শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ৫ ১৪৩২, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

২০ কোটি টাকার বেশি সব ঋণ যাচাই করা হবে: গভর্নর ‘শত কোটি টাকার’ অনিয়ম: কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিচ্ছে দুদক ২৭তম বিসিএস: ৬৭৩ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন সিঙ্গাপুরেই হাদির অস্ত্রোপচারের অনুমতি দিয়েছে পরিবার: ইনকিলাব মঞ্চ মেয়েকে নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর সকালে ফিরছেন তারেক রহমান খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ জেআইসিতে ‘গুম-নির্যাতন’: হাসিনা ও ১২ সেনা কর্মকর্তার বিচার শুরুর আদেশ হাদির জন্য এখন দোয়াই বেশি দরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি: ২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক জোয়ার যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধে পর ভেনেজুয়েলার পাশে থাকার ঘোষণা চীনের হাজারীবাগের হোস্টেলে এনসিপির জান্নাতারা রুমীর মরদেহ ট্রাইব্যুনালে ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ভারতীয় ভিসা সেন্টারের নিয়মিত কার্যক্রম শুরু শিল্প শ্রমিকদের জন্য ‘প্রবাসী ফি` বাতিল করেছে সৌদি আরব ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে ‘আগামী সপ্তাহে মায়ামিতে বৈঠকে বসবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া’

ইসলাম

কব্জি–কনুইয়ের মাঝখানের অংশ খোলা থাকলে কি নামায সহীহ হয়?

 প্রকাশিত: ২০:৪৪, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

কব্জি–কনুইয়ের মাঝখানের অংশ খোলা থাকলে কি নামায সহীহ হয়?

প্রশ্ন. গরমকালে আমি মাঝে মাঝে থ্রি-কোয়ার্টার হাতাবিশিষ্ট জামা পরিধান করি। এসব জামার হাতা কব্জি ও কনুইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত লম্বা হয়। এসব জামার সাথে ছোট ওড়না পরে নামায পড়লে রুকুর সময় ও রুকু থেকে উঠে দাঁড়ানো অবস্থায় হাতের খালি অংশ খোলা দেখা যায়। জানতে চাই, হাতের এতটুকু অংশ খোলা থাকলে কি নামাযে কোনো সমস্যা হবে?

উত্তর. থ্রি-কোয়ার্টার হাতাবিশিষ্ট জামা পরে নামায পড়া অবস্থায় হাতের খালি অংশ যদি এক রোকন পরিমাণ (তিন তাসবীহ পরিমাণ) বা তার চেয়ে বেশি সময় অনাবৃত থাকে, তাহলে নামায সহীহ হবে না। কেননা নামাযে মহিলাদের হাত কব্জি পর্যন্ত ঢেকে রাখা আবশ্যক। হাতের কব্জি থেকে কনুই পর্যন্ত এ অংশ থেকে এক চতুর্থাংশ বা তার বেশি যদি খোলা থাকে এবং এ অবস্থায় এক রোকন পরিমাণ সময় অতিবাহিত হয়, তাহলে নামায নষ্ট হয়ে যাবে। তাই এ ধরনের জামায় ছোট ওড়না দিয়ে নামায আদায় করা নিরাপদ নয়। সামান্য অসতর্কতার কারণে নামায নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

অতএব, এ ধরনের ছোট হাতাবিশিষ্ট জামা পরে নামায পড়তে চাইলে জরুরি হল, বড় ওড়না বা হিজাব পরিধান করা। যেন হাতের খোলা এ অংশ নামাযে অনাবৃত না হয়ে যায়। এবং নামায নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি না হয়।

-কিতাবুল আছল ১/১৭৩; আলমাবসূত, সারাখসী ১/২৯৬; ফাতাওয়া সিরাজিয়া, পৃ. ৯; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/২৩; শরহুল মুনইয়া, পৃ. ২১৫; রদ্দুল মুহতার ১/৪০৯

মাসিক আলকাউসার