শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, শ্রাবণ ১২ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৬

বিজ্ঞান

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘সময়ের বিরুদ্ধে দৌড়ে’ আছে মানবতা: জাতিসংঘ

 প্রকাশিত: ১৩:০৮, ৩১ মে ২০২৪

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘সময়ের বিরুদ্ধে দৌড়ে’ আছে মানবতা: জাতিসংঘ

মানবতা যখন মারাত্মক ঝুঁকি এড়াতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিশাল উদীয়মান শক্তিকে সকলের মঙ্গলের জন্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে সময়ের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা একথা বলেছেন।

জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনস ইউনিয়নের (আইটিইউ) প্রধান ডরিন বোগদান-মার্টিন বলেন, ‘আমরা জিনিটিকে বোতল থেকে বের করে দিয়েছি।’
জেনেভায় দু’দিনের এআই ফর গুড গ্লোবাল সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা সময়ের বিরুদ্ধে একটি দৌড়ে আছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাম্প্রতিক উন্নয়নগুলো অসাধারণ কিছু নয়।’
কনফারেন্সে জড়ো হওয়া হাজার হাজার মানুষ শুনেছিল কীভাবে জেনারেটিভ এআই-এর অগ্রগতি ইতোমধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তন, ক্ষুধা এবং সামাজিক যতেœর মতো বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলোর সমাধান করার প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করছে।

বোগদান-মার্টিন শীর্ষ সম্মেলনের আগে একটি ই-মেলে এএফপি’কে বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমাদের কাছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে গাইড করার জন্য একটি প্রজন্মের সুযোগ রয়েছে যা বিশ্বের সমস্ত মানুষের উপকারে আসে।’

কিন্তু তিনি বৃহস্পতিবার দুঃখ প্রকাশ করেন মানবতার এক-তৃতীয়াংশ এখনও সম্পূর্ণ অফলাইনে রয়ে গেছে এবং ‘কন্ঠস্বর ছাড়াই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপ্লব থেকে বাদ’ পড়েছে।

মার্টির আরো বলেন, ‘এই ডিজিটাল এবং প্রযুক্তিগত যুগে এখন বিভাজন আর গ্রহণযোগ্য নয়।’

বোগদান-মার্টিন হাইলাইট করেছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ‘ভালো এবং খারাপ উভয়ের জন্যই অপার সম্ভাবনা’ রাখে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেমগুলোকে নিরাপদ করতে’ অত্যাবশ্যক।

বোগদান বলেন, এটি এখন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ‘২০২৪ হল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী বছর’। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ কয়েক ডজন দেশে ভোট অনুষ্টিত হবে।

তিনি বলেন, ‘অত্যাধুনিক গভীর নকল তথ্য প্রচারের উত্থানের সাথে এটি সবচেয়ে বিতর্কিতও’ বটে।

‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই অপব্যবহার শুধু গণতন্ত্রকেই হুমকির মুখে ফেলে না, এটি তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যকেও বিপন্ন করে এবং সাইবার-নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করে।’
এই সপ্তাহে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গভর্নেন্সের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা একটি পৃথক ইভেন্টে এক ভাষণে আইটিইউ প্রধান বলেন, ‘এআই এর শক্তি খুব কম লোকের হাতে কেন্দ্রীভূত।’

বোগদান-মার্টিন প্রশংসা করেছেন, সরকার এবং অন্যরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের চারপাশে নিয়ন্ত্রণ এবং সুরক্ষার ওপর আরও বেশি মনোযোগী হয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি নতুন আইনের অধীনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি এআই অফিস তৈরির ঘোষণা দিয়েছে।

বোগদান-মার্টিন বলেছেন, ‘মানবতা এবং প্রযুক্তির মহান গল্পের পরবর্তী অধ্যায়টি লেখা এবং এটিকে নিরাপদ, এটিকে অন্তর্ভুক্ত করা, এবং এটিকে টেকসই করা আমাদের দায়িত্ব।’