ফের শাহবাগ অবরোধে ইনকিলাব মঞ্চ
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবিতে চতুর্থ দিনের মত শাহবাগ অবরোধ করেছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
সোমবার দুপুর ২টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে শাহবাগ মোড়ের জুলাই স্তম্ভের নিচে জড়ো হয় তারা।
পরে ২টা ২০ মিনিটের দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করেন তারা; এতে আশেপাশের এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
সেখানে ‘আপস না বিপ্লব, বিপ্লব বিপ্লব’, ‘আমরা সবাই হাদি হব, যুগে যুগে লড়ে যাব’, ‘শাহবাগ না ইনসাফ, ইনসাফ ইনসাফ’, ‘জান দিয়েছে হাদি ভাই, জুলাই কিন্তু বেছে নাই’, ‘বিচার বিচার চাই, হাদি হত্যার বিচার চাই’, ‘যেই হাদি জনতার, সেই হাদি মরে না’, ‘বাংলাদেশের আজাদী, ওসমান হাদি’, ‘সুশীলতার দিন শেষ, বিচার চাই বাংলাদেশ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন অবরোধকারীরা।
আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারানো ওসমান হাদি হত্যার বিচার চেয়ে শুক্রবার বিকাল থেকে শাহবাগ মোড়ে অবরোধ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে ইনকিলাব মঞ্চ।
রোববার রাতে চার দফা দাবি জানিয়ে ওই দিনের অবরোধ কর্মসূচি শেষ করে আন্দোলনকারীরা।
চার দাবি-
১. খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, খুনের সহায়তাকারী, পলায়নে সহযোগী, আশ্রয়দাতাসহ পুরো খুনি চক্রের আগামী ২৪ দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করতে হবে ।
২. বাংলাদেশে অবস্থানরত সকল ভারতীয়দের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করতে হবে।
৩. ভারত তার অভ্যন্তরে আশ্রয় নেওয়া সকল খুনিদের ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে।
৪. সিভিল মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের মধ্যে ঘাঁপটি মেরে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিস্টের দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, হাদি হত্যা মামলার তদন্ত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এসেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি এই মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে বলে আশা করছেন তিনি।
তবে হাদি হত্যার প্রধান সন্দেহভাজনের পালিয়ে ভারতে যাওয়া এবং তাকে সহায়তার অভিযোগে দেশটিতে দুজন গ্রেপ্তার হওয়ার যে তথ্য ঢাকার পুলিশ দিয়েছে, মেঘালয় পুলিশ তা অস্বীকার করেছে।
হাদি হত্যায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ছয়জন জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন-মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের বাবা হুমায়ুন কবির এবং মা হাসি বেগম, স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু, রেন্ট-এ কার ব্যবসায়ী মুফতি মো. নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল, ফয়সালের সহযোগী মো. কবির, ‘ভারতে পালাতে’ সহযোগিতাকারী সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম।