শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, বৈশাখ ২৬ ১৪৩২, ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

আইভীর বাড়িতে পুলিশ, অনুসারীদের জটলা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী ধাপের আলোচনার কর্মপরিকল্পনা দ্রুত চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের সাফল্য চাই: মির্জা ফখরুল তথ্যযুদ্ধ: কতটা সত্যি বলছে ভারত ও পাকিস্তান? ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে এরপর কী? পাকিস্তান ভারত সীমান্তে উত্তেজনার নতুন অধ্যায়: ক্ষেপণাস্ত্র, হামলা ও তথ্যযুদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে: আসিফ মাহমুদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে নেতৃত্ব পরিবর্তন: স্নিগ্ধর পদত্যাগ আবদুল হামিদের দেশত্যাগে জড়িতদের ধরা হবে, না হলে আমিই চলে যাব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকার সংবাদপত্রের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চায় : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা প্রথম আমেরিকান পোপ হলেন রবার্ট প্রিভোস্ট ২০২৫: টেকনোলজির ঝড় উঠছে! ভারত-পাকিস্তানে যুদ্ধের দামামা: বাংলাদেশে কী প্রভাব, করণীয় কী রক্তের প্রতিটি ফোঁটার বদলা নেব: শেহবাজ শরিফ

অর্থনীতি

ট্রাম্পের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত: চীনা পণ্যের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর

 প্রকাশিত: ১২:২৮, ৯ এপ্রিল ২০২৫

ট্রাম্পের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত: চীনা পণ্যের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হয়েছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা অনুসারে নতুন শুল্কহার আজ থেকেই কার্যকর হয়েছে।

শুল্ক বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন হয়। ২ এপ্রিল ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, এরপর ৩৪ শতাংশ বাড়িয়ে মোট ৫৪ শতাংশ করা হয়। পরবর্তী দিনগুলোতে ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন এবং শুল্ক আরও বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন।

চীন ৪ এপ্রিল পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হওয়া সব পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে। ট্রাম্প তখন হুঁশিয়ারি দেন, চীন যদি ৮ এপ্রিলের মধ্যে শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তাহলে ৯ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।

চীনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর উদ্যোগ না আসায়, ট্রাম্প ১০৪ শতাংশ চূড়ান্ত শুল্ক কার্যকর করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি চীনকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় শোষক’ বলে উল্লেখ করে দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন অনেক লাভবান হচ্ছে—বিশেষ করে তেল, সুদের হার ও খাদ্যদ্রব্যের দাম কমায় দেশটিতে মূল্যস্ফীতি নেই বললেই চলে।

চীন এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে জানায়, এটি একটি প্রতারণামূলক কৌশল এবং চীন কখনোই তা মেনে নেবে না।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দুই দেশের এই শুল্ক যুদ্ধ বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও অবনতি ঘটাবে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বিশ্বের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার।