টি-২০ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার প্রাথমিক দলে থাকছেন বড় তারকারা
চলমান চোট-সংক্রান্ত উদ্বেগ সত্ত্বেও প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজেলউড ও টিম ডেভিডকে অস্ট্রেলিয়ার ২০২৬ আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
কামিন্সের পিঠে চার সপ্তাহ পর আরেকটি স্ক্যান হওয়ার কথা রয়েছে। এরপরই টুর্নামেন্টে তাঁর অংশগ্রহণ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন নির্বাচকরা। জুলাইয়ে লাম্বার স্ট্রেস ইনজুরিতে পড়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মাত্র একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাডিলেড টেস্টে তিনি অল্প সময়ের জন্য দলে ফিরে দুর্দান্ত বোলিং করেন। তবে বাড়তি ঝুঁকি না নেওয়ার সিদ্ধান্তে সিরিজের বাকি অংশে তাঁকে বিশ্রাম দেয় দল পরিচালনা।
এদিকে বক্সিং ডে-তে হোবার্ট হারিকেনসের হয়ে খেলতে গিয়ে ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে গ্রেড-টু ইনজুরিতে পড়ায় টিম ডেভিড বিগ ব্যাশ লিগের বাকি ম্যাচগুলো থেকে ছিটকে গেছেন। তবে তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার সময় নিয়ে ইতিবাচক মত জানা গেছে। ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পুরোপুরি ফিট হয়ে ওঠার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।
চোটের কারণে কাজের চাপ সামলানো জশ হ্যাজেলউডকেও প্রাথমিক দলে রাখা হতে পারে। বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে পূর্ণ শক্তির দল নামানোর লক্ষ্যেই অস্ট্রেলিয়া এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।
২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত যৌথভাবে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে।
২০টি অংশগ্রহণকারী দলকে চার দলের পাঁচটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সুপার এইট পর্বে উঠবে। পরে সুপার এইট পর্বে আবার চার দলের দুটি গ্রুপ করা হবে।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতকে রাখা হয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গে একই গ্রুপে। এ ছাড়া ওই গ্রুপে রয়েছে নেদারল্যান্ডস, নামিবিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে সহ-আয়োজক শ্রীলঙ্কা পড়েছে তুলনামূলক কঠিন এক গ্রুপে, যেখানে তাদের সঙ্গে রয়েছে তিনটি পূর্ণ সদস্য দল- অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ড এবং ওমান।
আরেকটি গ্রুপে আছে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, ইতালি ও নেপাল। বাকি গ্রুপে রাখা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কানাডাকে।