সোমবার ০৩ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ১৮ ১৪৩২, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

‘হযবরল’ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলায় আনার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার ‘শাপলা কলি’তেই রাজি এনসিপি ‘অনৈক্যের’ জন্য বিএনপি-জামায়াত সমানভাবে ‘দায়ী’: নাহিদ ইসলাম ভোটার বেড়ে দাঁড়াল ১২ কোটি ৭৬ লাখ ক্যান্সার নিয়ে সর্বজনীন সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার হাসিনাসহ রেহানা পরিবারের তিন মামলায় আরও ১১ জনের সাক্ষ্য কুষ্টিয়ায় ৬ হত্যা: হানিফসহ ৪ জনের বিচার শুরুর আদেশ মানবতাবিরোধী অপরাধে ইনুর বিচার শুরুর আদেশ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ ঢাকার কাতারের নিরাপত্তা হুমকির বিরুদ্ধে সংহতি পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশের গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে গণপিটুনি, ৩ জনের মৃত্যু মোনথার প্রভাবে বৃষ্টি, সাগরে ফের লঘুচাপের আভাস যুক্তরাজ্যে ট্রেনে ছুরিকাঘাত, হাসপাতালে ১০ জন বিশ্বকাপের তিন মাস আগে টি-টোয়েন্টিকে বিদায় উইলিয়ামসনের

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনে উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধবন্দী দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে চায়

 প্রকাশিত: ১৬:১৬, ২ নভেম্বর ২০২৫

ইউক্রেনে উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধবন্দী দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে চায়

ইউক্রেনে আটক দুই উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধবন্দি দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাসের জন্য আবেদন করেছেন। 

একটি মানবাধিকার সংস্থা রোববার এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে।

গিওর-ইওল নেশন ইউনাইটেড সংগঠনটি একটি তথ্যচিত্রের এক সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় বন্দিরা সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীকে এই অনুরোধ জানান।

সিউল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায়, ২০২৪ সালে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রায় ১০ হাজার উত্তর কোরিয়ার সেনা পাঠানো হয়েছিল। 

উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের সঙ্গে কাজ করা সংস্থার প্রধান জ্যাং সে-ইউল বলেন, ‘সাক্ষাৎকারের শেষে  যুদ্ধবন্দি প্রযোজককে তাদেরকে দক্ষিণে নিয়ে যেতে বলেছিল।’

সাক্ষাৎকারটি ২৮শে অক্টোবর কিয়েভের একটি গোপনীয় স্থানে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ইউক্রেন কর্তৃক বন্দি হওয়ার পর দুই যুদ্ধবন্দিকে রাখা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান অনুসারে, উত্তর কোরিয়ার নাগরিকসহ তারা সকলেই কোরিয়ান নাগরিক হিসেবে বিবেচিত।

সিউল বলেছে যে এই বিধানটি ইউক্রেনে বন্দি যে কোনো সৈন্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

জ্যাং সে-ইউল জানিয়েছে, ভিডিওটি এখনো জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি, তবে আগামী সপ্তাহগুলোয় এটি প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জ্যাং-এর সংস্থার দেওয়া ছবিতে দেখা গেছে যে একজন যুদ্ধবন্দি দক্ষিণে বসবাসকারি দেশত্যাগীদের চিঠি পড়ছে। 
জ্যাং আরো বলেন, ‘আমরা তাদের আশা জাগানোর জন্য ভিডিও বার্তা ও উত্তর কোরিয়ার দেশত্যাগীদের চিঠি দেখিয়েছি।’ 

ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতা ই ইউ ইওন এক বন্দীকে দেখতে এলে, তিনি তার কাছে সেখানে থাকার জন্য আবেদন করেন।

ই ইউ আরো  বলেন, সৈন্যদের উত্তরে (উ. কোরিয়া) ফেরত পাঠানো হবে ‘মূলত মৃত্যুদণ্ডের’ সামিল।

পিয়ংইয়ং এপ্রিল মাসে রাশিয়ার যুদ্ধের সমর্থনে সৈন্য মোতায়েনের কথা স্বীকার করেছে এবং স্বীকার করেছে যে সেখানে তাদের কিছু লোক নিহত হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এরপর থেকে শোকাহত পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

সিউলের গোয়েন্দা সংস্থা সেপ্টেম্বরে জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার প্রায় দুই হাজার সৈন্য যুদ্ধে নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।