বুধবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ১০ ১৪৩২, ০৪ রজব ১৪৪৭

ব্রেকিং

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী গ্রেপ্তার পোল্যান্ডের কয়লাখনিতে গ্যাস লিক হয়ে নিহত ২ হাদির কবর জিয়ারত করবেন তারেক রহমান খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমলো এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ যোগ দিলেন বিএনপিতে জাতিসংঘে ভেনেজুয়েলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাশিয়া ও চীন যুক্তরাষ্ট্রে নার্সিং হোমে বিস্ফোরণে নিহত ২, নিখোঁজ ৫ মস্কোয় পুতিনের সঙ্গে সিরিয়ার মন্ত্রীদের বৈঠক নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী দেশে ফিরতে আজ লন্ডন ছাড়ছেন তারেক রহমান খুলনায় শ্রমিক শক্তির নেতাকে গুলি: মামলায় আসামি যুবশক্তি নেত্রী তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার সেনাপ্রধান নিহত ৩৬ বলে সেঞ্চুরি, ১৫ ছক্কায় ৮৪ বলে ১৯০, অবিশ্বাস্য সুরিয়াভানশি

ইসলাম

কাতারে ইমামদের জন্য কিরাত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি

 প্রকাশিত: ১৪:১৭, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

কাতারে ইমামদের জন্য কিরাত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি

কাতারে ইমামদের কোরআন তিলাওয়াত উন্নত করার লক্ষে কিরাত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আসানিদ শুরু হয়েছে। তৃতীয়বারের মতো ২০২৫-২০২৬ সালের জন্য এই কর্মসূচির আয়োজন করেছেন দেশটির ওয়াকফ ও ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দাওয়াহ ও ধর্মীয় নির্দেশনা বিভাগ। মন্ত্রণালয়ের মসজিদ বিভাগ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে। এবারের প্রশিক্ষণে ৫০ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিন অংশগ্রহণ করছে। তারা হাফস আন আসিম রীতিতে তিলাওয়াতের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। কোরআন তিলাওয়াতের এই রীতিটি মহানবী (সা.) থেকে অবিচ্ছিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে। 

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কোরআন তিলাওয়াতকে উৎসাহিত করা, তিলাওয়াতের গুণগত মান ও শুদ্ধতা বৃদ্ধিতে মন্ত্রণালয়ের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তৃতীয়বারের মতো আসানিদ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তিলাওয়াত ও কিরাত বিষয়ে অভিজ্ঞ ও স্বীকৃত আলেমদের মাধ্যমেই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ১০ জন বিশেষজ্ঞ কারি ও আলেমকে প্রশিক্ষক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। প্রশিক্ষকদের সবাই কিরাত শাস্ত্রে উচ্চতর সনদের অধিকারী।

কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো:-  অংশগ্রহণকারীরা যেন নির্ভরযোগ্য সনদে বর্ণিত নির্ভুল কিরাত আত্মস্থ করতে পারে, যা তাদের তিলাওয়াতের দক্ষতা আরো সুদৃঢ় করবে। তৃতীয় আসানিদ কর্মসূচিতে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। যেন তাদের দক্ষতা তাদের দায়িত্ব পালনে সাহায্য করে।

২০২৫ সালের ২৪ নভেম্বর দাওয়াহ বিভাগ এই কর্মসূচির জন্য নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করে, যা এক সপ্তাহ ধরে চলে। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ৬০০ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিন আবেদন করেন। ৭ থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হামাদ বিন নাসের আল মিসনেদ মসজিদে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাদেরকে স্বীকৃত বৈজ্ঞানিক মানদণ্ডের আলোকে মূল্যায়ন ও নির্বাচন করা হয়। তাদের পরীক্ষায় তিলাওয়াতের শুদ্ধতা ও মুখস্থের দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরপর সেরা ৫০ জন ইমামকে ছয় মাসব্যাপী এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ১১ জুন ২০২৬ শেষ হবে।