২১ নভেম্বর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫: বিশ্লেষণও ভবিষ্যতেঃ
২১ নভেম্বর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫: বিশ্লেষণ ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ
দেশপ্রেম কেবল আবেগ নয়; এটি শক্তি, পরিকল্পনা, দক্ষতা ও ধৈর্যের সমন্বয়ও প্রয়োজন। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং দেশের শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী—সেনা, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী—আমাদের রক্ষাকবচ। প্রতি বছর ২১ নভেম্বর পালিত সশস্ত্র বাহিনী দিবস কেবল সৈনিকদের সম্মান প্রদর্শনের দিন নয়; এটি নাগরিকদের জন্যও স্মরণ করায় যে দেশের নিরাপত্তা রক্ষা করা আমাদের সকলের চলমান দায়িত্ব।
সশস্ত্র বাহিনীর অবদান সীমাবদ্ধ নয় শুধুমাত্র সামরিক শক্তিতে; তারা দেশের শান্তি, উন্নয়ন, দুর্যোগ মোকাবেলা এবং আন্তর্জাতিক মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সীমান্ত রক্ষা, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শান্তি মিশনে তাদের অবদান দেশের স্থিতিশীলতার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। নাগরিকরা যদি এসব কর্মকাণ্ডের গুরুত্ব বুঝতে পারে, তবে দেশপ্রেম কেবল আবেগ নয়, বরং কার্যকর কর্মেও পরিণত হয়।
সামরিক বরাদ্দ: দায়িত্ব ও প্রস্তুতি
২০২৫‑২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত প্রতিরক্ষা বাজেট প্রায় ৪০,৬৯৮ কোটি টাকা, যা দেশের সামরিক গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে। যদিও এটি গত বছরের ৪২,০১৪ কোটি থেকে সামান্য কম, তবুও এটি বাহিনীর দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের জন্য শক্ত ভিত্তি প্রদান করে।
বাজেটের প্রধান অংশ:
চলমান ব্যয় (পরিচালন খরচ): ৩৭,৮১২ কোটি টাকা
উন্নয়ন খরচ: ৯১৬ কোটি টাকা
পরিচালন খাতে বাজেটের বড় অংশ ব্যয় হলেও, উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ যথেষ্ট কি না তা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। সামরিক শক্তি কেবল অস্ত্র বা সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়; এটি পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, আধুনিকায়ন এবং প্রযুক্তি গ্রহণের ওপর নির্ভরশীল। প্রতিটি বাজেট বরাদ্দ শুধু অর্থের হিসাব নয়; এটি দায়িত্ব, পরিকল্পনা এবং কার্যকারিতার প্রতিফলন। নাগরিক ও গবেষকের দায়িত্ব হলো এর ব্যবহার মনিটর করা এবং প্রয়োজনে সমালোচনা বা সমর্থন করা।