সোমবার ০৯ জুন ২০২৫, জ্যৈষ্ঠ ২৫ ১৪৩২, ১২ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

ব্রেকিং

জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি: সালাহউদ্দিন আহমদ জুলাই সনদ–ঘোষণাপত্র হলে ঘোষিত সময়ে নির্বাচনে আপত্তি নেই: এনসিপি ২৫ কিলোমিটার যানজট, ২৪ ঘণ্টায় পারাপার ৬৪ হাজার যানবাহন বান্দরবানের রুমা ও থানচি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে প্রত্যাহার গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, জাতিসংঘ নিরাপত্তা গরম মসলার বাজার শীতল: ক্রেতা কমে যাচ্ছে, দাম কিছুটা স্থিতিশীল ঈদে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই-মিষ্টি মজুত, রংপুরে হিমাগারে অভিযান ও দুই লাখ টাকা জরিমানা বান্দরবানের লামায় পাহাড় ধসের শঙ্কায় ৬০ রিসোর্ট বন্ধ নির্বাচন নিয়ে তরুণদের প্রতি অসত্য অভিযোগ ও বাস্তবতা ভারতের মুসলমানদের কেন বারবার দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হয় সংবিধান পরিবর্তন ছাড়া ফ্যাসিবাদ বিলোপ সম্ভব নয়: এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক একুশের বন্ধুত্বে আগামীর পথচলা: বার্ষিক সম্মেলনে ২১তম বিসিএস প্রশাসন ফোরাম বিজিএমইএ`র নতুন নেতৃত্বে আসছেন বাবু, নিরঙ্কুশ জয়ের ইঙ্গিত জিলহজ মাসের আমল ও কোরবানির তাৎপর্য চট্টগ্রামে নারীকে লাথির ঘটনায় ভাইরাল আকাশ চৌধুরী বহিষ্কৃত, জামায়াতের বিবৃতি সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেই, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিল পবিস শ্রমিকরা আনচেলত্তির স্বপ্ন - রিয়াল মাদ্রিদের মতো করে খেলাবেন ব্রাজিলকে ডিমের দাম এখনো চড়া, ডজন ১৩০–১৪০ টাকায় বিক্রি বৈরী আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপের সঙ্গে সারাদেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ হারের পর লিটনের মনোভাব - এখনো দুই ম্যাচ বাকি কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব জুয়েলারি দোকান বন্ধ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করবে ডিএনএ টেস্ট করে নামফলক ও মর্যাদা চায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা বেতন না পেয়ে ডাকাতি, জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ তিনজন আটক “বাংলাদেশে কৌশলগত স্বার্থ নেই দক্ষিণ কোরিয়ার”—রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক “শাপলার হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই”—হেফাজতের বিবৃতি মির্জা আব্বাস: “করিডর আর স্টারলিংক আনা হচ্ছে আরাকান আর্মির জন্য” জিলহজ মাসের চাঁদ দেখে যে দোয়া পড়বেন নির্বাচনের আগে যতটুকু দরকার, ততটুকুই সংস্কার করতে হবে: মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ‘চিন্তার স্বাধীনতাও হারাচ্ছি?’— নারী কমিশন বিতর্কে গীতিআরার উদ্বেগ ইউক্রেনে রাশিয়ার টানা হামলায় নিহত ১২, কঠোর চাপের আহ্বান জানালেন জেলেনস্কি সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন – তিনটি কঠিন দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট আমরা জুলাই অভ্যুত্থান ক্ষমতার পালাবদল নয়, এটি মৌলিক সংস্কার: নাহিদ হলুদ সাংবাদিকতা’ বিরোধী স্লোগানে উত্তাল শিক্ষক মিছিল ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আখাউড়া বন্দর দিয়ে রপ্তানি কমেছে ৪০% বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলছে, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি জাতীয় স্বার্থে অভিমান ভুলে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান : জামায়াত আমির আন্দোলনের পর অবশেষে নিয়োগ পেলেন ৪৩তম বিসিএসের বাদ পড়া ১৬২ জন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে ইসির সামনে এনসিপির বিক্ষোভ কাল বাংলাদেশে স্টারলিংকের যাত্রা, স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের নতুন যুগ শুরু নরওয়ের দৃঢ় সমর্থন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিগত সরকারের সময় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত, এমন অবস্থা ছিল যে খতিবকেও পালাতে হয়েছিল: বাণিজ্য উপদেষ্টা গায়ের জোরে নগর ভবন দখল করে আন্দোলন চালাচ্ছে বিএনপি আবারও রাজপথে নামার ইঙ্গিত আসিফের, সতর্ক করলেন হাসনাত গোপন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন স্থগিত, ২০ মে আলোচনায় বসবে ঐক্য পরিষদ ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞা সীমান্ত বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে ভারতের নতুন সিদ্ধান্তে উত্তর-পূর্বাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশি ভোগ্যপণ্য আমদানি বন্ধ গত ৯ মাসে জুলাই-যোদ্ধাদের ওপর ৩৮টি হামলা জবি’র ৪ দফা দাবি মেনে নেওয়ায় আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা ডিবি থেকে মুক্তির পর আন্দোলনে উল্লাস জবি শিক্ষার্থীর গাজা দখলে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা পুনর্ব্যক্ত করলেন ট্রাম্প শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডে বিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকার উপদেষ্টা আসিফের সোনার দাম ভরিতে কমল ৩ হাজার ৪৫২ টাকা, নতুন দর কার্যকর শুক্রবার থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: নিরাপত্তা নিশ্চিতে বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওমর আব্দুল্লাহর উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ‘চলবে’, শনিবার গণজমায়েত ড্রোন যুদ্ধ: ভারত-পাকিস্তান বিরোধের নতুন অধ্যায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা ‘আপ বাংলাদেশ’–এর আত্মপ্রকাশ পূর্বঘোষণা ছাড়া ভারত সফরে সৌদি প্রতিমন্ত্রী, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের দেশীয় ওষুধ কোম্পানি রেনাটাকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে আইএফসি তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের নির্দেশে ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ

