শুক্রবার ০৭ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ২৩ ১৪৩২, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

ইউক্রেনে রাশিয়ান সৈন্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ তালবাহানা না করে দ্রুত নির্বাচনী শিডিউল ঘোষণা করুন: ফখরুল আমজনতার দলের নিবন্ধন অবশ্যই প্রাপ্য: রিজভী ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪ পাখি খাদ্যের ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তান থেকে পপি বীজ এনে ধরা মার্জারে যাওয়া ৫ ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত জেমকন গ্রুপের পরিচালক আনিসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, ফ্ল্যাট-জমি জব্দ গুমের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রয়োজনে ‘আঙুল বাঁকা করার’ হুমকি জামায়াতের বাংলাদেশে ‘আপাতত’ আসা হচ্ছে না জাকির নায়েকের হাসিনা, জয় ও পুতুলের দুর্নীতির মামলায় ৭৯ সাক্ষীর জবানবন্দি নেয়া শেষ লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলমের জামিন হাই কোর্টে দুদকের মামলায় সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরের বিচার শুরু ময়মনসিংহে হত‍্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি

রাজনীতি

অতিথি শেখ হাসিনাকে ভারত কি ধীরে ধীরে ‘আনলক’ করতে দিচ্ছে?

 প্রকাশিত: ২০:৫০, ৭ নভেম্বর ২০২৫

অতিথি শেখ হাসিনাকে ভারত কি ধীরে ধীরে 'আনলক' করতে দিচ্ছে?

প্রায় ন'মাস আগেকার কথা। ঢাকায় শেখ মুজিবের বাসভবন ৩২ নম্বর ধানমন্ডি ভাঙচুরের পর বাংলাদেশ সরকার একটি বিবৃতি দিয়ে অভিযোগ করে, ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাই সোশ্যাল মিডিয়াতে লাগাতার মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চাইছেন এবং ভারতের উচিত তার মুখে রাশ টেনে ধরা। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে জানানো হয় আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদও।

ঠিক তার পর দিনই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাল্টা বিবৃতি দিয়ে দাবি করে, শেখ হাসিনা যা বলছেন তা তিনি 'ব্যক্তি শেখ হাসিনা হিসেবে', মানে তার 'ইন্ডিভিজুয়াল ক্যাপাসিটি'তে বলছেন – এবং ভারত সরকারের সেখানে কোনো ভূমিকাই নেই।

ভারতকে 'নেতিবাচক' দৃষ্টিতে তুলে ধরলে বা বাংলাদেশের 'অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক ব্যর্থতা'র জন্য ভারতকে দায়ী করলে তা যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য সহায়ক হবে না, মনে করিয়ে দেওয়া হয় সেটাও। যথারীতি পাল্টা তলব করা হয় দিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনারকেও।

আসলে গত সোয়া বছর ধরে ভারতের আশ্রয় ও আতিথেয়তায় থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আদৌ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেওয়া উচিত কি না, তা নিয়ে দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে যে পরিমাণ কূটনৈতিক তিক্ততা তৈরি হয়েছে তা এক কথায় নজিরবিহীন।

 

এমনকী বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তাও হয়েছে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে।এখানে বাংলাদেশের বক্তব্য হল, জুলাই গণহত্যায় অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে ভাল কথা – কিন্তু দু'দেশের মধ্যেকার বিদ্যমান প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে ঢাকা তাকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য হস্তান্তরের দাবিও জানিয়েছে।এখন সেটার কোনো নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই যদি ভারত তাকে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেয় এবং তিনি তার বক্তব্যের মাধ্যমে দলীয় নেতা-কর্মীদের উসকানি দিয়ে বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরি করতে চান তাহলে তা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

ততদিনে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অনলাইনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নিয়মিতই ভাষণ দিতে শুরু করেছেন। কখনো সেটা রেকর্ডেড, কখনো আবার 'লাইভ'।