বৃহস্পতিবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২৬ ১৪৩২, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

পদত্যাগ করেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম ভারত হাসিনাকে ফেরত দিতে রাজি না হলে ‘করার কিছু নেই’: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচন করবো, তবে কোন দল থেকে নিশ্চিত না: আসিফ মাহমুদ আগামী নির্বাচনকে ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় করে রাখতে হবে: ইউএনওদের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা ধানের শীষকে জেতানোর বিকল্প নেই: তারেক রহমান মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে হত্যার ঘটনায় সেই গৃহকর্মী গ্রেপ্তার অচিরেই দেশে ফিরে হাল ধরবেন তারেক রহমান: মির্জা আব্বাস ‘সচিবালয় ভাতা’র দাবিতে আন্দোলন, ‘অবরুদ্ধ’ অর্থ উপদেষ্টা দক্ষিণ চীনে আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ১২ জনের মৃত্যু ইউরোপকে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ ও ‘দুর্বল’ বললেন ট্রাম্প ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর: খালেদার জন্য হাসিনা ‘উদ্বিগ্ন’ প্রথম ধাপে ১২৫ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলো এনসিপি মাছ ধরতে গিয়ে ভারতে আটক ৬ জেলে, ১৩ মাস পর হস্তান্তর বিজয়ের মাসেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: আতিকুর রহমান প্রাথমিকের ছুটি বাতিল করে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ

অর্থনীতি

’৯৬ ও ২০১০ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না : ডিএসই চেয়ারম্যান

 প্রকাশিত: ২৩:১৪, ২০ জানুয়ারি ২০২১

’৯৬ ও ২০১০ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না : ডিএসই চেয়ারম্যান

শতভাগ অটোমেশন হিসেবে ঢাকা স্টকের তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) অবকাঠামো যেমনটি হওয়ার উচিত ছিল সেটা নেই বলে স্বীকার করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মো: ইউনুসুর রহমান। তিনি বলেন, আইটির ক্ষেত্রে আমাদের অনেক দুর্বলতা আছে। তারপরও পুঁজিবাজারে যে ঘটনাগুলো ১৯৯৬ এবং ২০১০ সালে ঘটেছিল সেগুলোর পুনরাবৃত্তি আর ঘটবে না। আইটিকে উন্নত করতে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আগামী জুনের মধ্যে ডাটা সেন্টার সম্পন্ন হবে।

নিকুঞ্জে অবস্থিত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নিজস্ব ভবনের ট্রেনিং সেন্টারে বুধবার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ডিএসইর বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি মো: রকিবুর রহমান ও শাকিল রিজভী। উপস্থিত ছিলেন, শাহজাহান, মুনতাকিম আশরাফ, নাসরিন সুলতানা প্রমুখ।

ইউনুসুর রহমান আরো বলেন, ‘আমি প্রায় তিন বছর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এবং সিনিয়র সচিব ছিলাম। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের বলতে পারি, ১৯৯৬ এবং ২০১০ সাল পর্যন্ত আমাদের লিগ্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার অত্যন্ত দুর্বল ছিল। আমাদের আইনকানুনের যথেষ্ট অভাব ছিল। ২০১০ সালের পর আমাদের লিগাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার যথেষ্ট শক্তিশালী হয়েছে। এখন আমরা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করতে পারি, যে ঘটনাগুলো ১৯৯৬ এবং ২০০৯-১০ সালে হয়েছিল, তেমন ঘটনা সামনের দিনে আর ঘটবে না।’

তিনি বলেন, ‘শেয়ারবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এখন সার্ভিলেন্স অনেক শক্তিশালী। চীন আমাদের সাপোর্ট দেবে। তার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের ট্রেড যে হারে হচ্ছে, ক্যাপাসিটি সেটা ছিল না।’

