শুক্রবার ১৭ অক্টোবর ২০২৫, কার্তিক ১ ১৪৩২, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

ট্রাম্প প্রশাসনের সরকারি কর্মী ছাঁটাইয়ের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ মার্কিন আদালতের মরণোত্তর পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে ‘শহিদ’ চার্লি কার্ককে সম্মান জানালেন ট্রাম্প বুধবার গাজার রাফাহ ক্রসিং পুনরায় চালু করবে ইসরায়েল ৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা গাজা ঘোষণাপত্রে নেতাদের স্বাক্ষর ‘মধ্যপ্রাচ্যের জন্য অসাধারণ দিন’: ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে `শেষ পর্যন্ত লড়াই` করবে চীন গাজা থেকে মুক্ত ৭ জিম্মিকে গ্রহণ করেছে ইসরাইল ট্রাম্পকে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মাননা প্রদান করবে ইসরাইল ঘানার নৌকাডুবিতে ১৫ জন নিহত বিগত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের বিরত রাখা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ প্রধান উপদেষ্টার চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান অনিবার্য হয়ে পড়েছিল : চিফ প্রসিকিউটর বিগত তিনটি নির্বাচনে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য চেয়েছে তদন্ত কমিশন পরমাণু আলোচনা পুনরায় শুরু করার কোনো কারণ নেই: ইরান

এডিটর`স চয়েস

জলবায়ুর পরিবর্তন বর্ষাকালকে বদলে দিচ্ছে

 প্রকাশিত: ২০:২৭, ৬ জুন ২০২১

জলবায়ুর পরিবর্তন বর্ষাকালকে বদলে দিচ্ছে

জলবায়ুর পরিবর্তন যে বর্ষাকালকে বদলে দিচ্ছে, বিজ্ঞানীরা অনেকদিন ধরেই তা বুঝতে পারছিলেন। কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করে করা আগের গবেষণাগুলো থেকেই বোঝা যাচ্ছিল যে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ বাড়ায় তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে, তাতে গরম আবহাওয়ায় বাড়তি আর্দ্রতা গ্রীষ্ম ও বর্ষাকে করে তুলেছে আরও বেশি বৃষ্টিপ্রবণ, মাঝে মাঝে হচ্ছে অতি বর্ষণ, কোনো পূর্বাভাস সেখানে টিকছে না। 

ভারত এবং দক্ষিণ এশিয়ায় মোটামুটি জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বর্ষাকাল ধরা  হয়। এ সময় মৌসুমি বায়ু যে বিপুল বৃষ্টি নিয়ে আসে, তা এ অঞ্চলের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।   

এই বৃষ্টি পৃথিবীর এক পঞ্চমাংশ মানুষের জীবনকে সরাসরি প্রভাবিত করে। সময়মত বৃষ্টি যেমন ফসল উৎপাদন বাড়ায়, তেমনি আবার অসময়ের অতিবর্ষণ ফসল ধ্বংসও করে। অতিবৃষ্টি নিয়ে আসে বন্যা, কেড়ে নেয় প্রাণ, ধ্বংস করে লোকালয়, ছড়িয়ে দেয় দূষণ।

নতুন এই গবেষণা বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ ফল হিসেবে বর্ষার এই মেজাজ বদলে পুরো অঞ্চলের চেহারা আর ইতিহাসই বদলে যেতে পারে। 

এ গবেষণার জন্য ১০ লাখ বছরের জলবায়ু পরিবর্তনের তথ্য বিজ্ঞানীরা কীভাবে পেলেন? তারা কাজ করেছেন কাদা নিয়ে। প্রতি বর্ষায় পুরো ভারতবর্ষ ধুয়ে বিপুল পলি নিয়ে বৃষ্টির পানি পৌঁছায় বঙ্গোপসাগর আর ভারত মহাসাগরে। সাগরের ভূস্তর খনন করে বিজ্ঞানীরা সেই নমুনা সংগ্রহ করেছেন।

এ কাজে পৃষ্ঠ থেকে ২০০ মিটার গভীর পর্যন্ত মাটির নমুনা নেওয়া হয়েছে, যাতে প্রতি বর্ষায় জমা নতুন স্তরগুলো থেকে বৃষ্টিপাত সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

যে বছর বৃষ্টি বেশি হয়, সাগরে স্বাদু পানির যোগান বাড়ে, উপরিভাগের লবণাক্ততা কমে আসে। তাতে সাগরের উপরিতলে থাকা অনেক ক্ষুদ্র ও আণুবীক্ষণিক জীবের মৃত্যু হয়, সেসব দেহাবশেষ জমা হয় মাটির স্তরের সঙ্গে। এভাবে প্রতিবছর পরতের পর পরত জমে সাগরতলের ভূস্তরে গ্রন্থিত হয় ইতিহাস। 

মাটির নমুনা সংগ্রহ করার পর বিজ্ঞানীরা সেসব মৃত প্লাঙ্কটনের ফসিল পরীক্ষা করে অক্সিজেন আইসোটোপ বিশ্লেষণ করেছেন। তাতে ওই সময়ের পানির লবণাক্ততার পরিমাণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেছে।

দেখা গেছে, বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি, বরফ স্তর কমে আসার পর মৌসুমি বায়ুতে আর্দ্রতা বাড়তে শুরু করে এবং তারপর আসে সেই অতি বৃষ্টি আর সাগরের পানিতে লবণাক্ততা কমে আসার পর্ব।  

বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের কর্মকাণ্ড বাতাসে গ্রিনহাউজ গ্যাসের পরিমাণ যেভাবে বাড়িয়ে চলেছে, তাতে মৌসুমি বায়ুতে সেরকম আরেকটি পরিবর্তন আসন্ন।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল