রোববার ১৬ নভেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২ ১৪৩২, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ইসলাম

জমাদিউস সানি মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত

 প্রকাশিত: ০৯:৫০, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

জমাদিউস সানি মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত

অন্যান্য মাসের মতো এই মাসেও অধিক পরিমাণে নেক আমল করা বাঞ্ছনীয়। এ মাসে নফল নামাজ ও নফল রোজা আদায় করা, দান–খয়রাত করার ফজিলত অনেক। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি পাঁচ ওয়াক্ত নফল নামাজ তথা তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত, জাওয়াল ও আউওয়াবিন নামাজ আদায় করা ভালো। এ ছাড়া কাজা রোজা থাকলে তা পুরা করা; মান্নত রোজা থাকলে তা আদায় করা; মাসের ১, ১০, ২৯ ও ৩০ তারিখে রোজা রাখা এবং চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ ‘আইয়ামে বিদ’–এর সুন্নাত রোজা রাখা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত ‘জমাদিউস সানি’ তথা ‘দ্বিতীয় জুমাদা’ মাসে ‘রজব’ মাসের প্রস্তুতি হিসেবে আরও বেশি নেক আমল এবং অধিক পরিমাণে নফল নামাজ ও নফল রোজা করা উচিত। মূল কথা হলো ‘হার কে কদরে শব দারাদ; হামা শব শবে কদর আস্ত’, অর্থাৎ ‘যিনি রাতের মূল্য দেন, প্রতি রাতকেই তিনি শবে কদর হিসেবে পান।’ মানে হলো, নেক আমল ও সৎকর্মে সাধারণ সময়ও অসাধারণ হয়ে ওঠে।

জিকির–আসকার, দোয়া কালাম, দরুদ ও সালাম, তাসবিহ তাহলিল, তাওবা ইস্তিগফার, খতম তিলাওয়াত, সদকা খয়রাত ইত্যাদি আমলের মাধ্যমে মাস অতিবাহিত করলে নিশ্চিত এর বরকত ফজিলত লাভ করা যায়। অন্যথায় সময়ের অপচয়ের জন্য অনুতাপ ও অনুশোচনা করতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘পরকালে নেককার মুমিন জান্নাতিগণের কোনো আফসোস থাকবে না; বরং তাদের আফসোস থাকবে শুধু ওই সময়ের জন্য, যে সময়টুকু তারা নেক আমল ছাড়া অতিবাহিত করেছে বা বেহুদা কাটিয়েছে।’(তিরমিজি)।

যেসব দিবসের ও যেসব মাসের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, সেই দিন ও মাসগুলোতে সাধারণত সবাই ইবাদত করে থাকেন, এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং যেসব দিন ও মাসের বিশেষ ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য কোরআন–হাদিসে উল্লেখ করা হয়নি, তাতে অধিক হারে নেক আমল করলে আমলকারী অবশ্যই অন্যদের অপেক্ষা এগিয়ে যাবেন ও অগ্রগামী হবেন ইনশা আল্লাহ।

শীত ও গরমের মৌসুমে বিশেষ ইবাদতের প্রসঙ্গে কোরআন কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যেহেতু কুরাইশদের আসক্তি আছে, তাদের আসক্তি শীত ও গ্রীষ্মে ভ্রমণের। অতএব তারা এই (কাবা) গৃহের প্রভুর ইবাদত করুক। যিনি তাদের ক্ষুধায় অন্ন দিয়েছেন এবং শঙ্কায় নিরাপত্তা দান করেছেন।’(সুরা-১০৬ কুরাইশ, আয়াত: ১-৪)। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ`লা যেন উপরোক্ত আলোচনার প্রতি আমল করার তাওফিক দান করেন আমীন।