চেয়ারম্যান বলেন, ‘শতভাগ অটোমেটেড এক্সচেঞ্জ হিসেবে আমাদের আইটি স্ট্রাকচার যেমন হওয়ার কথা ছিল, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আইটি স্ট্রাকচার সেই অবস্থায় নেই। এটা আমরা জেনেছি তিন থেকে চার মাস আগে। আপনারা কি চিন্তা করতে পারেন এমন একটি স্টক এক্সচেঞ্জে ডিজাস্টার রিকভারি সাইট নাই। এর ফল কত খারাপ হতে পারে? জানার পরপরই উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা অনেকটা কাজ এগিয়ে নিতে পেরেছি। আমাদের কনসালটেন্ট নিয়োগ হয়ে গেছে। কনসালটেন্ট প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছে। এটা পরীক্ষা করার পর ফাইনাল রিপোর্ট হবে। এরপর টেন্ডারে গিয়ে আধুনিক একটা ডাটা সেন্টার স্থাপন করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। আশা করি, এ বছরের জুনের আগেই এটা হয়ে যাবে। যেটা আরো আগে হওয়া উচিত ছিল বলে আমি মনে করি।’

ইউনুসুর রহমান বলেন, ‘যেখানে আইটি ব্যবহার করা হয় সেখানে নিয়মিত অডিট করতে হয়। অডিট করলে জানা যায়, আইটির কোন জায়গাটা দুর্বল আছে, কোনটা সবল। আমরা এখন একটা আইটি অডিট টিম নিয়োগ করার কাজ চূড়ান্ত করেছি। শিগগিরই আইটির অডিটর নিয়োগ হয়ে যাবে। আরো ছোট ছোট অনেক কাজ আমাদের করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিদেশের একটি স্টেকহোল্ডার যে মানের অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম থাকে, আমরা ওই মানের একটি অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম দিয়ে ২৫০টির মতো স্টেকহোল্ডারকে সেবা দিচ্ছি। তাহলে বুঝতেই পারছেন জিনিসটা আমাদের জন্য কতটা কষ্টকর এবং ঝুঁকিপূর্ণ।’

ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ‘২০২১ সালের শেষে অথবা ২০২২ সালে চীনের টেকনোলজি কিভাবে গ্রহণ করব, সেটার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখন নাসডাক এবং ফ্লেক্সট্রেডের সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এই কাজ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নাসডাকের সাথে আমাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে ব্যবসার ভলিয়ম বেড়ে গেলে ফ্লেক্সট্রেডের সাথে কিছু কিছু সমস্যা তৈরি হচ্ছে।’

মো: রকিবুর রহমান বলেন, ‘২০০৯-১০ সালে আমরা বিনিয়োগকারীদের বলেছিলাম- আপনারা ঋণ করে পুঁজিবাজারে আসবেন না, স্বর্ণ-অলঙ্কার বিক্রি বা বন্ধক দিয়ে আসবেন না। বিদেশে কর্মরত ভাইদের টাকা নিয়ে আসবেন না, অতিরিক্ত মার্জিন ঋণ নিয়ে আসবেন না। তখন তারা আমার কথা শুনেননি। উল্টো আমার বিরুদ্ধে মিছিল করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের টেনশন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের নিয়ে। উনারা না বুঝে বিনিয়োগ করেন। ২০০৯-১০ সালে শেয়ার কিনে আমি ৪৫ শতাংশ লোকসানে ছিলাম। সেই শেয়ার আমি বিক্রি করিনি, ধরে রেখেছি। সেই শেয়ারে আমি আজকে প্রফিট করেছি। কিন্তু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা তো ধরে রাখতে পারবেন না। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বলবো, আল্লাহওয়াস্তে আপনারা বুঝে-শুনে বিনিয়োগ করবেন।’

শাকিল রিজভী বলেন, ‘স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে কোনো সেক্টরে বা কোম্পানিতে বিনিয়োগ করার জন্য আহ্বান করা হয় না। স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্কতার সাথে বিনিয়োগ করার আহ্বান করা হয়। তবে কোনো কোনো সেক্টরে যদি মেনুপুলেট হয়, তাহলে বিএসইসির সহায়তায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্ভিলেন্স টিমের উচিত সেটা ধরা। তবে বিনিয়োগকারীদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। বাজার বুঝে বিনিয়োগ করতে হবে। বাজারে গুজব থাকবেই।’

অনলাইন নিউজ পোর্টাল