ভূমিকম্প: উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর ঘোড়াশালের বিভিন্ন এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ।
শনিবার ভূতত্ত্ব বিভাগের ৭ সদস্যের একটি দল এসব এলাকা পরিদর্শন ও নমুনা মাটি সংগ্রহ করেন বলে জানিয়েছেন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আ.স.ম ওবায়দুল্লাহ।
তারা ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ঘোড়াশাল ডেইরি ফার্ম ও পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ধসে পড়া মাটির নমুনা সংগ্রহ করেন তারা।
এসময় আ.স.ম ওবায়দুল্লাহ বলেন, “প্রাথমিকভাবে ফাটল ধরা মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছেন তারা। এসব নমুনা সংগ্রহের পর তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কী ধরণের ভূমিকম্প হয়েছে বা কতটুকু গভীরতায় হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা রুবায়েত কবীর জানান, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর মাধবদীতে, কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। স্থায়ীত্ব ছিল ২৬ সেকেন্ড।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) উপকেন্দ্র বলছে উৎপত্তিস্থল নরসিংদী সদর থেকে ১৪ কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণ-পশ্চিমে।
কয়েক দশকের মধ্যে দেশের সবচেয়ে প্রাণঘাতী এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১০ জন,ছয়শ ছাড়িয়েছে আহতের সংখ্যা।
এর মধ্যে ঢাকায় ৪ জন, নরসিংদীতে ৫ জন এবং নারায়ণগঞ্জে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ভূমিকম্পে নরসিংদীর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে কাজ করছে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন ইউনিট। কমিটি গঠন করেছে পৌর প্রশাসন।
আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু তাহের মো. শামসুজ্জামান।