শনিবার ১৫ নভেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩২, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

গাজায় নীরবে নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর চেষ্টায় হামাস

 আপডেট: ১১:২০, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

গাজায় নীরবে নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর চেষ্টায় হামাস

গাজার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা ধীরগতিতে এগুনোর মধ্যেই ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাস নতুন করে ভূখণ্ডটিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

গাজাবাসীরা বলছেন, মুরগির দাম নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে সিগারেটের ওপর ফি ধার্যের মাধ্যমে হামাস কর্তৃত্ব বিস্তারের চেষ্টা নিয়েছে।

এর ফলে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী হামাসের গাজার ‘শাসনক্ষমতা হস্তান্তর’ নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।

গত মাসে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকেই হামাস দ্রুত ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার করা এলাকাগুলোতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।

সে সময় ইসরায়েলের সঙ্গে সহযোগিতা কিংবা চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে তারা ডজনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে।

বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো হামাসকে নিরস্ত্র হওয়া এবং গাজার শাসন ছাড়ার দাবি জানালেও এই এই শূন্যতা কে পূরণ করবে, তা নিয়ে এখনও মতৈক্য হয়নি।

এখন গাজাবাসীরা বলছেন, প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় তারা হামাসের নিয়ন্ত্রণ আরও বেশি অনুভব করতে পারছেন।

গাজায় হামাস নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে প্রবেশ করা প্রায় সবকিছুতেই নজরদারি করা হচ্ছে।

জ্বলানি ও সিগারেটের মতো বেসরকারিভাবে আমদানি হওয়া কিছু পণ্যে ফি আদায়ের কথাও বলেছেন গাজাবাসীদের ১০ জন। তাদের তিনজন সরাসরি বাণিজ্যে জড়িত।

তবে হামাস সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয়ের প্রধান ইসমাইল আল-থাওয়াবতা বলেন, সিগারেট এবং জ্বালানির ওপর হামাসের কর আরোপের খবর সঠিক নয়। সরকার কর বাড়াচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি।

থাওয়াবতা বলেন, কর্তৃপক্ষ কেবল জরুরি মানবিক ও প্রশাসনিক কাজ করছে এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণের আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। শাসনক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতিও পূণর্ব্যক্ত করেন তিনি।

নতুন টেকনোক্র্যাটিক প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে হামাস প্রস্তুত আছে জানিয়ে থাওয়াবতা বলেন, “গাজায় বিশৃঙ্খলা ঠেকানোই হামাসের লক্ষ্য, যাতে নির্বিঘ্নে শাসনক্ষমতা পরিবর্তন হয়।