বুধবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ১০ ১৪৩২, ০৪ রজব ১৪৪৭

ব্রেকিং

‘পদত্যাগ করে ভোট করবেন’ অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান শরিকদের আরো আট আসন দিল বিএনপি গাজীপুরে ইটভাটায় জাসাস নেতাকে কুপিয়ে হত্যা চর দখলে ৫ খুন: ২৪ ঘণ্টায় আটক নেই, হয়নি মামলা আতাউর রহমান বিক্রমপুরী গ্রেপ্তার পোল্যান্ডের কয়লাখনিতে গ্যাস লিক হয়ে নিহত ২ হাদির কবর জিয়ারত করবেন তারেক রহমান খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমলো এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ যোগ দিলেন বিএনপিতে যুক্তরাষ্ট্রে নার্সিং হোমে বিস্ফোরণে নিহত ২, নিখোঁজ ৫ মস্কোয় পুতিনের সঙ্গে সিরিয়ার মন্ত্রীদের বৈঠক নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী খুলনায় শ্রমিক শক্তির নেতাকে গুলি: মামলায় আসামি যুবশক্তি নেত্রী তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার সেনাপ্রধান নিহত ৩৬ বলে সেঞ্চুরি, ১৫ ছক্কায় ৮৪ বলে ১৯০, অবিশ্বাস্য সুরিয়াভানশি

রাজনীতি

‘মধ্যরাতে ছাড়বে’ তারেকের ফ্লাইট

 প্রকাশিত: ১৭:৪৮, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

‘মধ্যরাতে ছাড়বে’ তারেকের ফ্লাইট

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ফ্লাইট বুধবার মধ্যরাতে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হবে বলে জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমদ।

দলেরে স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, বাংলাদেশ বিমানের এ নিয়মিত ফ্লাইটে তারেকের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরাও থাকছেন।

বুধবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সালাহউদ্দিন, যিনি তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কমিটির আহ্বায়কও।

তিনি বলেন, ‘‘ আমাদের নেতা বাংলাদেশ বিমানের এক নিয়মিত ফ্লাইটে লন্ডন থেকে বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে আগামীকাল সকালে সিলেটে যাত্রা বিরতির পর বেলা ১১টা ২০মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবেন ইনশাআল্লাহ।”

ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অভ্যর্থনা জানাবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

এরপর সড়ক পথে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তিনি। যাওয়ার পথে তিনি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেস ওয়ে অর্থাৎ ৩০০ ফুটে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে বিএনপি।

সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘ এটি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান হবে। সেখানে তিনি দেশবাসীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করবেন এবং মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করবেন।”

এরপর তিনি চলে যাবে এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখান থেকে তারেক রহমান গুলশান অ্যাভিনিউতে ১৯৬ নম্বর বাসায় যাবেন। এই বাসায় তারেক রহমান থাকবেন।

শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিতে জুমার পর শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত এবং সেখান থেকে সড়কপথে সাভারে জাতীয় স্মতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন তিনি।

এই দুইটি কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়েছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, “পরদিন তারেক রহমান নিজে ভোটার হতে যা করতে হয়, সেই কাজগুলো করবেন। এছাড়া সেদিন শরীফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত এবং পঙ্গু হাসপাতালে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে যাবেন। তবে এসব এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যথা সময়ে দিনের কর্মসূচি সংবাদমাধ্যমে জানানো হবে।”

‘অগ্রিম দূঃখ প্রকাশ’

সালাহউদ্দিন বলেন, “আন্তরিক ক্ষমা প্রার্থনা করতে চাই যে, প্রিয় নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, এই ঐতিহাসিক আয়োজন বাস্তবায়ন করতে দলের পক্ষ থেকে অনিবার্য অত্যাবশ্যক এবং ন্যূনতম যেসব কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, সেজন্য সৃষ্ট অসুবিধা ও কষ্টের জন্য।

“আপনারা জানেন, তারেক রহমান এমন কোনো কর্মসূচিকে সমর্থন করেন না, যা জনদুর্ভোগের কারণ হতে পারে। তিনি রওনা হওয়ার সময় হিথ্রো বিমানবন্দরে প্রবাসী নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতি হতে নিষেধ করেছেন।”

সালাহউদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশেও আমাদের কোনো কর্মসূচি যেন জনদুর্ভোগের কারণ না সৃষ্টির করে, সেজন্য আমরা তার নির্দেশনা পালনের আন্তরিক শত চেষ্টার পরেও হয়ত শতভাগ প্রতিপালন করতে পারিনি। তারপরও জনদুর্ভোগের জন্য আমরা অগ্রিম ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশ করছি।”

তিনি বলেন, ‘‘ তিনি (তারেক রহমান) স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন, তিনি বিমানবন্দর থেকে তার চিকিৎসাধীন গুরুতর অসুস্থ মা বাংলাদেশের অভিভাবক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যেতে চান, তার পিতা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারতে যেতে চান, তার ভাইয়ের (আরাফাত রহমান কোকো) কবরের পাশে যেতে চান। জনদুর্ভোগ পরিহার করে করতে তিনি সরকারি ছুটির দিনকে তার প্রত্যাবর্তনের দিন হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।”

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “ঢাকার ‘৩০০ ফুট সড়কের’ অনুষ্ঠানটি কোনো জনসভা নয়, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানও নয়। কেবল দেশবাসীর প্রতি তার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও দেশনেত্রীসহ দেশের সবার কল্যাণ কামনায় দোয়ার অনুষ্ঠান।

“সেই আয়োজনে তিনি ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনো বক্তা থাকছেন না। আমরা এই আয়োজনের কলেবর যত ছোটই রাখতে চাই না কেন, ১৭ বছর ধরে অপেক্ষমান দেশের সব প্রান্ত থেকে আসা নেতাকর্মী সমর্থকদের বাধভাঙ্গা স্রোত নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আমাদের নেই। তারপরেও আমরা আমাদের কর্মী সমর্থকদের নির্দেশনা দিয়েছি, যেন তাদের বেশির ভাগ কাঞ্চন ব্রিজ ব্যবহার করে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন।”

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা একেএম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমাদের যে দলগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সেটা সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে। এর মধ্যে ক্ষুদ্র একটা অংশ হলো চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।

“তারপর আমাদের দলীয় নেতাকর্মী এবং সর্বোপরি বাংলাদেশে আপামর জনসাধারণ, এটা হলো আমাদের নিরাপত্তার মূল ভিত্তি। সরকারের তরফ থেকে আমাদেরকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছে “

সিলেটে ভিড় না করার নির্দেশনা

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “সিলেট জেলার কোনো নেতাকর্মী বিমানবন্দরে ভিড় করবেন না। ঢাকায় এলে উনাকে নিয়ে আমরা যে আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছি, সেখানে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে কথা বলবেন।”

সংবাদ সম্মেলনে তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কমিটির সদস্য মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল উপস্থিত ছিলেন।