অবশেষে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক

মার্কিন ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের প্রতিনিধিদের কাছে আজ মঙ্গলবার দুটি লাইসেন্স হস্তান্তর করেছেন বিটিআরসির কর্মকর্তারা। ছবি: সংগৃহীত
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক সার্ভিসেস বাংলাদেশ, লিমিটেডকে আজ মঙ্গলবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ লাইসেন্স হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে বাংলাদেশে বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ইলন মাস্কের মালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার পথ উন্মোচিত হলো।
বিটিআরসির কর্মকর্তারা আজ বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিটিআরসি ভবনে এই লাইসেন্স দুটি স্টারলিংকের প্রতিনিধিদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। বিটিআরসির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্টারলিংককে আগামী ১০ বছরের জন্য “ননজিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট অরবিট অপারেটর লাইসেন্স” এবং “রেডিও কমিউনিকেশন অ্যাপারেটার্স লাইসেন্স” নামে এই দুটি পৃথক লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বিটিআরসি এই লাইসেন্স দুটি হস্তান্তর করেছে।
প্রথম লাইসেন্সটি বিটিআরসির লাইসেন্সিং বিভাগ কর্তৃক হস্তান্তরিত হয়েছে, যা স্টারলিংককে বাংলাদেশে তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতি দেবে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় লাইসেন্সটি বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগ থেকে প্রদান করা হয়েছে। এই লাইসেন্সের আওতায় স্টারলিংক তাদের ইন্টারনেট সেবা প্রদানের জন্য অনুমোদিত তরঙ্গ ব্যবহার করতে পারবে এবং প্রয়োজনীয় বেতার যন্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি আমদানি ও ব্যবহার করার অধিকার লাভ করবে।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন যে, আগামী মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংকের সেবা চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও জানান, স্টারলিংক বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে সেবা শুরু করার জন্য স্থানীয় গেটওয়ে ছাড়া একটি অনুরোধ জানিয়েছে, এবং সরকার প্রাথমিকভাবে ৯০ দিনের জন্য সেই অনুমতি প্রদান করবে। এছাড়াও, প্রতিষ্ঠানটি তাদের ট্যারিফ প্ল্যান (সেবার মূল্য) নিয়ে কাজ করছে এবং এই বিষয়ে শীঘ্রই বিটিআরসিতে আবেদন করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।