স্পেশাল

নাদিমের মৃত্যুতে দুই সন্তান নিয়ে অকূলপাথারে স্ত্রী নেহা

 প্রকাশিত: ১০:৪৬, ১১ মার্চ ২০২৫

নাদিমের মৃত্যুতে দুই সন্তান নিয়ে অকূলপাথারে স্ত্রী নেহা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই, শুক্রবার, জুমার নামাজ পড়তে বাসা থেকে বেরিয়ে রাজধানীর বনশ্রীতে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন নাদিম মিজান। কথা ছিল, নামাজ শেষে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দুপুরের খাবার খাবেন।

নামাজ পড়তে বেরিয়ে যাওয়ার পর তার স্ত্রী তাবাসসুম আক্তার নেহা এবং তাদের ছেলেরা তার বাবার বাড়িতে গিয়েছিলেন। কারণ সেদিন তাদের বাসায় গ্যাস ছিল না। তাই আগে থেকেই নেহা ঠিক করেছিলেন দুপুরে বাবার বাসায় গিয়ে খাবেন। নামাজ শেষে নাদিমেরও সেখানে যাওয়ার কথা ছিল।

নেহা, তার বাবা-মা, ভাই এবং অন্যরা একসঙ্গে দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য নাদিমের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। নামাজের সময় শেষ হওয়ার পরও তিনি না আসায়, তারা সবাই খেয়ে নেন, তবে নাদিমের জন্য খাবার ঢেকে রাখা হয়।

শহীদ নাদিম মিজানের স্ত্রী তাবাসসুম আক্তার নেহা বলেন, ‘আমাদের ভাড়া বাসা থেকে বাবার বাসা খুব বেশি দূরে নয়। তাই আমাদের বাসায় গ্যাস না থাকায় সকালে আম্মুকে ফোন করে বলেছিলাম, দুপুরে আমরা তোমাদের বাসায় খাব। নাদিম যখন নামাজ পড়তে বের হচ্ছিল, তখন বললাম, তুমি নামাজ পড়ে ওই বাসায় চলে আসো, আমি ছেলেদের নিয়ে আগেই চলে যাই।’

নাদিম নামাজ পড়তে বের হলে আমরাও বাবার বাসায় চলে যাই। ওর ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে সবাই খেয়ে নিই, আর আম্মা ওর জন্য খাবার ঢেকে রাখেন।

তিনি বলেন, ‘অনেকক্ষণ হয়ে গেলেও নাদিম ফিরে এল না। এর মধ্যে আমাদের বাসার কাছের গলিতে বিশৃঙ্খলা ও গুলির শব্দ শুনতে পাই। তখন বাইরে গিয়ে দেখি, আমার স্বামীর পেটে গুলি লেগেছে, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে! আমরা তাকে তাৎক্ষণিকভাবে কাছের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই, যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী থানার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জি ব্লকের বাসায় রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস-এর প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নাদিম মিজানের স্ত্রী তাবাসসুম আক্তার নেহা (২৩) এসব কথা জানান।

নাদিমের স্ত্রী নেহা বলেন, ‘আমি প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে শুনেছি, মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসার পর আমার স্বামী গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশ বা বিজিবি এই গুলি চালিয়েছে। পরে ১৯ জুলাই রাতে আমার স্বামীকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।’

নেহা বলেন, ‘তিন ভাইয়ের মধ্যে আমার স্বামী ছিলেন সবার বড়। আমরা আগে মিরপুরে থাকতাম। আমার শাশুড়ি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর এবং শ্বশুর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মারা যান। এরপর আমরা বনশ্রীতে চলে যাই, আর আমার স্বামী গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসার আয় দিয়ে আমাদের সংসার ভালোভাবেই চলছিল।’

