মস্কোয় পুতিনের সঙ্গে সিরিয়ার মন্ত্রীদের বৈঠক
মস্কো সফরে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মুরহাফ আবু কাসরা। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দামেস্ক থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
সিরিয়ার নতুন কর্তৃপক্ষ ক্ষমতা গ্রহণের পর এটি রাশিয়ায় তাদের সর্বশেষ সফর। গত ডিসেম্বর দীর্ঘদিনের শাসক ও মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্র বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই মস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছে দামেস্ক।
আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তিনি ও তার পরিবার রাশিয়ায় আশ্রয়ে রয়েছেন। দামেস্কের দিকে ইসলামপন্থি নেতৃত্বাধীন বাহিনী অগ্রসর হলে তারা দেশ ছাড়েন।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানায়, বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী মুরহাফ আবু কাসরা এবং প্রেসিডেন্ট পুতিন রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পায় সামরিক শিল্পখাতে কৌশলগত সহযোগিতা।
সানা জানায়, সিরীয় সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করতে সামরিক ও কারিগরি অংশীদারিত্ব কীভাবে আরো উন্নত করা যায়, তা নিয়েও কথা হয়েছে।
আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম সংস্কার, প্রযুক্তিগত দক্ষতা হস্তান্তর এবং গবেষণা ও উন্নয়নে সহযোগিতার বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব উদ্যোগ সিরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করবে এবং দেশ ও অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
প্রায় ১৪ বছর ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় আসাদের অন্যতম প্রধান মিত্র ছিল রাশিয়া। তার শাসন টিকিয়ে রাখতে মস্কো গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সহায়তা দেয় ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায়।
মঙ্গলবারের বৈঠকে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাবনাও আলোচিত হয়। এর মধ্যে পুনর্গঠন প্রকল্পে সহায়তা এবং বিনিয়োগ উৎসাহিত করার বিষয় রয়েছে বলে জানায় সানা।
আসাদ রাশিয়ায় অবস্থান করলেও নতুন সিরীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে আগ্রহী মস্কো। বিশেষ করে ভূমধ্যসাগর উপকূলে অবস্থিত হমেইমিম বিমানঘাঁটি ও তারতুস নৌঘাঁটি নিয়ে চুক্তি নিশ্চিত করতে চায় রাশিয়া। এই দুটি ঘাঁটি তারা এখনও পরিচালনা করছে।