয়ায় টকশোতে বিভিন্ন ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে সেখানে। বিষয়টি সাইবার সংক্রান্ত।”
অভিযোগে বলা হয়েছে, “২০২৪ সালের জুলাই মাসের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যেও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অভিযুক্তরা এসব কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত।
“গত ৫ অগাস্টের পর থেকে অভিযুক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করছেন।”
অভিযোগকারী বলছেন, “অভিযুক্তদের এসব বক্তব্য ও অনলাইন কার্যক্রমের কারণে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা উসকানি পাচ্ছে। ফলস্বরূপ তারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, সহিংসতা এবং অবকাঠামো ধ্বংসের মত কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে।”