পরিবারের সদস্যরা জানান, ৩৫ বছর বয়সী নাদিম মিজান তার দুই ছেলে আনাস (৩) ও আহনাফ (২)কে বাসা থেকে বের হওয়ার আগে প্রায়ই চুমু খেতেন। ১৯ জুলাই শুক্রবার দুপুরেও ছেলেদের চুমু খেয়ে তিনি নামাজ পড়তে বের হন। রাজধানীর বনশ্রীতে তার বাসা থেকে রামপুরা থানা সংলগ্ন নিকটবর্তী একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার জন্য বেরিয়েছিলেন তিনি।

শহীদ নাদিমের স্ত্রী বলেন, ‘বড় ছেলে আনাসের বয়স তিন বছর, আর আহনাফের বয়স দুই বছর। দুই ভাইয়ের মধ্যে আনাসের সঙ্গে তার বাবার বেশ ভাব ছিল। বাবাই ছিল তার সব আনন্দের উৎস। কিন্তু দীর্ঘ আট মাস হয়ে গেল, আনাস বাবাকে দেখতে পায় না, কোলে উঠে জড়িয়ে ধরতে পারে না। প্রতিদিনই সে বাবার খোঁজ করে। কিন্তু সে জানে না, তার বাবা আর কখনো ফিরে আসবে না।’

তাবাসসুম নেহা যখন এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন তার চোখের নিচে কালচে দাগ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। চেহারা বলে দিচ্ছিল, স্বামীর মৃত্যুতে অবুঝ দুই সন্তানকে নিয়ে অকূলপাথার পাড়ি দিচ্ছেন তিনি। ২০১৮ সালে নাদিম মিজানের সঙ্গে বিয়ে হয় তাবাসসুম নেহার। তখন তিনি  সবে নবম শ্রেণির ছাত্রী।

স্বামীর স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘বিয়ের পর ও-ই আমাকে পড়াশোনা করিয়েছে। এসএসসি পাসের পর কনসিভ করলাম। বড় বাচ্চাটা হলো। এরপর আমি আর পড়াশোনা করতে চাইনি। কিন্তু ও বলত, পড়াশোনা চালিয়ে যেতে।’ 

নেহা বলেন, ‘ছেলেদের পড়াশোনা, তারা বড় হয়ে কী হবে: এসব নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল নাদিমের। বড় ছেলে আনাসের ভর্তির জন্য মিরপুরের একটি মাদ্রাসা  ঠিক করে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু ছেলের মাদ্রাসায় যাওয়া আর দেখা হলো না তার।’

তাবাসসুম নেহা বলেন, ‘বড় ছেলেটা সারাক্ষণ বাবার সঙ্গেই থাকত। খেলাধুলা সব বাবার সঙ্গেই করত। সে বাবাকে খোঁজে, জড়িয়ে ধরতে চায়। কী উত্তর দিই ওকে?’ আন্দোলন-সংগ্রাম কোনো কিছুতেই না থেকেও স্বামীর এমন মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছেন না নেহা।

তিনি বলেন, ‘আমরা কখনো কিছুতেই ছিলাম না। নাদিম রাজনীতি করত না। তারপরও কেন তাকে মরতে হলো?’ তিনি জানান, মৃত্যুর পর নাদিমকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তবে তার মৃত্যুর ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। প্রশাসন থেকে কোনো সাহায্য-সহযোগিতাও পায়নি তার পরিবার।

‘আমাদের কোনো টাকা-পয়সার প্রয়োজন নেই। লাশ তোলা হোক, ময়নাতদন্ত হোক, এটা আমরা চাই না’ উল্লেখ করে শহীদ নাদিম মিজানের স্ত্রী বলেন, ‘সেদিনের অবস্থা ও কষ্টের কথা কীভাবে বলব! সেদিনের কথা মনে হলেই বুক মোচড় দিয়ে ওঠে। ছেলে দুটি সারাদিন আব্বু আব্বু বলে ডাকাডাকি করে। তাদের মুখের দিকে তাকাতে পারি না।’

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রত্যাশার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার সন্তান দুটির নিরাপদ ভবিষ্যৎ চাই। তাদের সঠিকভাবে পড়াশোনা করাতে চাই। আমার বাবা-মা ও দুই দেবরের সহযোগিতায় এখনও  খেয়ে-পড়ে বেঁচে আছি। যদি সরকার আমাকে একটি আবাসন ও চাকুরির ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে সন্তানদের নিয়ে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে পারতাম।’ এ সময় তিনি সকল শহীদ পরিবারের জন্য রেশনের ব্যবস্থা চালু ও সরকারি হাসপাতালগুলোতে ফ্রি-চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানান।