বৃহস্পতিবার ২০ নভেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ৫ ১৪৩২, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

ভোট আয়োজনে বিভিন্ন বাহিনীর সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা গণভোট নিয়ে করণীয় কী: অধ্যাদেশের অপেক্ষায় ইসি আচরণবিধি বাস্তবায়নের ‘সক্ষমতা নেই’ ইসির: এনসিপি ডেঙ্গুতে ছয়জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৮৮ ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ কারাগারে নাইজেরিয়ার স্কুল অপহরণের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে ক্ষোভ ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে রুশ হামলায় নিহত ৯ কেনিয়ায় বন্যায় হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত বিজয় দিবসে এবারও প্যারেড হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তফসিলের পর মাঠ প্রশাসনে একযোগে রদবদল চায় জামায়াত ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা চাইলেন সিইসি লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৩ বাংলাদেশ ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে নৌকা ডুবে দুজনের মৃত্যু জাপানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: পুড়েছে ১৭০টির বেশি ভবন এআই বুদ্বুদ ফাটলে কেউই নিরাপদ থাকবে না: গুগল প্রধান যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের শততম টেস্ট শতরানে রাঙানোর অপেক্ষায় মুশফিক

মতামত

গণভোট দেশের জন্য অশুভ সংকেত : ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী

 প্রকাশিত: ১২:২২, ৯ নভেম্বর ২০২৫

গণভোট দেশের জন্য অশুভ সংকেত : ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী

জুলাই সনদ ও আসন্ন গণভোটকে কেন্দ্র করে যখন দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিতর্ক তীব্র আকার ধারণ করেছে, তখন এ বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও জৈনপুরী পীর ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী। তিনি গণভোটকে দেশের জন্য “অশুভ সংকেত” আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এটি নির্বাচনের সময় পিছিয়ে দেওয়ার কৌশল এবং বাংলাদেশকে অরাজকতা ও গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র।

সম্প্রতি এক ধর্মীয় আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ড. আব্বাসী বলেন, “এই যে গণভোট, পিয়ার আগে পরে এখন তখন যা হচ্ছে—এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচন বিলম্বিত করা। এর মাধ্যমে দেশে সামরিক প্রভাব ও রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা জাতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে।”

তিনি অভিযোগ করেন, আন্তর্জাতিক স্বার্থগোষ্ঠী বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের সুযোগ খুঁজছে। “যারা দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে, তারাই আবার ওজার ভূমিকায় এসে বিষ নামানোর চেষ্টা করছে,” বলেন তিনি।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট টেনে আব্বাসী স্মরণ করিয়ে দেন ১৯৭৭ সালের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গণভোটের কথা। তিনি বলেন, “তখন সংবিধানে ‘মহান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস’ রাষ্ট্রের মৌলিক ভিত্তি হিসেবে সংযোজন করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেই নীতিকে বাদ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা মুসলমানদের ঈমানের ওপর সরাসরি আঘাত।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “যদি নতুন কোনো সনদ বা সংবিধানে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের ধারা বাদ দেওয়া হয়, তবে কোনো মুসলমানের উচিত নয় তাতে অংশগ্রহণ করা। এতে ঈমানের প্রশ্ন জড়িত এবং এমন ভোট আল্লাহর কাছে কঠিন জবাবদিহির কারণ হতে পারে।”

সংবিধান সংশোধনের প্রসঙ্গে ড. আব্বাসী বলেন, “সংসদে যারা দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে, তারা সংবিধান পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখে। ফলে গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত বিষয়ও পরবর্তীতে বদলে দেওয়া সম্ভব। গণভোটের নামে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।”

তিনি ইতিহাসের উদাহরণ টেনে বলেন, “প্রতিবার গণভোট বা সামরিক শাসনের পর দেশ রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে। জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড থেকে এরশাদের পতন পর্যন্ত ইতিহাসই তার সাক্ষ্য দেয়।”

ধর্মীয় আবেগময় কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের এখন মহান আল্লাহর ভয় করা উচিত। যারা সংবিধান থেকে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস বাদ দিতে চায়, তারা জাতির শত্রু। সংবিধানে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের নীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।”

শেষে তিনি আহ্বান জানান—দেশের মানুষ যেন “সত্যবাদী ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ায়, কারণ এই সময়টি আমাদের ঈমান, দেশ ও ভবিষ্যতের পরীক্ষা।”