চর দখলে ৫ খুন: ২৪ ঘণ্টায় আটক নেই, হয়নি মামলা
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় চর দখল নিয়ে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে হতাহতের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। এমনকি ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক বা অস্ত্র উদ্ধারও হয়নি।
বুধবার সকালে হাতিয়ার থানা থেকে চারজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে একজনের লাশ একই মর্গে রাখা হয়।
তবে নিহতদের পরিবারের কেউ অভিযোগ না দিলে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করার কথা বলেছেন হাতিয়া থানার ওসি সাইফুল আলম।
গোলাগুলির ঘটনায় আহত মো. সোহাবকে (৩০) হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছে পুলিশ। সোহরাহ নিঝুম দ্বীপের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খবির উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের জাগলার চরের দখল নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনভর শামছু বাহিনী ও আলাউদ্দিন বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় শামছু ও আলাউদ্দিনসহ দুই বাহিনীর অন্তত পাঁচজন নিহত এবং ১০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- চর আমানউল্যাহ গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে মো. আলাউদ্দিন (৩৫), চানন্দী ইউনিয়নের নলের চরের প্রয়াত সেকু মিয়ার ছেলে কামাল উদ্দিন (৪০), জাহাজমারা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের শামছুদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেন সিহাব (২৩), হাতিয়া পৌরসভার পশ্চিম লক্ষিদিয়া এলাকার প্রয়াত শাহ আলমের ছেলে হকসাব (৫৫) এবং সুবর্ণচর উপজেলার দক্ষিণ চর মজিদের প্রয়াত জয়নাল আবেদিনের ছেলে আবুল কাশেম (৬২)।
এর মধ্যে আলাউদ্দিন একটি বাহিনী প্রধান ছিলেন। মোবারক হোসেন সিহাব শামছু বাহিনী প্রধান শামছুর ছেলে বলে জানা গেছে।
এদিকে ছেলের লাশের সন্ধান পেলেও স্বামীর লাশের খোঁজ করছেন শামছুর স্ত্রী মাহফুজা বেগম।
ঘটনার পর থেকে জাগলার চরের বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা চরে এসব বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের দাবি জানিয়েছেন।
ওসি সাইফুল আলম বলেন, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।