সোমবার ০৫ মে ২০২৫, বৈশাখ ২২ ১৪৩২, ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পুতিনের বার্তা: পশ্চিমা অপমানের জবাব দিতেই ইউক্রেন যুদ্ধ

 প্রকাশিত: ২১:৫৯, ৪ মে ২০২৫

পুতিনের বার্তা: পশ্চিমা অপমানের জবাব দিতেই ইউক্রেন যুদ্ধ

ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনের জন্য পর্যাপ্ত শক্তি ও সম্পদ রয়েছে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এই যুদ্ধের জন্য পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না। রোববার (৪ মে) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি তথ্যচিত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। খবর রয়টার্সের।

সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, “তারা আমাদের ভুল করতে বাধ্য করতে চেয়েছিল। কিন্তু পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন হয়নি। আশা করি, ভবিষ্যতেও হবে না। ২০২২ সালে আমরা যা শুরু করেছি, তা যৌক্তিক পরিণতিতে পৌঁছাতে আমাদের হাতে পর্যাপ্ত শক্তি ও সম্পদ রয়েছে।”

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হয়। এরপর ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে বড় স্থলযুদ্ধ শুরু হয় এবং শীতল যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘাতে রূপ নেয়। এতে হাজার হাজার সেনা হতাহত হয়েছেন।

পুতিন এই যুদ্ধকে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের "বিভাজনের মুহূর্ত" হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীর পতনের পর পশ্চিমা দেশগুলো ন্যাটো সম্প্রসারণ এবং রাশিয়ার প্রভাব বলয়ে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে রাশিয়াকে অপমান করেছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘রক্তপাত’ বলে উল্লেখ করে বারবার এর সমাপ্তির আহ্বান জানিয়েছেন। তবে ক্রেমলিনের মতে, এই সংঘাত এতটাই জটিল যে তা দ্রুত সমাধান করা কঠিন।

তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে পুতিনের ক্ষমতার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে। এতে তাকে ক্রেমলিনের রান্নাঘরে চকলেট ও রাশিয়ান দুধের পানীয় পরিবেশন করতে দেখা গেছে। এছাড়া ২০০২ সালে মস্কোর নর্ড-অস্ট থিয়েটারে চেচেন বিদ্রোহীদের জিম্মি সংকটের সময় প্রথমবারের মতো প্রার্থনায় নতজানু হওয়ার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

পুতিন বলেন, “আমি নিজেকে কোনও রাজনীতিবিদ মনে করি না। আমি লক্ষাধিক রাশিয়ান নাগরিকের মতোই একই বাতা সে শ্বাস নিই। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঈশ্বর করুন, যেন এটি যতদিন সম্ভব চলতে থাকে।”

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পুতিনই জোসেফ স্টালিনের পর রাশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা নেতা।