মঙ্গলবার ২১ অক্টোবর ২০২৫, কার্তিক ৬ ১৪৩২, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

ডেঙ্গু: এ বছর মৃত্যু ২৫০ ছাড়াল ১ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা ছাড়া অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে উঠবে না: আমীর খসরু প্রধান উপদেষ্টার আশা, শিক্ষকরা নবউদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন জোবায়েদ-বর্ষা-মাহিরের প্রেমের দ্বন্দ্বে খুন, গ্রেপ্তার ৩ শাহজালালে আগুন: নিজেদের দায় এড়ালেন বেবিচক চেয়ারম্যান বাসা ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সরকারের জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তাকাইচি ‘অর্থ পাচার’: ১০ শিল্পগোষ্ঠীর তালিকা থেকে জেমকন বাদ, যোগ হল প্রিমিয়ার তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু ইউরোপে অবৈধ অভিবাসীর ঢল নামাতে ‘পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত রাশিয়া’

ইসলাম

হজের ফরজ-ওয়াজিব

 আপডেট: ২০:৩৬, ২২ মে ২০২৩

হজের ফরজ-ওয়াজিব

হজ ইসলামের পঞ্চম রোকন। শারীরিক ও আর্থিক সামর্থ্যবানদের জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ। সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতকের মতো নিষ্পাপ করে দেওয়া ইবাদত হলো হজ। যার বিনিময় শুধুই জান্নাত।

হজ মৌসুমে ৫ দিনে ৫ জায়গায় ১২টি কাজ সম্পন্ন করাই হজ। সেগুলো কী?

হজের ৫ দিন হলো-

জিলহজ মাসের ৮, ৯, ১০, ১১ ও ১২ তারিখ।

হজের পাঁচ জায়গা হলো-

১. মিনা

২. আরাফা

৩. মুজদালিফা

৪. জামারাত ও

৫. বাইতুল্লাহ।

হজের ১২ কাজ

হজের রয়েছে ১২টি কাজ। যার ৩টি ফরজ এবং বাকিগুলো ওয়াজিব কাজ। তাহলো-

হজের ফরজ

হজ পালনে তিনটি কাজ করা ফরজ। যা না করলে হজ হবে না। যার কোনো কাফফারা নেই। হজের তিন ফরজের কোনোটি বাদ পড়লে পরবর্তী বছর আবার হজ করতে হবে। হজের ফরজগুলো হলো-

(১) ইহরাম বাঁধা: ইহরাম বাঁধা অর্থাৎ হজের নিয়তে মিকাত (নির্দিষ্ট স্থান) থেকে সেলাইবিহীন দুই টুকরো কাপড় পরা।

(২) আরাফাতের ময়দানে সমবেত হওয়া: হাদিসের পরিভাষায় ‘আলহাজ্জু আরাফাহ’ আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়াই হজ। জিলহজের ৯ তারিখে সূর্যাস্তের আগের এক মুহূর্তের জন্য হলেও আরাফার ময়দানে অবস্থান করা। সূর্যাস্তের পর আরাফার ময়দান ত্যাগ করা।

(৩) তাওয়াফে জিয়ারাহ করা: ১০ জিলহজ কোরবানি ও মাথা মুণ্ডনের পর থেকে ১২ই জিলহজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত যেকোনো সময়ে পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ করাই হলো তাওয়াফে জিয়ারাহ। এটি ফরজ।

হজের ওয়াজিব

হজ পালনে অনেকগুলো কাজ করা ওয়াজিব। যার কোনোটি বাদ পড়লে দম বা কোরবানি দিতে হয়। হজের ওয়াজিবগুলো হলো-

(১) মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা: হজের উদ্দেশ্যে মিকাত (ইহরামের নির্দিষ্ট স্থান) ত্যাগ করার আগেই ইহরাম বাঁধা।

(২) আরাফার ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান: সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতেরর ময়দানে অবস্থান (ওকুফ) করা।

(৩) কোরবানি করা: ক্বিরান বা তামাত্তু হজ আদায়কারীর জন্য কোরবানি আদায় করা এবং তা কংকর নিক্ষেপ ও মাথা মুণ্ডন করার মর্ধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে সম্পাদন করা।

(৪) সাঈ করা: সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে সাঈ করা। সাফা পাহাড় থেকে সাঈ শুরু করা।

(৫) মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে অবস্থান (ওকুফ) করা।

(৬) তাওয়াফে জিয়ারাত আইয়্যামে নহরের (দিনের বেলায়) মধ্যে সম্পাদন করা।

(৭) জামরায় শয়তানকে কংকর নিক্ষেপ করা।

(৮) মাথা মুণ্ডন বা চুল ছাঁটা। তবে মাথা মুণ্ডনের আগে কংকর নিক্ষেপ করা।

(৯) মিকাতের বাইরের লোকদের জন্য তাওয়াফে সদর বা বিদায়ী তাওয়াফ করা।

উল্লেখ্য, হজের মৌসুমে ৫ দিনে ৫ জায়গায় ১২টি কাজ করার মাধ্যমে হজ সম্পন্ন করতে হয়। উল্লেখিত সিরিয়াল মতো কাজগুলো ঠিকঠাক থাকলে হজ সম্পূর্ণ হবে। ইনশাআল্লাহ!

ইয়া আল্লাহ! সব হাজিকে হজের নির্ধারিত দিনে নির্ধারিত জায়গায় নির্ধারিত কাজগুলো আদায় করার তাওফিক দান করুন। সব হাজির হজ কবুল করুন। আমিন।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল ২৪