বিবিসির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন ট্রাম্প!
বিবিসির ‘প্যানোরামা’ তথ্যচিত্রে নিজের একটি বক্তব্য ‘ভুলভাবে সম্পাদনা’ করার অভিযোগে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির বিরুদ্ধে মামলা করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অথচ, বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিল বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিবিসির ‘প্যানোরামা’ তথ্যচিত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্টের একটি বক্তব্য ‘ভুলভাবে সম্পাদনা’ হয়ে গিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে বিবিসি তার কাছে ক্ষমা পর্যন্ত চেয়েছে। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি আগামী সপ্তাহে বিবিসির বিরুদ্ধে ১ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দাবিতে মামলা করবেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, বিবিসি আমার বক্তব্য বিকৃত করেছে। আমরা এর বিরুদ্ধে বড় ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেব। আগামী সপ্তাহে তারা মামলা পাবে।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি।
বিবিসির প্যানোরামায় নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্রে ট্রাম্পের বক্তৃতা এমনভাবে সম্পাদনা করা হয়েছিল, যাতে মনে হচ্ছিল তিনি সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে বিবিসি এবং শেষ পর্যন্ত সংস্থাটি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহ হোয়াইট হাউসে পাঠানো চিঠিতে জানিয়ে দেন, ওই প্রামাণ্যচিত্রে ট্রাম্পের বক্তব্য যেভাবে কাটা-ছাঁটা করা হয়েছিল, তা ভুল ছিল এবং এ ঘটনার জন্য তারা দুঃখিত। একই সঙ্গে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট প্রামাণ্যচিত্র আর কোনো প্ল্যাটফর্মে প্রচার করা হবে না।
তবে ক্ষমা চাইলেও মানহানির অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিবিসি। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভিডিও ক্লিপটি যেভাবে সম্পাদিত হয়েছিল তার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তবে এটি মানহানির পর্যায়ে পড়ে, এমন দাবি আমরা মানি না।
এই সপ্তাহের শুরুতেই ট্রাম্পের আইনজীবীরা বিবিসিকে সতর্ক করে চিঠি পাঠান। তাতে বলা হয়, বিবিসি যদি বক্তব্য প্রত্যাহার না করে; প্রকাশ্যে ক্ষমা না চায় এবং ক্ষতিপূরণ না দেয় তবে এক বিলিয়ন ডলারের মামলা করা হবে।
বিতর্কটি বড় আকার ধারণ করায় গত সপ্তাহে বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরাহ টের্নেস পদত্যাগ করেন।