রোববার ০৯ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ২৪ ১৪৩২, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

ফ্যাসিবাদগোষ্ঠি নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে: আইজিপি বরিশালে মৎস্য দপ্তরের জব্দ করা জাটকা লুট শাহবাগে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে রাজশাহীতে আসিনি: আইন উপদেষ্টা এক মাসে লিবিয়া থেকে ফিরলেন ৯২৮ বাংলাদেশি ‘সোহরাওয়ার্দীতে গাঁজা বেচতে নিষেধ করায় সাম্যকে হত্যা’ কুমিল্লায় ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, ৪৪ নেতা-কর্মী গ্রেফতার নেত্রকোণায় মশাল মিছিল, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী আটক ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউনের কারণে সহস্রাধিক ফ্লাইট বাতিল ভোলায় নলকূপ খনন করলেই বেরিয়ে আসছে গ্যাস নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তুরস্কের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ডিএনএ’র পথিকৃৎ জেমস ওয়াটসনের জীবনাবসান জম্মু-কাশ্মীরের ‍কুপওয়ারায় ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে ‘২ সন্ত্রাসী নিহত’

অর্থনীতি

ট্রাম্পের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত: চীনা পণ্যের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর

 প্রকাশিত: ১২:২৮, ৯ এপ্রিল ২০২৫

ট্রাম্পের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত: চীনা পণ্যের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হয়েছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা অনুসারে নতুন শুল্কহার আজ থেকেই কার্যকর হয়েছে।

শুল্ক বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন হয়। ২ এপ্রিল ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, এরপর ৩৪ শতাংশ বাড়িয়ে মোট ৫৪ শতাংশ করা হয়। পরবর্তী দিনগুলোতে ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন এবং শুল্ক আরও বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন।

চীন ৪ এপ্রিল পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হওয়া সব পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে। ট্রাম্প তখন হুঁশিয়ারি দেন, চীন যদি ৮ এপ্রিলের মধ্যে শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তাহলে ৯ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।

চীনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর উদ্যোগ না আসায়, ট্রাম্প ১০৪ শতাংশ চূড়ান্ত শুল্ক কার্যকর করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি চীনকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় শোষক’ বলে উল্লেখ করে দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন অনেক লাভবান হচ্ছে—বিশেষ করে তেল, সুদের হার ও খাদ্যদ্রব্যের দাম কমায় দেশটিতে মূল্যস্ফীতি নেই বললেই চলে।

চীন এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে জানায়, এটি একটি প্রতারণামূলক কৌশল এবং চীন কখনোই তা মেনে নেবে না।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দুই দেশের এই শুল্ক যুদ্ধ বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও অবনতি ঘটাবে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বিশ্বের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার।